কলকাতা, ৩০ জুলাই : ইস্টবেঙ্গলের এক কর্তা সম্পর্ক ভাঙনের ইঙ্গিত দিতেই বিস্ফোরক স্পনসর কোয়েসের চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাক । সোমবার বেঙ্গালুরু থেকে জানিয়ে দেন, ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে কাজ করা কোনওভাবেই সম্ভব নয় ।
আপাতত ক্লাবের শতবর্ষ পালনের তোড়জোড় চলছে । 1 অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিরাট অনুষ্ঠান করছেন ক্লাব কর্তারা । বাজেট চোখ কপালে তোলার মতো । এই অবস্থায় মুখে অজিত আইজ্যাকের সম্পর্ক ছিন্ন সংক্রান্ত মন্তব্যকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না তাঁরা । বুঝিয়ে দিচ্ছেন, বর্তমান বিনিয়োগকারী সংস্থা চলে গেলে বিকল্প তৈরি রয়েছে ।
কথাটা অনেকটাই সত্যি । ক্লাবের এক কর্তা দেবব্রত সরকার সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুতে গেছেন । সেখানে পূর্বতন স্পনসর ইউবি গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘ মিটিং হয়েছে । ইউবি গ্রুপ ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর হতে ফের আগ্রহী বলে জানা গেছে । শুধু তাই নয়, আরও তিনটে সহযোগী স্পনসর জোগাড় করে দিচ্ছে বলে খবর । অজিত আইজ্যাক বলছেন, তাঁরা বিচ্ছেদের চিঠি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে পাঠিয়ে দিয়েছেন । যদিও লাল হলুদ কর্তারা সেই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেননি । তবে দেবব্রত সরকার বলেছেন, ক্লাবের বিনিয়োগ সংস্থার আর্থিক অবস্থার অবনতির কথা কানে এসেছে । যার সত্যতা জানা নেই ।
সূত্রের খবর, বিনিয়োগকারী সংস্থার বোর্ড মিটিংয়ে ফুটবল ক্লাবে অর্থ বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । কী পরিমাণ লাভ হতে পারে তা নিয়েও না কি প্রশ্ন তোলা হয়েছে । ভারতীয় ফুটবল জগতের গুঞ্জন এই অবস্থায় ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান বিনিয়োগকারী সংস্থা গাঁটছড়া ছিন্ন করার উপায় খুঁজছিল । লাল হলুদ এই কর্তার বিবৃতি সেই পথ প্রশস্ত করেছে ।
বিচ্ছেদের জল্পনার মধ্যে বিনিয়োগকারী সংস্থার চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাক টুইট করে বলেন, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাঁদের সংস্থার সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছু খবর প্রকাশিত হয়েছে । যা ধীরে ধীরে সামনে আসবে । আপাতত সদস্য সমর্থকদের ক্লাবের শতবর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে চান । এই টুইটকে অনেকেই মেরামতির চেষ্টা বলে মনে করছেন ।
সুপার কাপে না খেলা, ক্লাব কর্তাদের ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে পাত্তা না দেওয়া, আর ফেডারেশনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মোহনবাগানের পরামর্শে চলাকে ভালোভাবে নেয়নি ইস্টবেঙ্গল । তাই সম্পর্ক তলানিতে দ্রুত পৌঁছেছিল । ইস্টবেঙ্গল প্রথমে ISL-এ খেলার জন্য চাপ দেয়নি । বরং ISL-এ খেলার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন অজিত আইজ্যাক স্বয়ং । কিন্তু শেষ সময়ে তিনি উলটো অবস্থান নেন । এই অবস্থায় ইস্টবেঙ্গল ও বর্তমান বিনিয়োগ সংস্থার বিচ্ছেদ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন অনেকে ।