কলকাতা, 11 মে : যাঁর ক্রীড়া নৈপুণ্যের কারণে বিশ্ব ও এশিয়ার মঞ্চে দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছে একাধিকবার, বেজেছে জাতীয় সংগীত, তাঁর পরলোকগমনে দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি টুইটও করলেন না । এটা হতাশাজনক । এভাবেই চুনী গোস্বামীর মৃত্যুর পর দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসকের নিশ্চুপ থাকার সমালোচনায় ফুটবল মহল।
একমাসের ব্যবধানে ভারতীয় ফুটবলের সেরা দুই ব্যক্তিত্ব পরলোকে । প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরলোক গমনের কয়েকদিন পরেই লকডাউন শুরু হয়েছে । যা অব্যাহত। অন্যদিকে চুনী গোস্বামীও এগারো দিন আগে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন । এই দুই ক্রাউড পুলারের বিদায় বেলায় প্রত্যাশিত শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের ঢল নামল না । তার কারণ হল কোরোনা মহামারী । প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল পরিবারের তরফে । গতকাল চুনী গোস্বামীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও লোক সমাগম কার্যত শূন্য । অতি নিকটাত্মীয় ছাড়া বাকিদের প্রবেশাধিকার ছিল না। যোধপুরপার্কের বাড়িতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং সুজিত বসু উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সাংসদ সৌগত রায় । তাঁরাই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান ।
চুনী গোস্বামীর পরলোকগমনের দিনেও যাবতীয় তদারকি করেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু । প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর দিনে শেষযাত্রা সম্ভব হয়নি সামাজিক দূরত্বের কারণে । একই কারণে চুনী গোস্বামীরও শেষযাত্রা হল নিশব্দে । অথচ দু'জনেই ছিলেন আড্ডাবাজ । দু'জনেই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন । আজও যাঁদের ক্রীড়ানৈপুণ্য়ের গল্পে সকলে মেতে ওঠেন। সেই তাঁরাই বিদায়বেলায় প্রস্থান করলেন আড়ম্বরহীনভাবে । কলকাতা ময়দান এই দুই ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারছে না লকডাউনের কারণে । ইস্টবেঙ্গল ক্লাব অনলাইনে শ্রদ্ধাবাসর করেছে । তাই বলা যায়, চুনী গোস্বামী এবং প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সেরা সময়ে মাতিয়ে রাখলেও বিদায়ক্ষণ বাছতে ভুল করলেন ।