কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর : নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা দেরিতে উজবেকিস্তানে পৌছল এটিকে মোহনবাগান । বিমান বিভ্রাটেই এই দেরি । দুবাইয়ের তুলনায় তাসখন্দের তাপমাত্রা কম । সন্ধ্যায় তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যায় । জনি কাউকো-সহ ফুটবলাররা সন্ধ্যার সময়ে এই ঠান্ডায় খুশি । কারণ, 22 সেপ্টেম্বর খুরেশি স্টেডিয়ামে নাসাফ এফসির বিরুদ্ধে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল ম্যাচটি সন্ধ্যায় হবে ।
আরও পড়ুন : AFC Cup: দুবাইয়ে প্রস্তুতি সেরে উজবেকিস্তানে এটিকে মোহনবাগান
তাসখন্দ থেকে খুরেশি স্টেডিয়ামের দূরত্ব পাঁচশো কিলোমিটার । দুবাইয়ে আটদিন অনুশীলন করে এটিকে মোহনবাগান মিশন এফসি নাসাফের প্রস্তুতি সেরেছে । উইং প্লে এবং সেটপিসে টেক্কা দিয়ে উজবেকিস্তানের মাটিতে জয় তুলে নিতে চান আন্তেনিও লোপেজ হাবাস । ধারে ভারে এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার আগে আরও দু’দিন অনুশীলন সেরে নিতে চান সবুজ মেরুনের স্প্যানিশ হেডস্যার । খুরেশি স্টেডিয়ামে 22 সেপ্টেম্বরের ম্যাচটি নক আউট । তাই সবুজ মেরুন সাজঘরে সমীহর সুর প্রতিটি সদস্যের মুখে ।
আরও পড়ুন : CFL : ডুরান্ডের পর কলকাতা লিগ, ভবানীপুরের বিরুদ্ধে হার মহমেডানের
দলের সিনিয়র ফুটবলার প্রীতম কোটাল বলেছেন, ‘‘প্রাথমিক পর্বে প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও তাদের হারিয়ে নক আউট পর্বে দল পৌঁছেছে । এই পর্বে নাসাফ শক্তিশালী দল । তাদের বিরুদ্ধে সফল হতে হলে ব্যক্তিগত মুন্সিয়ানার চেয়ে দলগত প্রচেষ্টায় নির্ভর করতে হবে । দলের কোন বিভাগে উন্নতি প্রয়োজন বলার চেয়ে সামগ্রিক উন্নতির কথা বলেছেন তিনি । হাবাসও সেই ভাবেই দলকে তৈরি করছেন ।’’
প্রতিপক্ষ নাসাফ এফসি সম্পর্কে হোমওয়ার্ক সারা এটিকে মোহনবাগানের । তারই ভিত্তিতে নাসাফের মাঝমাঠ শক্তিশালী মনে হয়েছে প্রীতম কোটালদের । শুধু মাঝমাঠ নয় উজবেক ক্লাব দলটির উইং প্লে শক্তিশালী । এই দুটো জায়াগায় প্রতিরোধ গড়তে পারলে সফল হওয়া কঠিন নয় বলে মনে করছে সবুজ মেরুন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ।
আরও পড়ুন : Swapna Barman : অবসরের চিন্তা চোটে কাহিল সোনাজয়ী স্বপ্নার, বিস্মিত কোচ সুভাষ সরকার
নাসাফের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে সন্দেশ ঝিঙ্গানের অনুপস্থিতি নিয়ে চিন্তা থাকলেও তা আমল দিতে রাজি নন প্রীতম । তিনি জানাচ্ছেন, তিনি নিজে রাইট ব্যাক হলেও স্টপারে খেলতে অভ্যস্ত । এই ব্যাপারে কোচ হাবাসও তাঁকে উৎসাহ দিয়ে থাকেন ।তাছাড়া দলের ডিফেন্সে গত দুই বছরে বিরাট পরিবর্তন হয়নি । ফলে বোঝাপড়া গড়ে তোলা সমস্যার নয় ।
নাসাফ এফসি তাদের ঘরের মাঠে খেলবে । ফলে সেটা তাদের কাছে অ্যাডভান্টেজ । এই অবস্থায় প্রতি আক্রমণ ভিত্তিক ফুটবলে বাজিমাত করার কথা বলা হলেও, তা ভাঙতে চাননি প্রীতম । বরং কৌশল ঠিক করার বিষয়টি কোচ হাবাসের ওপর ছাড়তে চান । 120 মিনিট প্রতিপক্ষকে পাল্লা দেওয়ার মতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে প্রীতম জানিয়েছেন । তাছাড়া ভারতীয় ফুটবলারদের মেলে ধরার সুযোগ এই ম্যাচটি । সেটা হাতছাড়া করতে রাজি নন বাঙালি রাইট ব্যাক ।
আরও পড়ুন : Pele : ফের আইসিইউ-তে ফুটবল কিংবদন্তি, তবে স্থিতিশীল রয়েছেন