কলকাতা,4 ডিসেম্বর: আবারও বিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে তছনছ করলেন লিও মেসি। আবারও জ্বলে উঠল তাঁর বাঁ পা (Pre quarter final of FIFA World Cup witnessed Messi magic)। এই মেসিকেই চেনেন তাঁর কোটি কোটি অনুরাগী। এই মেসিকেই বারবার ফিরে ফিরে পেতে চায় তামাম ফুটবল দুনিয়া। একছত্র সম্রাটের মতো সুবজ গালিচায় তাঁর বীরবিক্রম দেখার জন্য হাজার মাইল পেরিয়ে আসা যায় অবলীলায়। কাতার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টারের ফাইনালের রাত খুঁজে দিল সেই এলএম টেনকে ।
প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে 34 মিনিটে গোল করলেন । অজি গোলরক্ষকের কাছে ওই প্রশ্নের কোনও লাগসই জবাব ছিল না। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে এই প্রথমবার গোল করলেন আর্জেন্তিনার অধিনায়ক। দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজের নবম গোল করে পেছনে ফেললেন দিয়াগো মারাদোনার। সামনে ব্যতিস্তুতার 10 গোলের নজির। চলতি বিশ্বকাপে সেই রেকর্ড ভেঙে যাবে এমনটা বিশ্বাস করার মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত দু:সাহস নেই মোটেই। অষ্ট্রেলিয়াকে 2-1 গোলে হারিয়ে শেষ আটে ডাচ চ্যালেঞ্জের সামনে আর্জেন্তিনা। প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়দের হয়ে গোল মেসি এবং জুলিয়ান আলভারেজের।
হার দিয়ে কাতার বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে দু'বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দিয়েগোর দেশকে এত ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে মেসির ব্যক্তিগত মুন্সিয়ানা এবং পাসিং ফুটবলের সৌজন্যে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কড়া জোনাল মার্কিং এড়িয়ে মেসির গোল ফুটবল ব্যকরণে ব্যক্তিগত স্কিলের দুর্দান্ত নিদর্শন হিসেবেই মনে রাখবে ।
কোচ কার্লোস বিলার্দো তাঁর 1986 সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল সম্পর্কে বলতেন,“আমার দলে মারাদোনা এবং বাকি দশজন। ” কাতারে লিও স্কোলানির মুখেও যদি শোনা যায়,“মেসি এবং বাকি দশ জন নিয়ে আমার দল,” তাহলে খুব অবাক হওয়ার কিছু নেই । প্রতিপক্ষের জোনাল মার্কিংয়ের কড়া ট্যাকেল এড়াতে এলএম টেন নিজের খেলায় কিছু বদল এনেছেন। বল পায়ে বেশিক্ষণ না রেখে পাস করে বেশিরভাগ সময় জায়গা নিচ্ছেন। ফলে প্রতিপক্ষ রক্ষণের তাঁর উপর নজরদারি চালানো কঠিন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নক-আউটের শুরুতে কমলা ঝড়, যুক্তরাষ্ট্রকে তিন গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারে ডাচরা
অজি ডিফেন্সও শুক্রবার রাতে একই সমস্যার শিকার হল । মেসি গোল করলেন এবং গোলের জন্য বল সাজালেন। সতীর্থরা আরও একটু যত্নবান হলে ব্যবধান বাড়ত। 56 মিনিটে আর্জেন্তিনার হয়ে দ্বিতীয় গোল জুলিয়ান আলভারেজের। তবে এই গোলটির জন্য অজি গোলরক্ষকের “বিশেষ অবদান” রয়েছে। সতীর্থ ডিফেন্ডারে ব্যাক পাস লম্বা শটে বিপদমুক্ত করার বদলে ডজ করতে গিয়েছিলেন। এবং তা ব্যর্থ হতেই সহজে গোল করে যান আলভারেজ। 76 মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় অস্ট্রেলিয়া। সবমিলিয়ে অজিদের কার্যত উড়িয়ে কোয়াটার ফাইনালে চলে গেলেন মেসিরা ।