ETV Bharat / sports

''চুনীর জন্যই আজ বলরাম হয়েছি''

এই চুনী গোস্বামীর সঙ্গে একসময়ে মাঠে মন প্রাণ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন । কিন্তু মাঠের বাইরেও কি চুনী গোস্বামীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্ক ছিল ? সতীর্থের মৃত্যুতে নিজেদের সেই সম্পর্কের কথাই চোখে জল নিয়ে বললেন ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম ।

Tulsidas Balaram
তুলসীদাস বলরাম
author img

By

Published : May 1, 2020, 9:30 AM IST

Updated : May 1, 2020, 12:34 PM IST

কলকাতা, 1 মে : চুনী গোস্বামী আর নেই । খবরটা পাওয়ার পর 10 মিনিট কথা বলতে পারেননি । খালি চোখ দিয়ে জল পড়ছিল । অথচ এই চুনী গোস্বামীর সঙ্গে একসময়ে মাঠে মন প্রাণ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন । মাঠের বাইরেও কি চুনী গোস্বামীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্ক ছিল ? সতীর্থের মৃত্যুতে নিজেদের সেই সম্পর্কের কথা চোখে জল নিয়ে বললেন ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম ।

তুলসীদাস জানান, ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে চুনী গোস্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছিল ঠিকই । কিন্তু মাঠের বাইরে তাঁরা দু'জন বন্ধুই ছিলেন । আর পাঁচ জন বন্ধুর মতো তুলসীদাসকেও নাম ধরেই ডাকতেন চুনী ।

বন্ধুর সঙ্গে একসময় মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সেই সব মুহূর্তই আজ তুলসীদাসের স্মৃতিতে ভিড় করে আসছিল । জানালেন, কীভাবে চুনী গোস্বামীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর । কীভাবে এই চুনি গোস্বামীর জন্যই তিনি একজন সাধারণ ছেলে থেকে ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম হয়ে উঠেছিলেন । তুলসীদাস বলেন,"প্রথমবার চুনীর সঙ্গে দেখা 1956 সালে । ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন শিপ খেলতে এসেছিলেন বাংলার হয়ে । আমি তখন হায়দরাবাদের হয়ে খেলতাম । চুনী গোস্বামী তখন থেকেই জনপ্রিয় ছিলেন । ওঁর ওই জনপ্রিয়তা দেখেই আমার হিংসা হয়েছিল । আমার মধ্যে একটা জেদ চেপে যায় । ও যদি খেলতে পারে । আমি কেন খেলতে পারব না । সেখান থেকেই আমার লড়াই শুরু । তারপর অলিম্পিকে আমি সুযোগ পাই । পরে আমি কলকাতায় ফিরে আসি । ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলা শুরু করি । চুনী তখন মোহনবাগানে । চুনী গোস্বামীর জন্যই আমি তুলসীদাস বলরাম হয়েছি । "

মাঠের বাইরে আমরা বন্ধু ছিলাম

1958 থেকে 1962 পর্যন্ত চুনী গোস্বামীর সঙ্গে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তুলসীদাস । কয়েকমাস আগে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দেখা হয়েছিল দু'জনের । সেখানে তাঁদের আর এক সতীর্থ উপস্থিত ছিলেন । তিনি হলেন পি কে । তিনিও সম্প্রতি মারা গেছেন । দুই বন্ধুর সঙ্গে শেষ আলাপের কথা বলার সময় গলা ভারী হয়ে যায় তুলসীদাসের । বলেন, "ওঁরা দু'জনেই সেদিন হুইল চেয়ারে এসেছিলেন । অথচ ওঁরাই একদিন মাঠ কাঁপাত । আজ পিকে নেই । চুনীও নেই । সত্যিই মিস করব । ফুটবলও ওঁদের মিস করব । কিন্তু এটা মেনে নেওয়া ছাড়া তো কোনও উপায় নেই । সকলেরই বয়স হচ্ছে । আমিও একদিন চলে যাব । কিন্তু আমাদের তিন জনের নাম থেকে যাবে । "

কলকাতা, 1 মে : চুনী গোস্বামী আর নেই । খবরটা পাওয়ার পর 10 মিনিট কথা বলতে পারেননি । খালি চোখ দিয়ে জল পড়ছিল । অথচ এই চুনী গোস্বামীর সঙ্গে একসময়ে মাঠে মন প্রাণ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন । মাঠের বাইরেও কি চুনী গোস্বামীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্ক ছিল ? সতীর্থের মৃত্যুতে নিজেদের সেই সম্পর্কের কথা চোখে জল নিয়ে বললেন ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম ।

তুলসীদাস জানান, ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে চুনী গোস্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছিল ঠিকই । কিন্তু মাঠের বাইরে তাঁরা দু'জন বন্ধুই ছিলেন । আর পাঁচ জন বন্ধুর মতো তুলসীদাসকেও নাম ধরেই ডাকতেন চুনী ।

বন্ধুর সঙ্গে একসময় মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সেই সব মুহূর্তই আজ তুলসীদাসের স্মৃতিতে ভিড় করে আসছিল । জানালেন, কীভাবে চুনী গোস্বামীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর । কীভাবে এই চুনি গোস্বামীর জন্যই তিনি একজন সাধারণ ছেলে থেকে ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম হয়ে উঠেছিলেন । তুলসীদাস বলেন,"প্রথমবার চুনীর সঙ্গে দেখা 1956 সালে । ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন শিপ খেলতে এসেছিলেন বাংলার হয়ে । আমি তখন হায়দরাবাদের হয়ে খেলতাম । চুনী গোস্বামী তখন থেকেই জনপ্রিয় ছিলেন । ওঁর ওই জনপ্রিয়তা দেখেই আমার হিংসা হয়েছিল । আমার মধ্যে একটা জেদ চেপে যায় । ও যদি খেলতে পারে । আমি কেন খেলতে পারব না । সেখান থেকেই আমার লড়াই শুরু । তারপর অলিম্পিকে আমি সুযোগ পাই । পরে আমি কলকাতায় ফিরে আসি । ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলা শুরু করি । চুনী তখন মোহনবাগানে । চুনী গোস্বামীর জন্যই আমি তুলসীদাস বলরাম হয়েছি । "

মাঠের বাইরে আমরা বন্ধু ছিলাম

1958 থেকে 1962 পর্যন্ত চুনী গোস্বামীর সঙ্গে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তুলসীদাস । কয়েকমাস আগে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দেখা হয়েছিল দু'জনের । সেখানে তাঁদের আর এক সতীর্থ উপস্থিত ছিলেন । তিনি হলেন পি কে । তিনিও সম্প্রতি মারা গেছেন । দুই বন্ধুর সঙ্গে শেষ আলাপের কথা বলার সময় গলা ভারী হয়ে যায় তুলসীদাসের । বলেন, "ওঁরা দু'জনেই সেদিন হুইল চেয়ারে এসেছিলেন । অথচ ওঁরাই একদিন মাঠ কাঁপাত । আজ পিকে নেই । চুনীও নেই । সত্যিই মিস করব । ফুটবলও ওঁদের মিস করব । কিন্তু এটা মেনে নেওয়া ছাড়া তো কোনও উপায় নেই । সকলেরই বয়স হচ্ছে । আমিও একদিন চলে যাব । কিন্তু আমাদের তিন জনের নাম থেকে যাবে । "

Last Updated : May 1, 2020, 12:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.