পানাজি, 3 ডিসেম্বর : জয়ের হ্যাটট্রিক এটিকে-মোহনবাগানের । রয় কৃষ্ণের শেষ মুহূর্তের গোলে জয় হাবাসের ছেলেদের । ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসি-র সঙ্গে 1-0 গোলে জয় ছিনিয়ে নিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা । টানা তিন ম্যাচে গোল করে রয় কৃষ্ণ বোঝালেন চলতি আইএসএলে তিনি ফের সেরা গোলদাতার দৌড়ে ফ্রন্ট রানার । ওড়িশার বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকলেও শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠে দলের জন্য জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসলেন ।
প্রথম দুই ম্যাচের তীক্ষ্ণতা এটিকে-মোহনবাগান শুরুতে দেখাতে ব্যর্থ । রয় কৃষ্ণের সঙ্গে মনবীর সিংকে জুড়ে দিয়ে প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন আন্তেনিও লোপেজ হাবাস । কিন্তু ওড়িশা এফসি প্রতিপক্ষের পাতা ফাঁদে পা দেওয়ার ভুল করেনি । কোচ স্টুয়ার্ট উইলিয়াম বাক্সটার পূর্ব পরিচয়ের কারণে হাবাসকে চেনেন । তাঁর রণনীতি অপরিচিত নয় । ফলে দুই ব্রাজ়িলিয়ান স্ট্রাইকার মার্সেলিনহো এবং দিয়েগো মাউরিসিয়োকে এগিয়ে দিয়ে সবুজ মেরুন রক্ষণকে চাপে রাখলেন । বল দখলের শতাংশের লড়াইয়ে সন্দেশ ঝিঙ্গানরা এগিয়ে ছিলেন । রয় কৃষ্ণ, মনবীরদের পায়ের জঙ্গলে আটকে রেখে বিরতির আগে বাজিমাত ওড়িশার । ভারতীয় ডিফেন্ডার গৌরব বোরহাকে বুদ্ধি করে ব্যবহার করে রয় কৃষ্ণকে থামিয়ে রেখেছিলেন উইলিয়াম বাক্সটার । তাঁকে যোগ্য সহায়তা করলেন স্টিভেন টেলর ।
দুই দলই প্রতি আক্রমণে বাজিমাতের কৌশল নিয়েছিল । হাবাসের এই কৌশলের সফল রূপায়ণে অন্যতম সেরা অস্ত্র প্রবীর দাস । কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রবীরের উইং ধরে দৌড়ে ওড়িশা রাশ টানতেই এটিকে-মোহনবাগান নিষ্প্রভ । এর সঙ্গে এডু গার্সিয়ার চোট হাবাসের সমস্যা বাড়িয়েছে । মাঝমাঠে ব্র্যাড ইনমান, জাভি হার্নান্দেজ রয়েছেন । কিন্তু পরিচিত বোঝাপড়া দেখা যায়নি ।
বিরতির আগে 34 মিনিটে ওড়িশা সহজ সুযোগ থেকে গোল করতে ব্যর্থ । দ্বিতীয়ার্ধে মার্সেলিনহো চোট পেয়ে বেরিয়ে যেতে ওড়িশার আক্রমণ নিষ্প্রভ হয়ে যায় । তা সত্ত্বেও এটিকে-মোহনবাগান ফায়দা তুলতে ব্যর্থ । কারণ ওড়িশার ব্যাকফোর এবং মিডফিল্ডারদের অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল ।