কলকাতা, 5 মে : ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যের কোনও তুলনা চান না তিনি । কলকাতা ময়দান, ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় চল্লিশ বছরের । বর্ণময় ফুটবলার জীবনের পাশাপাশি কোচ হিসেবে সাফল্য নজরকাড়া । ফুটবলার সুব্রতর যাবতীয় সাফল্য সবুজ মেরুন জার্সিতে । কিন্তু কোচ সুব্রত মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল দুই প্রধানেই সাফল্য পেয়েছেন ।
কোচ সুব্রত এবার সাদা কালো ডাগ আউটে । পাশাপাশি তিন প্রধানেই কোচ হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন ময়দানের বাবলু ভট্টাচার্য। কোচ হিসেবে তাঁর নাম মহমেডান কর্তারা ঘোষণা করতেই সাদা কালো সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছেন । ময়দানের তৃতীয় প্রধানের ইচ্ছের কথাটা বুঝতে পারছেন । তবে মহমেডানের তাঁবুতে পা দেওয়ার আগে চাপে নেই সুব্রত ভট্টাচার্য । বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতেও চান না । সাদা কালো শিবিরের নতুন হেড মাস্টার বলেন, "আমার আর কোনও কিছু প্রমাণ করার নেই । সব সাফল্য আমি পেয়েছি । তাই মহমেডানের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে চাপ অনুভব করছি না ।"
মহমেডান মানে এখন স্মৃতির ভিড় । সুব্রত মানছেন মহমেডান জনতার উন্মাদনার কথা । তাঁর মতে মহমেডান চিরকালই লড়াকু দল । অনেক বড় বড় ফুটবলার খেলেছেন এই ক্লাবে । সময়ের সঙ্গে তাল রাখতে না পারাতে পিছিয়ে পড়লেও ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে ।" তিনি আরও বলেন, "ভারতীয় ফুটবলে অনেক ক্লাব উঠে গেছে । কিন্তু মহমেডান বহু ব্যর্থতাতেও লড়াই ছাড়েনি । ভারতীয় ফুটবলে বিদেশিরা পার্থক্য গড়ে। ভালো মানের বিদেশি নিতে পারলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।"
কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের চ্যালেঞ্জ সামলাতে কর্তাদের সঙ্গে দল নিয়ে আলোচনায় বসবেন । গত মরসুমে কোচ রঘু নন্দী সীমিত ক্ষমতা নিয়ে ময়দানের দুই প্রধানকে বেগ দিয়েছিলেন । সুব্রত ডাগ আউটে বসা মানে বাকি দুই প্রধানের বিদেশি কোচের সঙ্গে ফুটবল বুদ্ধির দ্বৈরথ ।
এদিকে বিদেশি কোচ প্রসঙ্গে মুব্রত বলেন, "আরে ছাড়ুন তো বিদেশি কোচ । ওদের সামলে তো আমার যাবতীয় সাফল্য । আর বিদেশি কোচ এদেশের ফুটবলে কি পরিবর্তন নিয়ে এসেছে ? চারটে পাস সঠিক হয় না । শুধুই কথার ফুলঝুড়ি । মোহনবাগানকে শেষ আই লিগ দিল সঞ্জয় সেন। সে তো চেতলার বাঙালি। ইস্টবেঙ্গলের আই লিগ তো সেই ভোম্বলদার কোচিং এ। তাহলে এত লাফালাফির কী আছে?"
মহমেডানকে নিয়ে দ্রুত প্র্যাকটিস শুরু করতে চান । প্রিসিজ়ন শুরু করা নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে । তবে তা তিনি কলকাতাতে করতে চান সুব্রত ভট্টাচার্য ।