কলকাতা, 5 মে : বছর খানেক আগে আগুনে প্রায় সবকিছু শেষ হয়ে যায় । তারপর থেকে আর সংস্কার হয়নি । শুধু প্রতিশ্রুতিই সার । হয়নি পুনর্নির্মাণের কাজ । তাই আগের জৌলুস আর নেই । তবে ঐতিহ্যের ফল্গুধারা আজও বয়ে চলে। কলকাতা ময়দানের সঙ্গে পদ্মাপারের সম্পর্কের যোগ অদৃশ্যভাবে বহন করে চলেছে এই উয়াড়ি ক্লাব। সাম্প্রতিক সময়ে প্রীতম কোটাল,কিংশুক দেবনাথ, জয়ন্ত সেনদের ময়দানে পরিচিতি দেয় এই উয়াড়ি ক্লাব। তারও আগে কিংবদন্তি বাঘা সোমের দুই পুত্র অসীম এবং তাপস সোম ,পরিমল দে,অসীম মৌলিক, শান্ত মিত্র,সমরেশ চৌধুরি, দিলীপ পালিত, তুষার রক্ষিত,উত্তম চক্রবর্তীদের ফুটবল গরিমায় উজ্বল ছিল এই উয়াড়ি।
121বছর আগে 1898 সালে বাংলাদেশের মাটি থেকে ময়দানে শাখা ক্লাব হিসেবে পথ চলা শুরু হয়েছিল এই ক্লাবের। গতবছর 1 এপ্রিল ভোরে ক্লাবের ফ্রিজ থেকে শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লাগে । ফুটবল, ক্রিকেটের সব সরঞ্জাম ভষ্মীভূত হয়েছিল। উয়াড়ি কর্তা সেদিন খুব আক্ষেপ করেছিলেন । লাখ টাকার উপর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেদিন সকালে সহমর্মিতা জানাতে অনেকেই ছুটে এসেছিলেন। প্রতিশ্রুতি মিলেছিল অনেক। কিন্তু সাহায্য সেই তুলনায় কম। তবুও সবকিছু মিলিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন উয়াড়ি কর্তারা। 14 লাখ টাকার দরকার। সচিব প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, "পয়লা বৈশাখ থেকে কাজ শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু লকডাউনে সব থমকে।"
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু সাহায্য করবেন বলেছেন। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। পাশে থাকবে IFA ও CAB । বিষয়টি দুঃখজনক বলছেন কিংশুক দেবনাথ । প্রয়োজনে সাহায্য করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি । ATK-র তারকা ফুটবলার প্রীতম কোটালের মুখেও সাহায্যের আশ্বাস। মাঝে একটা বছর অতিবাহিত। কিন্তু মেয়ো রোডের ধারে শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাব এখনও তার অগ্নিদগ্ধ চেহারা নিয়ে আশ্বাসের ভরসায় দাঁড়িয়ে ।