কলকাতা, 3 মার্চ: ঘরের মাঠে চার্চিলের বিরুদ্ধে ড্র করার পরে কেরালার মাটিতে গোকুলামের বিরুদ্ধেও পয়েন্ট নষ্ট ইস্টবেঙ্গলের । ম্যাচের ফল 1-1। পেনাল্টি থেকে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে গোল ভিক্টর আলেন্সোর। গোকুলাম এফসির গোল মার্কোস জোসেফের। এই ড্র-এর ফলে 15 ম্যাচে 20 পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরেই রইলেন কোলাডো, জুয়ান মেরারা ৷
গোকুলামের এন এইচ সিং এবং হারুনকে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে পাঠান রেফারি ৷ প্রতিপক্ষকে নয়জনে পেয়েও ম্যাচ বের করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। শুরুর নয় মিনিটের মধ্যে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল গোকুলাম। পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। মারিও রিবেরা কাশিমকে এই ম্যাচে মেহতাব সিংয়ের সঙ্গে কাশিম আইদারাকে রক্ষণ সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মাঝমাঠে ভিক্টর পেরেজ়ের সঙ্গে লোহুলপুইয়া,জুয়ান মেরা, ব্র্যান্ডনকে জুড়ে দিয়েছিলেন। আক্রমণে মার্কোসের সঙ্গে কোলাডোকে নামালেও ইস্টবেঙ্গলকে দেখে কখনও মনে হয়নি খেলার নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠতে পারে। পিছিয়ে পড়ে বেশ কয়েকবার গোল করার পরিস্থিতি তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সুযোগ নষ্টের অভ্যাস তাদের সমতায় ফিরতে দেয়নি ।
এই ম্যাচে মারকুটে ফুটবল খেলছিল গোকুলাম । ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে মারিও রিবেরা বলেছেন, প্রতিপক্ষ রেসলিং করতে নেমেছিল। এই ম্যাচ থেকে ফুটবলাররা চোট না পাওয়ায় তিনি খুশি । গোকুলামের মারকুটে ফুটবলের ফলস্বরূপ 24 মিনিটে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করতে ভুল করেননি ভিক্টর পেরেজ়। 49 মিনিটে জুয়ান মেরাকে ফাউল করে এন এইচ সিং দ্বিতীয় বার হলুদ কার্ড দেখেন। রেফারি তাকে মার্চিং অর্ডার দিলে বাকি সময় গোকুলাম দশজনে খেলে। প্রতিপক্ষকে দশজনে পেয়েও ইস্টবেঙ্গল ফায়দা তুলতে ব্যর্থ হয়। দুবার পোস্ট এবং বার লাল হলুদের এগিয়ে যাওয়ার অন্তরায় হলেও, বলতে দ্বিধা নেই প্রতিপক্ষ দশজনে হয়ে যাওয়ার সুবিধা নিতে তারা ব্যর্থ। বরং একটা সময়, গোকুলামের আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল।
মার্কোস রিবেরার কোচিং এর বৈশিষ্ট্য সেটপিসে বাজিমাত। কিন্তু একাধিক বার ভালো জায়গা থেকে ফ্রি-কিক পেয়ে তা থেকে ফায়দা তুলতে ব্যর্থ জুয়ান মেরা, ভিক্টররা। 94মিনিটে হারুন দ্বিতীয় বার হলুদ কার্ড দেখায় তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। গোকুলাম নয়জনে হয়ে যাওয়ার পরে ফের সুবিধাজনক জায়গায় ফ্রিকিক পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।