ETV Bharat / sports

তাসের দেশের ইস্কাবনের বিবি হেমা এবং মোনিকা - national bridge chmpionship

বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে হয়ে গেল চারদিনের জাতীয় ব্রিজ চ্যাম্পিয়নশিপ । বাহাত্তরটি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল । চারদিনের এই টুর্নামেন্টে হেমন্ত জালান, সুভাষ গুপ্তা, অশোক গোয়েল, শিবনাথ দে সরকার, দেবাশিষ রায়, দেবব্রত মজুমদার, সুমত মুখার্জির মতো খেলোয়াড়রা অংশ নেন ।

author img

By

Published : Apr 21, 2019, 11:41 PM IST

কলকাতা, 21 এপ্রিল : চাঁদিফাটা গরমে যখন শহর পুড়ছে তখন বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে হয়ে গেল জাতীয় ব্রিজ চ্যাম্পিয়নশিপ । 18 এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা । বাহাত্তরটি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল । চারদিনের এই টুর্নামেন্টে হেমন্ত জালান, সুভাষ গুপ্তা, অশোক গোয়েল, শিবনাথ দে সরকার, দেবাশিষ রায়, দেবব্রত মজুমদার, সুমত মুখার্জির মত খেলোয়াড়রা অংশ নেন । খেলতে এসেছিলেন হেমা দেওড়া, মোনিকা জাজোর মতো মহিলা তাসুড়েরাও ।

তাস খেলা এখন আর কটাক্ষের চোখে দেখা খেলা নয় । দেশের হয়ে এশিয়ান গেমসে দুই বাঙালির সোনা জয় খেলাটি সম্পর্কে সম্ভ্রম সৃষ্টি করেছে । সময় কাটানোর খেলা নয় । বরং অনেক বেশি মাইন্ড গেম । তাই তাস খেলাটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । ইউরোপের স্কুলে তাস খেলা শেখানো হয় । কলকাতায় বেশ কয়েকটি স্কুলেও তাস খেলা শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । খেলাটি সম্পর্কে যে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে তা মানছেন হেমা দেওরা ও মোনিকা জোজোর মতো মহিলা তাসুড়েরা । প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা মুরলী দেওরার স্ত্রী হেমা দেওরা কলকাতায় গত তিনদিন ছিলেন । এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেই এ শহরে আসা । এশিয়ান গেমসে প্রণব বর্ধন ও শিবনাথ দে সরকারের সোনা জয় তাস সম্পর্কে মানুষের মনে নতুন ধারণা তৈরি করেছে । 2018 সালে এশিয়ান গেমসে তাসের মিক্সড টিম ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন হেমা দেওরা । সময় কাটানোর ছলে শুরু করা খেলা যে তাঁকে সাফল্যের পথ দেখবে তা ভাবেননি । এখন তাসের জন্য টুর্নামেন্ট খেলার ব্যস্ততা উপভোগ করেন । তাস খেলাকে ঘিরে গড়ে ওঠা উৎসাহ দেখে নতুন খেলোয়াড়দের এই খেলায় আসার সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি ।

হেমা দেওরার মতো মোনিকা জাজোও তাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী । গলফার জীব মিলখা সিংয়ের আত্মীয় মোনিকা 2015 সালের প্যারা অলিম্পিকে গলফের মিক্সড ইভেন্টে সোনা জিতেছেন । চলতি বছরে ওয়ার্ল্ড গেমসে রণবীর সিংয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে রুপো পেয়েছেন মোনিকা । জাতীয় গলফ অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত থাকা মোনিকা তাস খেলায় তৃপ্তি পান । দুটো খেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে কোনও অসুবিধা হয় না । গলফ ও তাস দুটো খেলাতেই মনোসংযোগ প্রয়োজন । তাই তাস মাইন্ড গেম বলতে কোনও সংশয় নেই মোনিকা, জোজোর ।

শিবনাথ দে সরকার ইতিমধ্যেই তাসের অ্যাকাডেমি খুলেছেন । ইতিমধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন । সেখানেও তাস খেলাকে ঘিরে উন্মাদনা বাড়তে দেখেছেন । এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী শিবনাথ দে সরকার বলছেন তাস খেলা অঙ্কের উপর দাঁড়িয়ে । তাই মনোসংযোগ, অধ্যাবসায় দরকার । তাস খেলার জন্য বিভিন্ন সংস্থা দল তৈরি করছে । তাই তাস খেলে বহুজাতিক সংস্থা, কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থায় চাকরি পাওয়া কঠিন নয় । তাস এখন আর সর্বনাশা নয়, নতুনভাবে জীবনের দিশা পাওয়ার খেলা । বিশ্ব বাংলা কনভেশনের মঞ্চে তাসুড়েদের অংশগ্রহণ আলোচনা সেই বার্তা দিয়ে গেল শহরে ।

কলকাতা, 21 এপ্রিল : চাঁদিফাটা গরমে যখন শহর পুড়ছে তখন বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে হয়ে গেল জাতীয় ব্রিজ চ্যাম্পিয়নশিপ । 18 এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা । বাহাত্তরটি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল । চারদিনের এই টুর্নামেন্টে হেমন্ত জালান, সুভাষ গুপ্তা, অশোক গোয়েল, শিবনাথ দে সরকার, দেবাশিষ রায়, দেবব্রত মজুমদার, সুমত মুখার্জির মত খেলোয়াড়রা অংশ নেন । খেলতে এসেছিলেন হেমা দেওড়া, মোনিকা জাজোর মতো মহিলা তাসুড়েরাও ।

তাস খেলা এখন আর কটাক্ষের চোখে দেখা খেলা নয় । দেশের হয়ে এশিয়ান গেমসে দুই বাঙালির সোনা জয় খেলাটি সম্পর্কে সম্ভ্রম সৃষ্টি করেছে । সময় কাটানোর খেলা নয় । বরং অনেক বেশি মাইন্ড গেম । তাই তাস খেলাটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । ইউরোপের স্কুলে তাস খেলা শেখানো হয় । কলকাতায় বেশ কয়েকটি স্কুলেও তাস খেলা শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । খেলাটি সম্পর্কে যে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে তা মানছেন হেমা দেওরা ও মোনিকা জোজোর মতো মহিলা তাসুড়েরা । প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা মুরলী দেওরার স্ত্রী হেমা দেওরা কলকাতায় গত তিনদিন ছিলেন । এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেই এ শহরে আসা । এশিয়ান গেমসে প্রণব বর্ধন ও শিবনাথ দে সরকারের সোনা জয় তাস সম্পর্কে মানুষের মনে নতুন ধারণা তৈরি করেছে । 2018 সালে এশিয়ান গেমসে তাসের মিক্সড টিম ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন হেমা দেওরা । সময় কাটানোর ছলে শুরু করা খেলা যে তাঁকে সাফল্যের পথ দেখবে তা ভাবেননি । এখন তাসের জন্য টুর্নামেন্ট খেলার ব্যস্ততা উপভোগ করেন । তাস খেলাকে ঘিরে গড়ে ওঠা উৎসাহ দেখে নতুন খেলোয়াড়দের এই খেলায় আসার সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি ।

হেমা দেওরার মতো মোনিকা জাজোও তাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী । গলফার জীব মিলখা সিংয়ের আত্মীয় মোনিকা 2015 সালের প্যারা অলিম্পিকে গলফের মিক্সড ইভেন্টে সোনা জিতেছেন । চলতি বছরে ওয়ার্ল্ড গেমসে রণবীর সিংয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে রুপো পেয়েছেন মোনিকা । জাতীয় গলফ অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত থাকা মোনিকা তাস খেলায় তৃপ্তি পান । দুটো খেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে কোনও অসুবিধা হয় না । গলফ ও তাস দুটো খেলাতেই মনোসংযোগ প্রয়োজন । তাই তাস মাইন্ড গেম বলতে কোনও সংশয় নেই মোনিকা, জোজোর ।

শিবনাথ দে সরকার ইতিমধ্যেই তাসের অ্যাকাডেমি খুলেছেন । ইতিমধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন । সেখানেও তাস খেলাকে ঘিরে উন্মাদনা বাড়তে দেখেছেন । এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী শিবনাথ দে সরকার বলছেন তাস খেলা অঙ্কের উপর দাঁড়িয়ে । তাই মনোসংযোগ, অধ্যাবসায় দরকার । তাস খেলার জন্য বিভিন্ন সংস্থা দল তৈরি করছে । তাই তাস খেলে বহুজাতিক সংস্থা, কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থায় চাকরি পাওয়া কঠিন নয় । তাস এখন আর সর্বনাশা নয়, নতুনভাবে জীবনের দিশা পাওয়ার খেলা । বিশ্ব বাংলা কনভেশনের মঞ্চে তাসুড়েদের অংশগ্রহণ আলোচনা সেই বার্তা দিয়ে গেল শহরে ।

Intro:নির্বাচনের আগে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই মত যাদের কাছে অস্ত্র রয়েছে তারা ইতিমধ্যে পুলিশ থানায় গিয়ে অস্ত্র জমা দিচ্ছেন। কিন্তু এই নির্দেশে সমস্যায় পড়েছেন বাংলার শুট্যাররা। কারন এই নির্দেশ অনুসারে পুলিশ তাদেরও রাইফেল জমা দেওয়ার কথা বলেছে। নির্দেশ না মানলে হেনস্থার আশঙ্কা। অথচ রাইফেল জমা দিলে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা যেমন রয়েছে তেমনই আসন্ন মরসুমের প্রস্তুতি তে বড় ধাক্কা লাগবে। উপায়ন্তর না পেয়ে আইনি লড়াইয়ের ভাবনা রাজ্য রাইফেল শ্যুটিং সংস্থা।


Body:মেহুলি ঘোষ আয়ুষী পোদ্দার রা নির্বাচনে র সময়ে নতুন সমস্যার সামনে। নির্বাচনের আগে ব্যক্তি গত ভাবে কারো কাছে অস্ত্র থাকলে তা জমা দিতে হয়। এবং তা করতে হয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে। যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি র অপরাধ করার নজির থাকে তাহলে অস্ত্র জমা দিতেই হবে। 1999 সাল থেকে অস্ত্র জমা দেওয়া সংক্রান্ত এই নির্দেশ জারি হয়ে আসছে। তবে নির্দেশ মানার ব্যাপারে রাইফেল শ্যুটারদের বাইরে রাখা হত। কারন তাদের রাইফেল অসামাজিক কাজে ব্যবহার হয় না।সেব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ রয়েছে।কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। পুলিশ তাই আগে কি হয়েছে সেদিকে না তাকিয়ে নির্দেশ কার্যকর করার ওপর জোর দিয়েছে। আর তাতেই সমস্যায় বাংলার শুট্যাররা। কারন এই নির্দেশ অনুসারে তাদের রাইফেল জমা দিতে হবে। এবং তা তারা হাতে পাবে নির্বাচন ফল প্রকাশের দশ দিন পরে। প্রায় দুমাসের কাছাকাছি সময় রাইফেল জমা রাখলে প্র্যাকটিস করার সুযোগ থাকবে না। তাছাড়া রাইফেল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারন সরকারি মালখানায় রাইফেল যত্নে থাকবে না ধরে নিচ্ছেন সবাই। আর্মস ডিলারদের রাইফেল জমা রাখতে হলে খরচ হবে। তাছাড়া নতুন মরশুম দরজায় কড়া নাড়ছে। একদিকে পুলিশের হেনস্থার ভয় অন্য দিকে রাইফেল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ও প্রস্তুতি র ব্যাঘাতে এরাজ্যের শুট্যাররা দিশেহারা। রাজ্য জুড়ে পাচটি শ্যুটিং রেঞ্জ রয়েছে। সেখানে শ দুয়েক শ্যুটার প্র্যাকটিস করেন। এর ওপর রয়েছে ব্যক্তি গত শুট্যিং আকাডেমি। তারাও একই সমস্যায় পড়েছে। পুলিশ কে ইতিমধ্যে রাজ্য শুটিং সংস্থার শীর্ষ কর্তা দেবদূত মুখার্জি ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তাতেও সমস্যা শেষ হয়নি। কোনভাবেই পুলিশ রাজ্য শ্যুটার দের ছাড় দিতে রাজি নয়। এই অবস্থায় রাজ্য শুট্যিং সংস্থা আইনি পথে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.