পোর্ট এলিজাবেথ, 12 ডিসেম্বর: পোর্ট এলিজাবেথের ছোট মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন দলের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিতে হলে রানের পাহাড় গড়া ছাড়া উপায় নেই ৷ সেই লক্ষ্যেই মঙ্গলবার মাঠে নামে সূর্যকুমার যাদবের দল ৷ কিন্তু ইনিংসের সূচনা দেখে আশাঙ্কার মেঘ জমতে শুরু করেছিল সমর্থকদের অনেকের মনেই ৷ প্রথম ওভার শুরু হতে না-হতেই মার্কো জানসেন ফিরিয়ে দেন যশস্বী জয়সওয়ালকে ৷ আর দ্বিতীয় ওভারে লিজাড উইলিয়ামসের শিকার হন শুভমন গিল ৷ তবে শেষমেষ বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্য়াচে রিঙ্কু-সূর্যদের চার ছয়ের বর্ষণে লড়াকু স্কোরে পৌঁছল ভরতীয় দল ৷ বৃষ্টি আসার আগে পর্যন্ত 19.3 বলে 7 উইকেট হারিয়ে 180 রান তোলে ভারতীয় দল ৷
এত তাড়াতাড়ি ইনিংসের ধস সামলাতে মাঠে নামতে হবে তা হয়তো ভাবতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব নিজেও ৷ তবে তরুণ তিলক বর্মাকে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ার কাজটা ভালোই করে গেলেন তিনি ৷ অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল দুরন্ত অর্ধশতরান ৷ 5টি চার ও 3টি ছয় দিয়ে 36 বলে তিনি খেলে যান 56 রানের গোছানো ইনিংস ৷ তবে দরকার ছিল শেষ পর্যন্ত রিঙ্কু সিংকে সঙ্গ দেওয়া ৷ তা অবশ্য় করতে পারেননি তিনি ৷
তবে তরুণ রিঙ্কু চ্যালেঞ্জটা সামাল দিলেন বুক চিতিয়ে ৷ ভরসা জোগালেন বাকি দলকেও ৷ আইপিএলে শেষ পর্বে ঝড়ের গতিতে ম্য়াচ ঘোরান তিনি ৷ এখানে রানের গতির পাশাপাশি প্রয়োজন ছিল পার্টনারশিপ তৈরি করার ৷ প্রথমে সূর্য আর তারপর জাদেজাদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতকে বড় রানের দিকে এগিয়ে দিলেন তিনি ৷ মাত্র 39 বলে তিনি এদিন করেন 68 রান ৷ মারেন 9টি চার ও 2টি বিশাল ছক্কা ৷
পাশাপাশি রাজপুত মেজাজের ঝলক দেখা গেল রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটিংয়েও ৷ যদিও 14 বলে 19 রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি ৷ প্রোটিয়াদের হয়ে এদিন সবচেয়ে বেশি 3টি উইকেট তুলে নেন জিরাল্ড কোয়েটজে ৷ এছাড়া তবরেজ শামসি, এইডেন মার্করাম, মার্কো জানসেন এবং লিজাদ উইলিয়ামস প্রত্যেকেই এদিন একটি করে উইকেট নিয়েছেন ৷ যদিও বৃষ্টির জেরে নির্ধারিত 20 ওভারের 3 বল আগেই থেমে যায় ভারতের ইনিংস ৷
আরও পড়ুন: