কলকাতা, 13 অক্টোবর : নিজেদের অনুশীলনকে তিন ভাগে ভাগ করে ভারতের সঙ্গে ম্যাচের প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ । গতকাল অনুশীলন খোলা মাঠে হলেও আজ প্রস্তুতি ঘেরাটোপের মধ্যেই সারলেন পদ্মা পাড়ের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে । বল পজেশন, বল উইন অ্যান্ড অ্যাটাক এবং ফিনিশিং - মূলত এই তিনভাগে দলের অনুশীলনকে ভাগ করেছিলেন জেমি । সহকারী কোচ মাসুদ বলছেন বিশ্বক্রমপর্যায়ে ও দক্ষতায় ভারত এখন বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে ।
ISL ও সুনীল ছেত্রী নামক বিশ্বমানের স্ট্রাইকারের উপস্থিতিই ভারতের এগিয়ে থাকার কারণ বলে মনে করছে বাংলাদেশ । দলের সহকারী কোচ মাসুদ জানিয়েছেন, সুনীলকে জ়োনাল মার্কিংয়ে রাখার পাশাপাশি তাঁর সাপ্লাই লাইনও কাটতে চান । ইতিমধ্যে অনুশীলনে বিষয়টি নিয়ে ঘষামাজা হয়েছে ।
পরিসংখ্যান বলছে, 2011 সালে বাংলাদেশ 94 মিনিট পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে ছিল । কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে বাঁচিয়ে দেন সুনীল ছেত্রী । 2014 সালে গোয়ায় দীপক মণ্ডলের আত্মঘাতী গোলে বাংলাদেশ 2-1 ব্যবধানে এগিয়ে ছিল । কিন্তু সেবারও 92 মিনিটে গোল করে বর্তমান ভারতীয় দলের অধিনায়ক । তাই সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে বাড়তি সতর্কতার যে প্রয়োজন রয়েছে তা মানছেন জেমি ডে-র ছেলেরা ।
দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলার মামনুল ইসলামের মতে , দু'দলের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে ভারত অধিনায়কের নৈপুণ্য । 2014 সালে ATK-র হয়ে ISL খেলেছিলেন মামনুল । 13 বছর দেশের হয়ে খেলা এই ফুটবলার বলছেন, যাই হোক না কেন পিছনে ফিরে তাকাতে তাঁরা রাজি নন । কলকাতায় মামনুলের সুখ-দুঃখের দুই স্মৃতি রয়েছে । মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে বাংলাদেশির থেকে ভারতীয় সমর্থক বেশি সংখ্যায় থাকবে তা তিনি জানেন । কিন্তু তাতে সামান্য চিন্তিত নন মামনুল । বরং উপস্থিত বাংলাদেশি সমর্থকরা যাতে মাথা উঁচু করে স্টেডিয়াম ছাড়তে পারেন সেই ব্যবস্থা পাকা করাই লক্ষ্য ATK-র এই প্রাক্তনীর ।
কুয়েত ম্যাচের ভালো পারফরমেন্সের পুনরাবৃত্তি কলকাতায় করতে চায় বাংলাদেশ । সেনাবাহিনীর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের গোলরক্ষক রানার । প্রাক্তন এই সেনানির মুখে সুনীল ছেত্রীর গোল করার ক্ষমতা ও গুরপ্রীত সিং সান্ধুর গোল বাঁচানোর দক্ষতার কথা শোনা গেছে বারবার । দিনের শেষে তিন পয়েন্টের শপথ বাংলাদেশের সাজঘরে ।