ETV Bharat / sports

মশাল নিভতেই কান্না, তীরে এসে তরী ডোবার ট্র্যাডিশন অব্যাহত ইস্টবেঙ্গলের

চেন্নাইয়ের জয়ে আরও একবার স্বপ্ন ভেঙে গেল লাল-হলুদ শিবিরের। শেষপর্যন্ত জিতলেও ক্লাবে মশাল জ্বলল না। অধরা থাকল আই লিগ খেতাব।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Mar 10, 2019, 2:09 AM IST

কলকাতা, ১০ মার্চ : সামনে ছিল আই লিগ জেতার হাতছানি। ১৬ বছরের খরা কাটানোর সুযোগ। জিততেই হত ইস্টবেঙ্গলকে। আর হারতে বা ড্র করতে হত চেন্নাইকে। কিন্ত, কোঝিকোড়ে ম্যাচ। তাই বুকে আশা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে জায়ান্ট স্ক্রিনে ম্যাচ দেখানো হয়। প্রিয় দলের খেলা দেখতে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবে তিলধারণের জায়গা ছিল না। কিন্তু, শেষপর্যন্ত জিতলেও ক্লাবে মশাল জ্বলল না। চেন্নাইয়ের জয়ে আরও একবার স্বপ্ন ভেঙে গেল লাল-হলুদ শিবিরের।

ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে সদস্য-সমর্থকদের হাসি-কান্না-আফসোস, আবেগের সাক্ষী হয়ে রইল কলকাতা ময়দান। চেন্নাই সিটি তাঁদের প্রতিপক্ষের তুলনায় ধারে ভারে এগিয়ে। তবুও প্রথমে মিনার্ভা পঞ্জাবের গোল করার খবরে লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। যে কোনও মূল্যে শেষ ম্যাচ জিততে হবে। ম্যাচের তিন মিনিটেই মিনার্ভার গোলে আশা বেড়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু, নিজেদের দলের সুযোগ নষ্টের বহর দেখে আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছিল লাল-হলুদ আকাশে। তারই মধ্যে লাল-হলুদ সমর্থকদের চুপ করিয়ে ৬৯ মিনিটে গোল করে গোকুলাম। ঠিক একই সময় ২-১ গোলে এগিয়ে যায় চেন্নাই। ১০ মিনিট পরই জাইমে স্যান্টোস সমতায় ফেরাতে কিছুটা আশার আলো জ্বলে উঠেছিল। ৮৫ মিনিট লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন ডানমাওয়াই। লাল-হলুদ সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন। একদিকে নিজেদের খেলার দিকে চোখ রাখছিলেন। অপরদিকে, নজর ছিল চেন্নাই ম্যাচে। একইসঙ্গে তাঁরা ইস্টবেঙ্গল ও মিনার্ভার হয়ে গলা ফাটাচ্ছিলেন। মিনার্ভা আর একটা গোল করতে পারলেই কাটত আই লিগ খরা। কিন্তু, অতিরিক্ত সময়ে উলটে গোল করে যায় চেন্নাই। তখন ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে পিন পড়লেও শোনা যেত শব্দ। বিস্ময়ে, দুঃখে কেঁদে ফেলেন অনেকে। সকলেই একমত, আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেসের ছেলেরা তাদের কাজটি করেছে। কিন্তু, ফুটবল দেবতা সহায় ছিলেন না।

তবে, শেষ মুহূর্তে ভরাডুবি ইস্টবেঙ্গলের কাছে নতুন বিষয় নয়। এর আগে, ২০০৪-০৫ সালে ইস্টবেঙ্গল, স্পোর্টিং ক্লুব দা গোয়া ও ডেম্পো শেষ ম্যাচ পর্যন্ত খেতাবি দৌড়ে ছিল। কিন্তু, শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ভাস্কোর কাছে হেরে যায়। টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ডেম্পো। প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ২০১০—১১ সালে। ইস্টবেঙ্গল ২২ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্টে ও সালগাওকর ২৪ ম্যাচে ৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিল। বাকি চার ম্যাচের তিনটিতে জয় দরকার ছিল। কিন্তু, চিরাগ ইউনাইটেড ছাড়া বাকি ম্যাচগুলিতে পয়েন্ট নষ্ট করেছিল ইস্টবেঙ্গল। চ্যাম্পিয়ন হয় সালগাওকর। গত মরশুমে শেষ দুটো ম্যাচে জিতলে চ্যাম্পিয়ন হত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, লাজং এফসি ও নেরোকার বিরুদ্ধে ড্র করে ফের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল লাল হলুদের। আর এবার ঘরের মাঠে অপ্রত্যাশিত পয়েন্ট নষ্টের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। এসব তথ্য শুনতে শুনতেই আরও একটা বছরের অপেক্ষা সম্বল করে ক্লাব তাঁবু ছাড়ছিলেন সমর্থকরা।

কলকাতা, ১০ মার্চ : সামনে ছিল আই লিগ জেতার হাতছানি। ১৬ বছরের খরা কাটানোর সুযোগ। জিততেই হত ইস্টবেঙ্গলকে। আর হারতে বা ড্র করতে হত চেন্নাইকে। কিন্ত, কোঝিকোড়ে ম্যাচ। তাই বুকে আশা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে জায়ান্ট স্ক্রিনে ম্যাচ দেখানো হয়। প্রিয় দলের খেলা দেখতে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবে তিলধারণের জায়গা ছিল না। কিন্তু, শেষপর্যন্ত জিতলেও ক্লাবে মশাল জ্বলল না। চেন্নাইয়ের জয়ে আরও একবার স্বপ্ন ভেঙে গেল লাল-হলুদ শিবিরের।

ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে সদস্য-সমর্থকদের হাসি-কান্না-আফসোস, আবেগের সাক্ষী হয়ে রইল কলকাতা ময়দান। চেন্নাই সিটি তাঁদের প্রতিপক্ষের তুলনায় ধারে ভারে এগিয়ে। তবুও প্রথমে মিনার্ভা পঞ্জাবের গোল করার খবরে লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। যে কোনও মূল্যে শেষ ম্যাচ জিততে হবে। ম্যাচের তিন মিনিটেই মিনার্ভার গোলে আশা বেড়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু, নিজেদের দলের সুযোগ নষ্টের বহর দেখে আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছিল লাল-হলুদ আকাশে। তারই মধ্যে লাল-হলুদ সমর্থকদের চুপ করিয়ে ৬৯ মিনিটে গোল করে গোকুলাম। ঠিক একই সময় ২-১ গোলে এগিয়ে যায় চেন্নাই। ১০ মিনিট পরই জাইমে স্যান্টোস সমতায় ফেরাতে কিছুটা আশার আলো জ্বলে উঠেছিল। ৮৫ মিনিট লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন ডানমাওয়াই। লাল-হলুদ সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন। একদিকে নিজেদের খেলার দিকে চোখ রাখছিলেন। অপরদিকে, নজর ছিল চেন্নাই ম্যাচে। একইসঙ্গে তাঁরা ইস্টবেঙ্গল ও মিনার্ভার হয়ে গলা ফাটাচ্ছিলেন। মিনার্ভা আর একটা গোল করতে পারলেই কাটত আই লিগ খরা। কিন্তু, অতিরিক্ত সময়ে উলটে গোল করে যায় চেন্নাই। তখন ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে পিন পড়লেও শোনা যেত শব্দ। বিস্ময়ে, দুঃখে কেঁদে ফেলেন অনেকে। সকলেই একমত, আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেসের ছেলেরা তাদের কাজটি করেছে। কিন্তু, ফুটবল দেবতা সহায় ছিলেন না।

তবে, শেষ মুহূর্তে ভরাডুবি ইস্টবেঙ্গলের কাছে নতুন বিষয় নয়। এর আগে, ২০০৪-০৫ সালে ইস্টবেঙ্গল, স্পোর্টিং ক্লুব দা গোয়া ও ডেম্পো শেষ ম্যাচ পর্যন্ত খেতাবি দৌড়ে ছিল। কিন্তু, শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ভাস্কোর কাছে হেরে যায়। টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ডেম্পো। প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ২০১০—১১ সালে। ইস্টবেঙ্গল ২২ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্টে ও সালগাওকর ২৪ ম্যাচে ৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিল। বাকি চার ম্যাচের তিনটিতে জয় দরকার ছিল। কিন্তু, চিরাগ ইউনাইটেড ছাড়া বাকি ম্যাচগুলিতে পয়েন্ট নষ্ট করেছিল ইস্টবেঙ্গল। চ্যাম্পিয়ন হয় সালগাওকর। গত মরশুমে শেষ দুটো ম্যাচে জিতলে চ্যাম্পিয়ন হত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, লাজং এফসি ও নেরোকার বিরুদ্ধে ড্র করে ফের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল লাল হলুদের। আর এবার ঘরের মাঠে অপ্রত্যাশিত পয়েন্ট নষ্টের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। এসব তথ্য শুনতে শুনতেই আরও একটা বছরের অপেক্ষা সম্বল করে ক্লাব তাঁবু ছাড়ছিলেন সমর্থকরা।

Intro:তার ট্রফি ক‍্যাবিনেটে আর্ন্তজাতিক ট্রফির সংখ্যা এতটাই বেশি অন্য খেলার তারকা খেলোয়াড়দের চোখ কপালে উঠতে পারে। রেশমি কুমারী। বিহারের বাসিন্দা। ঘরকন্না ও চাকরি সামলে ক‍্যারামে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কলকাতায় এসেছেন পেট্রোলিয়াম বোর্ডের চ্যাম্পিয়ন শীপে অংশ নিতে। স্বামী সন্তান সংসার ফেলে চলে এসেছেন। লক্ষ্য খেতাব। জীবনের সবদিক সামলে খেলার জন্যে নিজেকে সপে দেওয়া দেখে বলতেই হয় রেশমী কুমারী সুপার মম।


Body:কলকাতার টলি ক্লাবে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে 26তম পেট্রোলিয়াম স্পোর্টস বোর্ডের ইন্টার ইউনিট ক্যারাম চ্যাম্পিয়ন শীপ। সাতটি ইউনিটের মোট 63 জন খেলোয়াড় এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।
পাড়ার ঠেকে বা ক্লাব ঘরে দুই কিংবা চারজনের ক্যারাম খেলা প্রায় সব জায়গায় দেখা যায়। কিন্তু সেই খেলার সৌজন্যে অর্জুন পুরস্কার লাভ কিংবা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া চমকে দেয়।বিহারের রেশমী কুমারী এখনও তামিলনাড়ুর মারিয়ার মত অর্জুন পুরস্কার পাননি তবে দুবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, দুবারের বিশ্বকাপ জয় দুবার আইসিএফ কাপ জিতেছেন। তালিকা এখানেই শেষ নয়। এর সঙ্গে যখন যুক্ত করতে হবে চারবারের সার্ক চ্যাম্পিয়ন তিনবারের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন নয়বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন তিনবারের ফেডারেশন কাপ চারবারের ইন্টার জোনাল ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন শীপে সেরা হওয়ার কৃতিত্ব। সত্যি অবাক হতে হয়।
দুই সন্তানের জননী রেশমী কুমারী বলছেন বাবা দাদাদের হাত ধরে ক্যারাম খেলার সঙ্গে তার পরিচয়। ধীরে ধীরে খেলাটিকে ভালোবেসেছেন।আত্মস্থ করেছেন। খেলাটি কখন তার সঙ্গী হয়ে গিয়েছে তা বুঝতে পারেননি। পরিবারের সমর্থন প্রথম থেকে ছিল, বিয়ের পরে স্বামী তার খেলার সমর্থক সমালোচক এবং ভরসাস্থল।তাই দুই বাচ্চা কে বাড়িতে রেখে ক্যারাম খেলে বেড়াতে পারছেন।
রেশমী কুমারী র মতে ক্যারাম খেলা সম্পর্কে সাধারণ ধারনার বদল হচ্ছে। খেলাটি র মাধ্যমে ছেলে বা মেয়ে সাফল্যের রাজপথ সহজেই পেতে পারে। তাছাড়া মনসংযোগ এখানে গুরুত্বপূর্ণ। যা আখেরে পড়াশোনায় সাহায্য করে।
চোখ ধাধানো সাফল্যের পরেও প্রত্যাশিত প্রচার নেই। রেশমী কুমারী বলছেন আক্ষেপ থাকলেও অভিযোগ নেই। কারন তারা খেলাটি সম্পর্কে ধারনা বদলের আন্দোলন শুরু করেছেন। আগামী দিন তার ফসল পাবে। ঘরকন্যা সামলে স্বপ্নপূরনের দৌড়। রেশমী কুমারী সব অর্থেই সুপার মম।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.