কলকাতা, 10 জুলাই : এটিকে মোহনবাগানের নতুন পথ চলাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার । তাঁর মতে সময়োচিত পদক্ষেপ । এই সিদ্ধান্তের পিছনের লোকগুলোকে কৃতিত্ব দিলেন তিনি । কারণ ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তার মতে, সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে চললেই এগিয়ে চলা সম্ভব । ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে গাঁটছড়া দরকার । একই সঙ্গে অস্তিত্ব রক্ষাও জরুরি ।
এটিকে মোহনবাগানের প্রথম বৈঠকের শেষে ঐতিহ্যকে গুরুত্ব পাওয়ায় খুশি ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা । বলেন, এই দেশের ফুটবলে তিন প্রধানের আবেগ সর্বস্ব দর্শক সারা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না । এই সংযুক্তি ইস্টবেঙ্গলের পথ খুলল কি না, এই প্রশ্নে লাল হলুদ কর্তা বলন, সঠিক সময়ে এই ব্যাপারে সবাইকে জানানো হবে ।
মোহনবাগানের ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য এই পথ চলাকে স্বাগত জানিয়েছেন । তাঁর মতে, "যে ব্যক্তি বা সংস্থা অর্থ দেবে তার শর্ত মানতে হবে । এক্ষেত্রে লোগো, জার্সির রং বদল হয়নি । তারজন্য অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে । তবে অর্থ এর আগেও এসেছে । কিন্তু তার সঠিক ব্যবহার জরুরি । না হলে কিছুদিনের মধ্যে ভেঙে পড়বে । সঠিক উন্নত পরিকাঠামো, নতুন ফুটবলার তুলে আনার কাজ করতে হবে । না হলে অবস্থার পরিবর্তন হবে না ।"
সবুজ মেরুনের আর এক ঘরের ছেলে সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় এই মেলবন্ধনকে ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার একসাথে পথচলা বলছেন । "সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টুটু দা, টুম্পাই, দেবাশিস । এতদিন আমরা শুধু ঘরোয়া খেলাতেই ব্যস্ত থাকতাম বা ব্যস্ত থাকতে বাধ্য হতাম । এবার দৃষ্টি বড় করতে পারব । প্রথমে এশীয় মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরতে হবে তারপর বিশ্বস্তরে মেলে ধরার চেষ্টা করতে হবে আমাদের ।"
তবে মহামেডানের নবনিযুক্ত সচিব ওয়াসিম আক্রম এই পথ চলাকে স্বাগত জানাতে রাজি নন । তাঁর মতে, "ভীষণ দুঃখ পেলাম মোহনবাগানের নামের আগে অন্য ক্লাবের নাম বসতে দেখে । সদস্য সমর্থকদের আবেগের মূল্য দিলেন না ক্লাব কর্তারা । আমি আমাদের ক্লাবের নামের আগে অন্য ক্লাবের নাম কখনই বসতে দেব না । লোগোটা দেখুন । সেটা বদলে ফেলা হয়েছে । মোহনবাগানের মতো প্রাচীনতম ক্লাবের এই পদক্ষেপ আমার মতে দুঃখজনক ঘটনা ।"