ETV Bharat / sports

আইজ়লের কাছে হার, অবনমনের আশঙ্কা ইস্টবেঙ্গলের - Aizal FC

ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়ের পর আইজ়ল FC ৷ আই লিগে পরপর দু'ম্যাচে হারল ইস্টবেঙ্গল ৷ এই হারে লাল-হলুদ পয়েন্ট টেবিলের আটনম্বরে নেমে গেছে ইস্টবেঙ্গল ৷

Aizal fc beat eastbengal
ইস্টবেঙ্গলের হার
author img

By

Published : Feb 7, 2020, 9:19 PM IST

Updated : Feb 7, 2020, 10:32 PM IST

কল্যাণী, 7 ফেব্রুয়ারি: শতবর্ষের বছরে ইস্টবেঙ্গলের হাল বড়ই করুণ ৷ ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়ের পর শুক্রবার কল্যাণীতে আইজ়ল FC-র কাছেও 1-0 গোলে হেরেছে লাল-হলুদ ৷ পড়শি ক্লাব যখন একের পর এক ম্যাচ জিতে খেতাব জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ইস্টবেঙ্গল লাল-হলুদ শিবিরকে ঘিরে ধরেছে অবনমনের আশঙ্কা ৷

সাতদিনের পারফরম্যান্সের নিরিখে মার্তি ক্রেসপিকে দলে জায়গা দেননি কোচ মারিও রিবেরা । আজকের পর দলের বাকিদের পারফরম্যান্স গ্রাফ নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায় । ক্রোমাকে সামনে রেখে আক্রমণভাগ সাজিয়ে ছিলেন মারিও রিবেরা । একটু নিচ থেকে কোলাডোকে খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু আইজ়ল FC-র দুই দীর্ঘদেহী বিদেশি ডিফেন্ডারের মাঝখানে বোতলবন্দী ছিলেন ক্রোমা । প্রথমার্ধে ব্রেন্ডনের পাস থেকে ক্রোমার পুশ পোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়া ছাড়া লাল-হলুদ ফুটবলারদের দেখে মনে হয়নি তাঁরা গোল করতে পারেন । বিরতির আগে শেষ কুড়ি মিনিট ম্যাচের দখল ছিল ইস্টবেঙ্গলের পায়ে । সেই সময়টুকু ব্রেন্ডনের ছটফটানি দেখে মনে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ডানা মেলবে । স্কোরিং বুট হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি গোল করার চেষ্টার ইচ্ছেটাও নেই কোলাডোর খেলায় । একই কথা বলা যায় জুয়ান মেরে গঞ্জালেস সম্বন্ধেও । ভারতীয় ফুটবলারদের খামতি ঢাকেন ভালোমানের বিদেশিরা । একইভাবে বিদেশি ফুটবলারদের খারাপ দিনে জ্বলে ওঠেন দেশীয় ফুটবলাররা । কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান দলের দুই পক্ষই খারাপ ফর্মের অন্ধকারে । 76 মিনিটে জাস্টিন মরগ্যানের পাস থেকে আর্জেন্টিনার ফুটবলার মাতিয়াস ভেরনের জয়সূচক গোলে আরও বেশি দিশেহারা হয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল । এই নিয়ে আই লিগের প্রথম পর্বের 10টি ম্যাচের মধ্যে 5টিতে হারল ইস্টবেঙ্গল । এই ইস্টবেঙ্গলকে দেখে বিস্মিত আইজ়ল FC কোচ রোজারিও । লাল-হলুদের পারফরম্যান্স গ্রাফ দিনের পর দিন কেন নিম্নমুখী, কারও কাছে সেই ব্যাখ্যা নেই ৷

তবে আশা ছাড়ছেন না মারিও রিবেরা। আইজ়ল FC-র বিরুদ্ধে হারের পরে সমর্থকরা ক্ষোভের আগুন উগরে দিলেও ইস্টবেঙ্গল কোচ অবশ্য বলছেন এই ম্যাচে তাঁরা জিততে পারতেন। তাঁর কথায়, "আমরা জেতার মতোই খেলেছি । প্রতিপক্ষ একটা সুযোগ কাজে লাগিয়ে জিতে গেল । আমি হতাশ কারণ জেতার মত খেলেও ম্যাচটা হাতছাড়া হল ৷" এই পরাজয়ের ফলের অবনমনের শঙ্কা জাঁকিয়ে বসছে ইস্টবেঙ্গলে। 10 ম্যাচে 11 পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে নেমে এসেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড । ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস যেখানে পৌঁছেছে তাতে জয়ে ফেরাটা মুশকিল বলে মনে করছে সমর্থকরা ৷ তাই হারতে হারতে টেবিলের শেষ প্রান্তে গিয়ে ঠেকলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই ৷

Mario Rivera
আশা ছাড়ছেন না মারিও রিবেরা

মারিও সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর মতে,"আমি অবনমনের শঙ্কা নিয়ে চিন্তিত নই। আমি বিশ্বাস করি দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে । আমাদের হাতে তিরিশ পয়েন্টের খেলা বাকি রয়েছে । এই ধরনের পরিস্থিতি ফুটবলে স্বাভাবিক । কখনও গোল হবে কখনও হবে না ৷ একবার জিততে শুরু করলে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে।" অ্যারোজ় ম্যাচের মত এই ম্যাচেও বিরতির পর একটা সুযোগে ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন মারিও রিবেরা।

অবনমনের আশঙ্কা ইস্টবেঙ্গলের

সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে কল্যাণীতে হাজার পাঁচেক দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলেন । ফাঁকা গ্যালারি দেখে এমন দাবি বিশ্বাস করা যেমন কঠিন তেমনই ইস্টবেঙ্গল যে জয়ে ফিরতে পারে তা আশা করাটাও খুব শক্ত । দু'মাস আগে পয়েন্ট টেবিলের একনম্বরে থাকা দলের উপর অবনমনের করাল ছায়া । চ্যাম্পিয়নশিপের আশা ছেড়ে এখন শতবর্ষে এই বড় লজ্জা কীভাবে এড়ানো যাবে, সেই দিকেই নজর ইস্টবেঙ্গলের ৷

কল্যাণী, 7 ফেব্রুয়ারি: শতবর্ষের বছরে ইস্টবেঙ্গলের হাল বড়ই করুণ ৷ ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়ের পর শুক্রবার কল্যাণীতে আইজ়ল FC-র কাছেও 1-0 গোলে হেরেছে লাল-হলুদ ৷ পড়শি ক্লাব যখন একের পর এক ম্যাচ জিতে খেতাব জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ইস্টবেঙ্গল লাল-হলুদ শিবিরকে ঘিরে ধরেছে অবনমনের আশঙ্কা ৷

সাতদিনের পারফরম্যান্সের নিরিখে মার্তি ক্রেসপিকে দলে জায়গা দেননি কোচ মারিও রিবেরা । আজকের পর দলের বাকিদের পারফরম্যান্স গ্রাফ নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায় । ক্রোমাকে সামনে রেখে আক্রমণভাগ সাজিয়ে ছিলেন মারিও রিবেরা । একটু নিচ থেকে কোলাডোকে খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু আইজ়ল FC-র দুই দীর্ঘদেহী বিদেশি ডিফেন্ডারের মাঝখানে বোতলবন্দী ছিলেন ক্রোমা । প্রথমার্ধে ব্রেন্ডনের পাস থেকে ক্রোমার পুশ পোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়া ছাড়া লাল-হলুদ ফুটবলারদের দেখে মনে হয়নি তাঁরা গোল করতে পারেন । বিরতির আগে শেষ কুড়ি মিনিট ম্যাচের দখল ছিল ইস্টবেঙ্গলের পায়ে । সেই সময়টুকু ব্রেন্ডনের ছটফটানি দেখে মনে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ডানা মেলবে । স্কোরিং বুট হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি গোল করার চেষ্টার ইচ্ছেটাও নেই কোলাডোর খেলায় । একই কথা বলা যায় জুয়ান মেরে গঞ্জালেস সম্বন্ধেও । ভারতীয় ফুটবলারদের খামতি ঢাকেন ভালোমানের বিদেশিরা । একইভাবে বিদেশি ফুটবলারদের খারাপ দিনে জ্বলে ওঠেন দেশীয় ফুটবলাররা । কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান দলের দুই পক্ষই খারাপ ফর্মের অন্ধকারে । 76 মিনিটে জাস্টিন মরগ্যানের পাস থেকে আর্জেন্টিনার ফুটবলার মাতিয়াস ভেরনের জয়সূচক গোলে আরও বেশি দিশেহারা হয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল । এই নিয়ে আই লিগের প্রথম পর্বের 10টি ম্যাচের মধ্যে 5টিতে হারল ইস্টবেঙ্গল । এই ইস্টবেঙ্গলকে দেখে বিস্মিত আইজ়ল FC কোচ রোজারিও । লাল-হলুদের পারফরম্যান্স গ্রাফ দিনের পর দিন কেন নিম্নমুখী, কারও কাছে সেই ব্যাখ্যা নেই ৷

তবে আশা ছাড়ছেন না মারিও রিবেরা। আইজ়ল FC-র বিরুদ্ধে হারের পরে সমর্থকরা ক্ষোভের আগুন উগরে দিলেও ইস্টবেঙ্গল কোচ অবশ্য বলছেন এই ম্যাচে তাঁরা জিততে পারতেন। তাঁর কথায়, "আমরা জেতার মতোই খেলেছি । প্রতিপক্ষ একটা সুযোগ কাজে লাগিয়ে জিতে গেল । আমি হতাশ কারণ জেতার মত খেলেও ম্যাচটা হাতছাড়া হল ৷" এই পরাজয়ের ফলের অবনমনের শঙ্কা জাঁকিয়ে বসছে ইস্টবেঙ্গলে। 10 ম্যাচে 11 পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে নেমে এসেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড । ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস যেখানে পৌঁছেছে তাতে জয়ে ফেরাটা মুশকিল বলে মনে করছে সমর্থকরা ৷ তাই হারতে হারতে টেবিলের শেষ প্রান্তে গিয়ে ঠেকলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই ৷

Mario Rivera
আশা ছাড়ছেন না মারিও রিবেরা

মারিও সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর মতে,"আমি অবনমনের শঙ্কা নিয়ে চিন্তিত নই। আমি বিশ্বাস করি দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে । আমাদের হাতে তিরিশ পয়েন্টের খেলা বাকি রয়েছে । এই ধরনের পরিস্থিতি ফুটবলে স্বাভাবিক । কখনও গোল হবে কখনও হবে না ৷ একবার জিততে শুরু করলে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে।" অ্যারোজ় ম্যাচের মত এই ম্যাচেও বিরতির পর একটা সুযোগে ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন মারিও রিবেরা।

অবনমনের আশঙ্কা ইস্টবেঙ্গলের

সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে কল্যাণীতে হাজার পাঁচেক দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলেন । ফাঁকা গ্যালারি দেখে এমন দাবি বিশ্বাস করা যেমন কঠিন তেমনই ইস্টবেঙ্গল যে জয়ে ফিরতে পারে তা আশা করাটাও খুব শক্ত । দু'মাস আগে পয়েন্ট টেবিলের একনম্বরে থাকা দলের উপর অবনমনের করাল ছায়া । চ্যাম্পিয়নশিপের আশা ছেড়ে এখন শতবর্ষে এই বড় লজ্জা কীভাবে এড়ানো যাবে, সেই দিকেই নজর ইস্টবেঙ্গলের ৷

Intro:ইস্টবেঙ্গলের পরাজয়ের ধারা অব্যাহত। শুক্রবার কল্যানী স্টেডিয়ামে পয়েন্ট টেবিলের নয় নম্বরে থাকা আইজল এফসির কাছে পরাজিত লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের ফল আইজল এফসির পক্ষে 1-0। গোলদাতা মাতিয়াস ভেরন। আই লিগের প্রথম পর্বের 10টি ম্যাচের মধ্যে পাচটি তে হারল ইস্টবেঙ্গল। 10ম্যাচে 11পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে নেমে এল লাল হলুদ ব্রিগেড। আইজল এফসি কোচ রোজারিও বলছেন তিনি এই ইস্টবেঙ্গল কে দেখে বিস্মিত। পারফরম্যান্সে র গ্রাফ দিনের পর দিন কেন নিম্নমুখী তার কোনও ব্যাখ্যা কারও কাছে নেই। সাতদিনের পারফরম্যান্সের নিরিখে মার্তি ক্রেসপি কে দলে জায়গা দেননি মারিও রিবেরা। বাকিদের পারফরম্যান্স গ্রাফ নিয়েও তো একই প্রশ্ন তোলা যায়। প্রথমার্ধে ব্র্যান্ডনের পাস থেকে ক্রোমার পুশ পোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়া ছাড়া লাল হলুদ ফুটবলারদের দেখে মনে হয়নি তারা গোল করতে পারে। বিরতির আগে শেষ কুড়ি মিনিট ম্যাচের দখল ছিল ইস্টবেঙ্গলের পায়ে।এই হময় ব্র্যান্ডনের ছটফটানি দেখে মনে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ডানা মেলবে। ক্রোমাকে সামনে রেখে আক্রমনভাগ সাজিয়ে ছিলেন মারিও রিবেরা। একটু নীচু থেকে কোলাডোকে খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আইজল এফসির দুই দীর্ঘ দেহী বিদেশি ডিফেন্ডারের মাঝখানে বোতলবন্দী ছিলেন ক্রোমা। স্কোরিং বুট হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি চেষ্টা করার ইচ্ছেটাও নেই কোলাডোর খেলায়। একই কথা বলা যায় জুয়ান মেরে গঞ্জালেস সম্বন্ধেও। ভারতীয় ফুটবলারদের খামতি ঢাকেন ভালোমানের বিদেশিরা। উলটো ভাবে বিদেশি ফুটবলারদের খারাপ ফর্মের দিনে জ্বলে ওঠেন ভারতীয় রা।কিন্তু বর্তমান ইস্টবেঙ্গলের দুই পক্ষই খারাপ ফর্মের অন্ধকারে। ছিয়াত্তর মিনিটে জাস্টিন মরগ্যানের পাস থেকে আর্জেন্টিনার ফুটবলার মাতিয়াস ভেরনের জয়সূচক গোল।পিছিয়ে পড়ে আরও বেশি দিশেহারা ইস্টবেঙ্গল। দশ ম্যাচে পাচ হার।সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে হাজার পাচেক দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলেন। যা ফাকা গ্যালারি দেখে বিশ্বাস করা শক্ত। তেমনই লাল হলুদ জনতার বিশ্বাস হয় না ইস্টবেঙ্গল জয়ে ফিরতে পারে। দুমাস আগে পয়েন্ট টেবিলে একনম্বরে থাকা দলের ওপর অবনমনের ঘূর্নাবর্ত। শতবর্ষে বড় লজ্জা এড়ানো ই এখন পাখির চোখ।


Body:পরাজয়


Conclusion:
Last Updated : Feb 7, 2020, 10:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.