কলকাতা, 5 ডিসেম্বর : ছোটো ভুলে পয়েন্ট ফেলে আসতে হয়েছে । তবে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে তিনি খুশি । ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচের ময়নাতদন্তে কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়া । পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফেরা । ম্যাচের বল দখলের সিংহভাগ নিজেদের পায়ে রেখেও পুরো পয়েন্ট এল না । আই লিগ জেতার স্বপ্ন দেখা দলের কাছে ঘরের মাঠে পুরো পয়েন্ট না পাওয়া কার্যত হারের সমান ।
লাল হলুদ জনতার সব রাস্তা মিশেছিল কল্যাণী স্টেডিয়ামে । সপ্তাহের মাঝে কাজের দিনেও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে ভিড় জমিয়েছিল কল্যাণী স্টেডিয়ামে । টিফোতে ক্লাবের একশো বছরের সেরা সাফল্যের স্মৃতি । 90 মিনিট ধরে দলকে উৎসাহ বর্ধক গানে ছিল একটাই আকুতি, ফিরিয়ে আন আই লিগ । লাল হলুদ ফুটবলারদের পাসিং ফুটবল চোখের তৃপ্তি দিলেও সুযোগ নষ্ট চিন্তার ভাজ বাড়াল ।
আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়া অবশ্য অভয়ই দিচ্ছেন । তাঁর কথায়, "আমি দলের খেলখয় সন্তুষ্ট । একটা বড় ম্যাচ খেলতে নেমেছিলাম আমরা । বলের দখল রেখে অনেক সুযোগ তৈরি করেছি । প্রতিপক্ষ একটা সুযোগ থেকে গোল করেছে । আমরা ভেঙে না পড়ে ধৈর্য ধরে নিজেদের পরিকল্পনা মত খেলে গিয়েছি । আমরা ড্র করেছি । কিন্তু একটা দল যাদের রক্ষণ যথেষ্ট শক্তিশালী তাদের বিরুদ্ধে আমরা জিততেও পারতাম । আমরা জেতার ব্যাপারে যোগ্য দল ছিলাম ।"
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল লাল হলুদ ব্রিগেড । বিরতির পরে নতুন ভাবে আরও আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকে তারা । বিরতিতে সাজঘরে পিছিয়ে থাকা নিয়ে চিন্তার বদলে নিজেদের লক্ষ্যে স্থির থাকার কথা ছেলেদের বলেছিলেন কোচ । তবে প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকার ক্রিজোর প্রশংসা করলেও আলেয়ান্দ্রো মানছেন ছোটো ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে । আরও কড়া ভাবে নজরে রাখা উচিত ছিল । ম্যাচের সেরা জুয়ান মেরা গঞ্জালেস বলেছেন, ম্যাচটি কঠিন ছিল । তবে ওরা ভালো খেলেছে । জিততে পারলে আরও ভালো লাগত ।
আজ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলতে রওনা হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল । ম্যাচ শনিবার ।