কলকাতা, 22 মার্চ : ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বনাম বিনিয়োগ সংস্থার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর সংক্রান্ত বিতর্ক এখন প্রকাশ্যে । জট ছাড়িয়ে পথচলায় কাঁটা রয়েছে । তবে কোথায় এবং কীভাবে সম্পর্ক মসৃণ হওয়া সম্ভব ? তা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত ।
সোমবার মধ্য কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে প্রয়াত ক্লাব সচিবের প্রয়াণ দিবস পালন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার। ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত এবং সচিব কল্যাণ মজুমদারের সঙ্গে মঞ্চে বসেছিলেন তিনি । তাঁদের এই এক মঞ্চে বসা কি সমাধানের ইঙ্গিত? ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত বলছেন, তিনি বিনিয়োগ সংস্থার চেয়ারম্যান হরিমোহন বাঙ্গুরের ছেলে প্রশান্ত বাঙ্গুরের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে কথা বলে সমস্যা সমাধানের পথ বের করবেন। এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার জানান, তাঁরা সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী । ইতিমধ্যে নতুন মরসুমের দল গড়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, ক্লাব চুক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ প্রকাশ করতে রাজি । সেখানে সকল সদস্য এবং সমর্থকদের স্বাগত। তারপরে তাঁরা যা রায় দেবেন সেইমত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে, মৌ চুক্তি এবং চূড়ান্ত চুক্তিতে যে শর্তাবলীতে বিস্তর প্রভেদ রয়েছে, তা এদিন ফের বলেছেন তিনি। দেবব্রত সরকার বলেন, ‘‘আমরা ক্লাব বিক্রি করে দিতে পারি না। সেই অধিকার নেই। আমরা কিছু জিনিস ব্যবহারের অধিকার দিতে পারি মাত্র ৷’’ তবে বাঙ্গুরদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না তিনি । উল্টে দু’পক্ষের মধ্যে থাকা তৃতীয় ব্যক্তির উসকানি সমস্যা তৈরি করছে বলে মনে করেন দেবব্রত সরকার।
আরও পড়ুন : এফএসডিএলের মধ্যস্থতায় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠকে রাজি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা
দলগঠন নিয়ে যে তাঁরা ক্ষুব্ধ তা পরিস্কার করে দিয়েছেন এদিন । ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্সের পরেও, কেন অনাবশ্যক নতুন ফুটবলার নেওয়া হয়েছিল বা ভালো খেলা সত্ত্বেও ফুটবলারদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল তা জানতে চান দেবব্রত সরকরা । তাঁর মতে, এই পারফরম্যান্স ক্লাবের সম্মান নষ্ট করেছে। যথেষ্ট সময় থাকলেও দলগঠন সঠিকভাবে হয়নি বলে নিয়োগকারীদের সমালোচনা করেছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা।