লিপজিয়াগ, 11 মার্চ: এক যুগ আগে ফুটবল বিশ্বে কোনও অস্তিত্বই ছিল না ক্লাবটির ৷ উইকিপিডিয়া ঘাঁটলে দেখা যাবে জার্মান ক্লাব RB লিপজিয়াগের জন্ম 2009 সালের 19 মে ৷ জার্মানির সেই অখ্যাত ক্লাবটিই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে টটেনহ্যাম হটস্পারের মতো শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাবকে বাইরের পথ দেখিয়েছে ৷ গতবারের ফাইনালে লিভারপুলের কাছে হেরে ইউরোপ সেরা ক্লাব হওয়ার ইচ্ছেটা মাঠেই রেখে আসতে হয়েছিল স্পার্সদের ৷ গতবারের রানার্সরা এবার বিদায় নিল শেষ ষোলোর ঘর থেকে ৷ তাও আবার লিপজিয়াগের মতো ক্লাবের কাছে হেরে ৷ দুই লেগ মিলিয়ে 4-0 গোলে জিতে শেষ আটে উঠেছে জার্মান ক্লাবটি ৷
শেষ 16-র প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে হেরেছিল 1-0 গোলে হেরেছিল টটেনহ্যাম ৷ পরের রাউন্ডে যেতে হলে দ্বিতীয় লেগে বিপক্ষের মাঠে বেশ কষ্টই করতে হতো দলটিকে ৷ বিশেষ করে দলে ছিলেন না হ্যারি কেনের মতো তারকা স্ট্রাইকার ৷ চোটের কবলে হিউ মিন সং ৷ বিপক্ষ নয় বরং নিজেদের ফর্ম নিয়ে যুঝছেন এরিক ডায়ার, হুগো লরিসরা ৷ এই অবস্থায় কাজটা বেশ কঠিনই ছিল ৷ তবে দলটির কোচ যখন হোসে মোরিনহোর মতো কেউ তখন বিপক্ষের ভাবার কারণ রয়েছে বইকি ৷ লিপজিয়াগের মাঠে দ্য স্পেশাল ওয়ান কোন জাদুকাঠি বের করেন তা দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবল বিশ্ব ৷ কিন্তু মোরিনহো জাদু কাজ করল কই ৷ বরং নিজেদের মাঠে লিপজিয়াগ এমন তাণ্ডব দেখালো যে মোরিনহো পর্যন্ত বলতে বাধ্য হলেন, "বিপক্ষের বেঞ্চে যে কজন ফুটবলার বসেছিল সকলেরই টটেনহ্যামের মতো দলে খেলার যোগ্যতা রয়েছে ৷"
মরশুমের মাঝপথে নড়বড়ে স্পারদের দায়িত্ব তুলে নেওয়া মোরিনহোর কিছু করারও ছিল না ৷ এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিলেন তিনি ৷ আর এতেই 32 বছরের লিপজিয়াগ কোচ জুলিয়েন নাইগেলসম্যান হয়ে গেলেন লিগের ইতিহাসে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা কনিষ্ঠ কোচ ৷ মাঠে তাঁর দল টটেনহ্যামকে রীতিমতো নাকানিচোবানি খাইয়েছে ৷ প্রথমার্ধে অধিনায়ক মার্সেল সাবিটজারের জোড়া গোল এবং শেষদিকে এমিল ফর্সবার্গের গোলে স্পারদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে পা রেখেছে 2016-17 মরশুমে বুন্দেশলিগায় খেলায় যোগ্যতা অর্জন করা ক্লাবটি ৷
তবে ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে ছোট ক্লাবগুলির দাপট দেখা যাচ্ছে গতবছর থেকে ৷ নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্স বিদায়ের পথ দেখিয়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদকে ৷ সেই একই ঝলক বর্তমান লিপজিয়াগের মধ্যে ৷