কলকাতা, 22 অক্টোবর : সত্যি কথা তিনি বরাবর সহজভাবে বলতেই ভালোবাসেন ৷ যতই বিতর্ক হোক, নিজের জায়গায় তিনি চিরকাল অবিচল ৷ টেবিল টেনিসে তিনিই প্রথম ধ্যানচাঁদ পুরস্কার পেয়েছেন ৷ তাতে তিনি খুশি ৷ কিন্তু খেলোয়াড় জীবনে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অর্জুন পুরস্কার না পাওয়ার আক্ষেপ এখনও রয়েছে ৷ তিনি বলেন, "খেলোয়াড় জীবনে অন্যদের মতো আমিও অর্জুন পুরস্কারের যোগ্য ছিলাম ৷"
তিনি অরূপ বসাক ৷ শহরের অন্য অনেকের ভিড়ে হারিয়ে যাননি ৷ 1993-এ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়াও তিনবার রানার্স ৷ বঙ্গ টেবিল টেনিসের অন্যতম সেরা মুখ ৷ চাকরির জন্য নারকেলডাঙা ছেড়ে আরবসাগরের তীরের শহরে বসবাস শুরু করেন ৷ খেলা শেখানোর পাঠশালা খুলেও আপাতত তা বন্ধ ৷ ভারতীয় দলের কোচিংয়ে রয়েছেন ৷
জাতীয় দলের ব্যস্ততা না থাকলে তিনি শুধুই অফিসবাবু ৷ কলকাতায় এসেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে ৷ কথার ফাঁকে জানালেন, তাঁর মেয়ে টেবিল টেনিস খেলছে ৷ তবে বাংলা নয়, মহারাষ্ট্রের হয়ে তিনি খেলেন ৷ দেশ ও রাজ্যের টেবিল টেনিসের হাল হকিকত জানা ৷ তবে এরাজ্যে টেনিস যে ফের পুরোনো জায়গায় ফিরে আসবে বলেও তিনি আশাবাদী ৷ একইভাবে বিশ্ব টেবিল টেনিসে ভারতের ভালো ফল সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করেন ৷