দোহা,10 ডিসেম্বর: দু’দুটো কোয়ার্টার ফাইনাল। ইউরোপ বনাম লাতিন আমেরিকার ফুটবল দ্বৈরথ। বড় নামের ভার সেখানে। উত্তেজনায় ভরা শেষ আটের লড়াইয়ে রং ধরল কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে। প্রতিপক্ষকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় দিনের সেরা নায়ক গোলরক্ষকরা। ব্রাজিল পারেনি। তবে আর্জেন্টিনা পারল। নেইমার ব্যর্থ। লড়াকু জয়ে টিকে রইলেন লিয়োনেল মেসি। নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ চারে উঠে গেল আর্জেন্টিনা (Argentina)। এবার প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। মেসি (Lionel Messi) ম্যাজিকেই ডাচদের বিরুদ্ধে এল জয়। একটা গোল করলেন আর তার আগে একটা গোল করালেন। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রেস করতে থাকে আর্জেন্তিনা। তবে গোল পেতে সেই মেসির ওপরেই ভরসা করতে হয় তাদের। ২-০ গোলে এগিয়ে গেলেও, 83 মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে খেলা জমিয়ে দেয় ডাচরা। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। শেষমেশ টাইব্রেকারে 4-3 গোলে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। দারুণ কিছু সেভ করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। টাইব্রেকারে তিনিই নায়ক (Emiliano Martínez looked brilliant in the tiebreaker) ।
কোয়ার্টার ফাইনালে 35 মিনিটে গোল করে ফেলল আর্জেন্তিনা। নেদারল্যান্ডসের ডিফেন্স ভাঙেন রাইট ব্যাক মলিনা। মেসি ঢুকে পড়েন তিন ডিফেন্ডারকে সঙ্গে নিয়ে। তিন ডিফেন্ডার ঘিরে রয়েছেন এমন অবস্থাতেই মেসি এবং মোলিনার মধ্যে দারুণ পাসের দেওয়া-নেওয়া হয়। মোলিনার এই গোলের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বকাপে সাতটি অ্যাসিস্ট হয়ে গেল মেসির। 73 মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ফেলে আর্জেন্তিনা। অ্যাকুনাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয়। পেনাল্টি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে গোল করে যান মেসি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের মাঝেই কলকাতায় ‘মেসি’ !
তখনও লড়াই ছাড়েনি জোহান ক্রুয়েফের দেশের ফুটবলাররা। উইঘর্স্টের গোলে ব্যবধান কমিয়ে ফেলে নেদারল্যান্ডস। 83 মিনিটে দারুণ হেডে গোল করলেন পরিবর্ত হিসেবে নামা এই ফুটবলার। শেষদিকে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে ম্যাচ বেশ উত্তেজক হয়ে ওঠে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মাঠের মধ্যেও। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দু'দলের ফুটবলাররাই। তবে সেখান থেকে জিততে সমস্যা হয়নি আর্জেন্তিনার। শেষ মিনিটে ফ্রি কিক পেয়ে গোল শোধ করে ফেলেন ডাচ ফুটবলাররা। বক্সের বাইরে বাজে জায়গায় ফ্রিকিক দিয়ে দেন মেসি। হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাঁকে। সেখান থেকে গোল করে সমতা ফেরাল নেদারল্যান্ডস। বার্গুইসের ফ্রিকিক থেকে ছোট পাস খেলে গোল করে দিলেন উইঘর্স্ট। 90 মিনিট শেষে ম্যাচের ফল 2-2। অতিরিক্ত সময়ে দুইদল আক্রমণ হানলেও স্কোরবোর্ডে বদল হয়নি। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে । সেখানেই মার্টিনেজ সৌজন্যে জিতে বিশ্বকাপ জয়ের আরও এক ধাপ কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন মেসিরা ।