কল্যাণী, 9 ফেব্রুয়ারি: তর্জন-গর্জনই সার । মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত লড়াই দিতে ব্যর্থ পঞ্জাব FC । ফলে, অগোছালো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয় পেতে সমস্যা হয়নি মোহনবাগানের । রবিবার কল্যাণীর মাঠে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে 1-0 গোলে জিতল সবুজ মেরুন । গোলদাতা পাপা বাবা দিওয়াড়া । ঘরের মাঠে এই জয়ের সুবাদে 11টি ম্যাচ খেলে 26 পয়েন্টে পৌঁছে গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা পঞ্জাবের সঙ্গে মোহনবাগানের পয়েন্টের ফারাক 9 ৷
রবিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে পঞ্জাব FC-র বিরুদ্ধে ম্যাচটি ছিল চলতি আই লিগের অন্যতম আকর্ষণীয় ম্যাচ । ম্যাচটি পঞ্জাব জিতলে পয়েন্ট টেবিলের অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৷ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রয়োজনীয় সময়ে জ্বলে উঠল মোহনবাগান । 42 মিনিটে ধনচন্দ্র সিংয়ের লম্বা থ্রো থেকে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন পাপা বাবা দিওয়াড়া । লা লিগায় খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সেনেগালের স্ট্রাইকারটি মোহনবাগানের অন্যতম ভরসা । প্রথম তিনটে ম্যাচে গোল পাননি তিনি । ডার্বিতে গোলের খাতা খোলার পর থেকেই স্কোরবোর্ডে নাম তোলা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন । শেষ চার ম্যাচে পাঁচটি গোল করলেন তিনি । এই নিয়ে টানা চারটি ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেলেন । এদিন ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিজের ছেলেকে উৎসর্গ করেন পাপা । ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে ব্যক্তিগত সাফল্য নয় বরং দলগত সংহতির কথা বললেন সেনেগালের স্ট্রাইকার ।
দলগত সংহতিতে ভর করেই আজ পঞ্জাব FC-কে হারিয়েছে মোহনবাগান । টুর্নামেন্টে আট গোল করা ডিপান্ডা ডিকাকে আটকাতে জ়োনাল মার্কিংয়ে ছক সাজিয়ে ছিলেন কোচ কিবু ভিকুনা । প্রতিপক্ষের সেরা স্ট্রাইকারকে আটকে রেখে দিলেন সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডাররা । রবিবার কল্যাণীতে সবুজ-মেরুন আক্রমণকে নেতৃত্ব দিলেন তুর্সনোভ । তার অক্লান্ত ফুটবল পঞ্জাব FC-কে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল । যার ফলে প্রথমার্ধে অগোছালো ফুটবল খেললেন কেভিন লোবো, সঞ্জু প্রধানরা । বিরতির পর শেষ কুড়ি মিনিট খেলা নিয়ন্ত্রণ করলেও তা মোরান্তে, ফ্রান গঞ্জালেসকে টপকে গোল করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না । 61মিনিটে বেইতিয়ার ফ্রিকিক থেকে মোরান্তে গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল করেন রেফারি ।