ETV Bharat / sports

East Bengal in ISL : পাঁচ ম্যাচে তথৈবচ পারফরম্যান্স লাল-হলুদের, বাকি টুর্নামেন্টে ভবিষ্যৎ কী ? - East Bengal Club executive committee decides to send a letter to the investor again

ডামাডোল মিটছে না ইস্টবেঙ্গলে ফের লগ্নিকারীকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal Club executive committee decides to send a letter to the investor again)। আইএসএলে প্রথম তিন ম্যাচে দশ গোল হজম করার পরে ক্লাব কর্তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রথমবার চিঠি দিয়েছিলেন ।

ISL
তথৈবচ পারফরম্যান্স লাল-হলুদের
author img

By

Published : Dec 9, 2021, 10:40 PM IST

কলকাতা, 9 ডিসেম্বর : মরশুম শুরুর আগে থেকেই ডামাডোল ইস্টবেঙ্গলের নিত্যসঙ্গী । টুর্নামেন্টের বল গড়ানোর আগেই চুক্তি বিতর্ক । আইএসএল-এর সমস্ত দল যখন নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে তখনও লাল-হলুদ ক্লাবে আশঙ্কার কালো মেঘ । এবার আইএসএল-এ খেলবে তো তারা ? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল সভ্য-সমর্থকদের মনে । বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কর্মকর্তাদের বিরোধ পৌঁছে গিয়েছিল চরমে । শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটলেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়।

সেই অবস্থাতেই দল গঠন ৷ নতুন কোচ মানোলো দিয়াজ নিয়ে এলেন বিদেশিদের । অন্যদিকে স্বদেশি ফুটবলারদের বাছাই করলেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা । সেখানেও সমস্যা ৷ আগেই ভালমানের স্বদেশি খেলোয়াড়দের কিনে বসে রয়েছে আইএসএলের অন্য দলগুলি ৷ ফলে দেরি করায় ভালমানের স্বদেশি ফুটবলার পায়নি লাল-হলুদ শিবির । অন্যদিকে প্রথম পাঁচ ম্যাচে নজর কাড়তে ব্যর্থ দিয়াজের রিক্রুটরাও ৷ টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারী সংস্থা ও ক্লাব কর্তাদের টানাপোড়েন প্রভাব ফেলেছে দলের খেলায় । গত মরসুমে বিনিয়োগকারী পেতে সমস্যা হয়েছিল । এবছর সে সমস্যা ছিল না । তবুও একের পর এক ম্যাচ হেরে, ড্র করে লিগ টেবিলের একেবারে শেষে রয়েছে দিয়াজের দল ।

আরও পড়ুন : SC East Bengal Update : ফের লগ্নিকারী সংস্থাকে চিঠি দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল

প্রশ্ন উঠছে কোচকে নিয়েও ৷ পাঁচ ম্যাচ খেলার পরেও রিয়াল মাদ্রিদ ফেরত দিয়াজ জানেন না, কাদের প্রথম একাদশে রাখা উচিত । আগের ম্যাচে ভাল খেলা ফুটবলারদের জায়গা হচ্ছে রিজার্ভ বেঞ্চে । অন্যদিকে ম্যাচের পর ম্যাচ খারাপ পারফর্ম্যান্সের পর রাজু গায়কোয়াড়রা প্রতি ম্য়াচেই শুরু থেকেই খেলে চলেছেন । হীরা মণ্ডল-মহম্মদ রফিক ছাড়া কেউই সেভাবে দাগ কাটতে পারছেন না । বিদেশীদের মধ্যে পেরোসেভিচ ছাড়া বাকিরা লাল-হলুদ জার্সি পড়ার যোগ্য কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা । চুড়ান্ত ফ্লপ গোলগেটার চিমাও ৷

আরও পড়ুন : FC Goa beats SC East Bengal : গোয়ার কাছে লড়ে হার, পাঁচ ম্যাচ পরেও জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের

কর্পোরেট সংস্কৃতিতে উধাও হয়েছে ক্লাবের প্রতি, জার্সির প্রতি আবেগ-ভালবাসা ৷ বাঙালির সেরা ‘ফুটবল’ এখন শুধুই ব্যবসায়িক মাধ্যম ৷ ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, অতীতে বহুবার খুব নিম্নমানের দল নিয়েও সকলকে চমকে দেওয়ার নজির গড়েছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো দল । জেদকে সম্বল করে অনেক হিসেব বদলে দেওয়া যায় । বারবার সেটাই প্রমাণ করেছে কলকাতার দুই প্রধান । সেসব ইতিহাস, জেদ ক্রমশ চাপা পড়ছে পেশাদারিত্বের মোড়কে ৷ কিন্তু একেই কি বলে পেশাদারিত্ব ? অন্তত পাঁচ ম্যাচে পদ্মাপাড়ের ক্লাবের পারফর্ম্যান্সের পর এই প্রশ্নই ঘুরছে সমর্থকদের অন্দরে ৷

কলকাতা, 9 ডিসেম্বর : মরশুম শুরুর আগে থেকেই ডামাডোল ইস্টবেঙ্গলের নিত্যসঙ্গী । টুর্নামেন্টের বল গড়ানোর আগেই চুক্তি বিতর্ক । আইএসএল-এর সমস্ত দল যখন নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে তখনও লাল-হলুদ ক্লাবে আশঙ্কার কালো মেঘ । এবার আইএসএল-এ খেলবে তো তারা ? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল সভ্য-সমর্থকদের মনে । বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কর্মকর্তাদের বিরোধ পৌঁছে গিয়েছিল চরমে । শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটলেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়।

সেই অবস্থাতেই দল গঠন ৷ নতুন কোচ মানোলো দিয়াজ নিয়ে এলেন বিদেশিদের । অন্যদিকে স্বদেশি ফুটবলারদের বাছাই করলেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা । সেখানেও সমস্যা ৷ আগেই ভালমানের স্বদেশি খেলোয়াড়দের কিনে বসে রয়েছে আইএসএলের অন্য দলগুলি ৷ ফলে দেরি করায় ভালমানের স্বদেশি ফুটবলার পায়নি লাল-হলুদ শিবির । অন্যদিকে প্রথম পাঁচ ম্যাচে নজর কাড়তে ব্যর্থ দিয়াজের রিক্রুটরাও ৷ টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারী সংস্থা ও ক্লাব কর্তাদের টানাপোড়েন প্রভাব ফেলেছে দলের খেলায় । গত মরসুমে বিনিয়োগকারী পেতে সমস্যা হয়েছিল । এবছর সে সমস্যা ছিল না । তবুও একের পর এক ম্যাচ হেরে, ড্র করে লিগ টেবিলের একেবারে শেষে রয়েছে দিয়াজের দল ।

আরও পড়ুন : SC East Bengal Update : ফের লগ্নিকারী সংস্থাকে চিঠি দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল

প্রশ্ন উঠছে কোচকে নিয়েও ৷ পাঁচ ম্যাচ খেলার পরেও রিয়াল মাদ্রিদ ফেরত দিয়াজ জানেন না, কাদের প্রথম একাদশে রাখা উচিত । আগের ম্যাচে ভাল খেলা ফুটবলারদের জায়গা হচ্ছে রিজার্ভ বেঞ্চে । অন্যদিকে ম্যাচের পর ম্যাচ খারাপ পারফর্ম্যান্সের পর রাজু গায়কোয়াড়রা প্রতি ম্য়াচেই শুরু থেকেই খেলে চলেছেন । হীরা মণ্ডল-মহম্মদ রফিক ছাড়া কেউই সেভাবে দাগ কাটতে পারছেন না । বিদেশীদের মধ্যে পেরোসেভিচ ছাড়া বাকিরা লাল-হলুদ জার্সি পড়ার যোগ্য কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা । চুড়ান্ত ফ্লপ গোলগেটার চিমাও ৷

আরও পড়ুন : FC Goa beats SC East Bengal : গোয়ার কাছে লড়ে হার, পাঁচ ম্যাচ পরেও জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের

কর্পোরেট সংস্কৃতিতে উধাও হয়েছে ক্লাবের প্রতি, জার্সির প্রতি আবেগ-ভালবাসা ৷ বাঙালির সেরা ‘ফুটবল’ এখন শুধুই ব্যবসায়িক মাধ্যম ৷ ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, অতীতে বহুবার খুব নিম্নমানের দল নিয়েও সকলকে চমকে দেওয়ার নজির গড়েছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো দল । জেদকে সম্বল করে অনেক হিসেব বদলে দেওয়া যায় । বারবার সেটাই প্রমাণ করেছে কলকাতার দুই প্রধান । সেসব ইতিহাস, জেদ ক্রমশ চাপা পড়ছে পেশাদারিত্বের মোড়কে ৷ কিন্তু একেই কি বলে পেশাদারিত্ব ? অন্তত পাঁচ ম্যাচে পদ্মাপাড়ের ক্লাবের পারফর্ম্যান্সের পর এই প্রশ্নই ঘুরছে সমর্থকদের অন্দরে ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.