কলকাতা, 10 এপ্রিল: কলকাতা ফুটবলের নতুন মরশুমের ভবিষ্যৎ কী ? বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন ময়দানে বারপুজোর মধ্য দিয়ে কলকাতা ফুটবলের প্রহর গোনা শুরু হয়ে যায় । কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের প্রকোপে খেলাধুলোটাই যে এখন অনিশ্চিত ।
প্রথম থেকে পঞ্চম ডিভিশন, এই পাঁচটি বিভাগে কলকাতার ফুটবল । নতুন নতুন ফুটবলার উঠে আসার পথও বটে । 200টি ক্লাবের 4500 জন ফুটবলার এই পাঁচটি ক্লাবে খেলে থাকেন । মোট 2500টি ম্যাচ হয়ে থাকে । কিন্তু লকডাউনে সব বন্ধ থাকায় কলকাতা ময়দানে ফের কবে বল গড়াবে সেটাই এখন বড় ভাবনার বিষয় । স্বাভাবিক সময়ে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো বড় দলের ম্যাচে বল গড়ানো শুরু হয় । তার আগে থেকে নিচের ডিভিশনের খেলা শুরু হয়ে যায় । বারপুজোর একমাসের মধ্যে দলবদল পর্ব মিটিয়ে পঞ্চম ডিভিশনের খেলা শুরু হয় । তারপর ধাপে ধাপে এগোতে থাকে চতুর্থ, তৃতীয়, দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলা ।
IFA সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলছেন, তাঁরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন । তবে লকডাউনের পরই ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি মিলবে না সেটা তাঁরা জানেন । তা ছাড়া ক্লাবগুলোকে মাঠে নামার জন্য তৈরি হওয়ারও সময় দিতে হবে । তাই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে IFA । শুধু ফুটবলাররাই নন, কলকাতা ফুটবলের সঙ্গে জড়িত থাকে রেফারি, ময়দানের ক্যান্টিনের রুজি-রোজগার । কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেদিকে তাকিয়ে তারাও ।
লকডাউনের জেরে অর্থনীতির উপর চাপ পড়ার কথা বলছে বিশেষজ্ঞরা । তার প্রভাব কলকাতা ফুটবলে পড়বে বলে আশঙ্কা ক্লাব কর্তাদের । মরশুম চালাতে কোথা থেকে অর্থ জোগাড় হবে, সেটাই ভাবাচ্ছে পঞ্চম ডিভিশনের এ গ্রুপের সারদাচরণ অ্যাথলেটিক ক্লাবের সচিব কৌশিক বসু এবং টাউন ক্লাবের সহ সচিব সুফল গিরিকে । এই অবস্থায় কলকাতা লিগের খেলা শুরু হওয়া কি সম্ভব ? ক্লাব কর্তাদের একাংশ বলছেন, ফরম্যাট বদল করে লিগ আয়োজন করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা করা যেতেই পারে । আবার আরেক পক্ষ বলছে, বল গড়াতে গড়াতে জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পার হয়ে যাবে । এই অবস্থায় পঞ্চম ডিভিশন থেকে লিগ শুরু করা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব।
কোরোনা ভাইরাস এবারের কলকাতা লিগের উপর বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন এঁকে দিয়েছে ।