ETV Bharat / sports

ব্যর্থ বাইচুং ও কল্যাণ, সংসদে একমাত্র উজ্জ্বল প্রসূন - Delhi

দিল্লি যাওয়ার দৌড়ে ফের সফল প্রসূন ব্যানার্জি । তৃণমূল কংগ্রেসের 22 জন সাংসদের তালিকায় উজ্জ্বল প্রাক্তন এই ফুটবলারের নাম ।

প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By

Published : May 25, 2019, 3:09 PM IST

কলকাতা, 25 মে: আড়াই মাসের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার 2 ফুটবলার দিল্লি যাওয়ার দৌড়ে নামলেও জয়ী হয়েছেন প্রসূন ব্যানার্জি । পাহাড়ি বিছে বাইচুং 2014-র লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও যেতে পারেননি সংসদে । আর বাংলার আরও এক ফুটবলার কল্যাণ চৌবেও এবার ভোট ময়দানে নেমে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন । সংসদে যাওয়ার জন্য একমাত্র ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ই এগিয়ে রয়েছেন ।

কল্যাণ চৌবে BJP-র টিকিটে কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়ী হননি । "পাহাড়ি বিছে" বাইচুং ভুটিয়াও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন । কিন্তু পরে তৃণমূল থেকে সরে যান বাইচুং । অবসরের পর বাইচুং সিকিমের প্রশাসনিক সমস্যা দূর করতে নতুন দল তৈরি করেন । যার নাম "হামারো সিকিম" । গত পরশু (23 মে) লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিনই সিকিমে বিধানসভা নির্বাচন হয় । 28 আসনের সিকিম বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনেও দাঁত ফোটাতে পারেনি "হামারো সিকিম" । লড়াইটা মূলত হয় মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের সিকিম ডেমোক্র্যেটিক ফ্রন্ট ও ক্রান্তিকারী মোর্চারা ।

তৃণমূল কংগ্রেসের 22 জন সাংসদের তালিকায় প্রসূন ব্যানার্জি উজ্বল নাম । কল্যাণের সংসদে যাওয়ার স্বপ্ন অধরা । সিকিমের রাজনীতির ময়দান দখল করতে আরও সময় লাগবে পাহাড়ি বিছের । তাই বঙ্গের প্রতিভাবান খেলোয়ারদের কথা সংসদে তুলে ধরার ভার এখন প্রসূনের কাঁধে ।

কলকাতা, 25 মে: আড়াই মাসের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার 2 ফুটবলার দিল্লি যাওয়ার দৌড়ে নামলেও জয়ী হয়েছেন প্রসূন ব্যানার্জি । পাহাড়ি বিছে বাইচুং 2014-র লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও যেতে পারেননি সংসদে । আর বাংলার আরও এক ফুটবলার কল্যাণ চৌবেও এবার ভোট ময়দানে নেমে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন । সংসদে যাওয়ার জন্য একমাত্র ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ই এগিয়ে রয়েছেন ।

কল্যাণ চৌবে BJP-র টিকিটে কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়ী হননি । "পাহাড়ি বিছে" বাইচুং ভুটিয়াও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন । কিন্তু পরে তৃণমূল থেকে সরে যান বাইচুং । অবসরের পর বাইচুং সিকিমের প্রশাসনিক সমস্যা দূর করতে নতুন দল তৈরি করেন । যার নাম "হামারো সিকিম" । গত পরশু (23 মে) লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিনই সিকিমে বিধানসভা নির্বাচন হয় । 28 আসনের সিকিম বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনেও দাঁত ফোটাতে পারেনি "হামারো সিকিম" । লড়াইটা মূলত হয় মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের সিকিম ডেমোক্র্যেটিক ফ্রন্ট ও ক্রান্তিকারী মোর্চারা ।

তৃণমূল কংগ্রেসের 22 জন সাংসদের তালিকায় প্রসূন ব্যানার্জি উজ্বল নাম । কল্যাণের সংসদে যাওয়ার স্বপ্ন অধরা । সিকিমের রাজনীতির ময়দান দখল করতে আরও সময় লাগবে পাহাড়ি বিছের । তাই বঙ্গের প্রতিভাবান খেলোয়ারদের কথা সংসদে তুলে ধরার ভার এখন প্রসূনের কাঁধে ।

Intro:ক্ষুধার রাজ্যে ওর পৃথিবী টা সত্যি গদ্য ময়। রাজেশ মাঝি। বাংলার জুডোয় অন্যতম সম্ভাবনাময় মুখ। অভাব নিত্য সঙ্গী।কিন্তু বছর আঠারোর কিশোর রাজেশের ইচ্ছে শক্তির সামনে অভাব হার মেনেছে। তাই রাজ্য বা জাতীয় আসরে বৈদ্যবাটির জুডোকার পরাজয় খবর।


Body:ভোর থাকতে সুবোধ মাঝি বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। চটকলে শ্রমিকের কাজে দিন গুজরান এর দায়িত্ব। সরস্বতী মাঝি সকাল থেকে ই বাড়ি বাড়ি দৌড়ে বেড়ান। ঠিকে ঝি এর কাজ করে সংসারের জোয়ালে বাড়তি কিছু অর্থের যোগান ই লক্ষ্য। সুবোধ ও সরস্বতীর ছেলে রাজেশ একটু অন্য ভাবে জীবনকে গড়তে চায়। বাবা মায়ের কঠিন লড়াই ওর নিজের লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা যোগায়। সুবোধ মাঝি জানেন সংসারে র হাল ঘুরতে পারে যদি রাজেশটা ঠিকভাবে দাড়ায়। চটকলে যুতে দিলে হয়। কিন্তু বাবা হিসেবে ছেলেকে এই কষ্টের পরিবেশে নিয়ে আসতে চায় না সে। তাই রাজেশের পড়াশোনা য় উৎসাহ দেয় সে। পাড়ার দাদা এসে সরস্বতী কে বলেছিল রাজেশকে জুডোয় ভর্তি করে দিতে। পড়াশোনার সাথে খেলাটা থাকলে চাকরি বাকরি পেতে সুবিধা হবে। রাজেশের মায়ের মুখে প্রথমে প্রস্তাব শুনে ভয় লেগে ছিল সুবোধ মাঝির। নুণ আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থার মাঝে খেলার ঝক্কি। তাই মন সায় দেয়নি। তাছাড়া চোট লাগার আশঙ্কা রয়েছে। তারপর কিছুটা নিমরাজি হয়েই রাজেশকে জুডো খেলার অনুমতি দিয়ে ছিলেন। এখন যখন রাজেশ ট্রফি হাতে কিংবা মেডেল ঝুলিয়ে ঘরে ঢোকে চোখটা অজান্তে জলে ভরে যায় সুবোধ মাঝির। চোখের জলের স্বাদ যে মিষ্টি তা রাজেশকে দেখে বুঝে ছে রাজেশ।
বাবার হাসি মায়ের গর্বিত মুখ রাজেশকে স্বপ্ন দেখায়। আলু সেদ্ধ ভাতেই স্বপ্ন দেখে সে। টিভিতে একদিন কোনি সিনেমা টা দেখে ছে। মনে হয়েছিল তার জীবনটাই দেখা নো হচ্ছে। হুগলি বৈদ্যবাটির বনমালী মুখার্জি ইনস্টিটিউট এর ক্লাস টুয়েলভ এর ছাত্র। বানিজ্য শাখার পড়ার চাপ সামলে নতুনভাবে জীবন গড়ার লড়াই রাজেশের। কোনির মত তার একজন খিদ্দা আছেন। গৌতম দাস। প্রাক্তন সেনা কর্মী এখন টেলিফোনে কাজ করে ন। তবে তার প্যাশন জুডো। 10 বছর বয়সে রাজেশ যখন তার কাছে এসছিল তখনই ভালো লেগেছিল। অর্থ কষ্ট উপেক্ষা করে দাতে দাত চেপে লড়াইয়ের ইচ্ছে টাই রাজেশের প্লাস পয়েন্ট। "ঝড় জল বৃষ্টি যাই হোক না কেন রাজেশ প্র্যাকটিস কামাই করেনা। সত্যি গরিব ওরা। খাওয়ার পয়সা থাকে না। খেলার পোশাক তো বিলাসিতা। আমি টাকা দিয়ে কিনে দিয়েছিলাম", বলছিলেন গৌতম দাস। আপাতত গ্রিন বেল্ট পেয়েছে। পয়সা যোগাড় করতে না পারায় ব্লু এবং ব্রাউন বেল্টের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি রাজেশের। "মাত্র 500টাকা দরকার ছিল। আমাকে লজ্জায় বলেনি। তাছাড়া প্রস্তুতি টাও ঠিক মত হয়নি," জানালেন রাজেশের কোচ।
আর্মিতে যোগ দিতে চায় রাজেশ। বলার সময় চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। পরিশ্রম করতে ভয় পায় না। লক্ষ্যে পৌছতে কৃচ্ছসাধনে আপত্তি নেই। তাই এশিয়ান গেমস কিংবা অলিম্পিকে নামার কথা রাজেশ যখন বলে তখন বিশ্বাস হয়। আলু সেদ্ধ ভাতের মধ্যে লুকিয়ে রাজেশ মাঝির স্বপ্ন।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.