কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি : শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ঘোষিত টেস্ট স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন বাংলার স্টাম্পার-ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা ৷ রবিবার ইডেনে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে এসে দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় দলে এই মুহূর্তে ঋষভ পন্থই একনম্বর উইকেটকিপার । সবমিলিয়ে উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেট ৷ চব্বিশ ঘণ্টা পরেও যার আঁচ অব্যাহত সিএবির অন্দরমহলে ।
দল থেকে বাদ পড়া ঋদ্ধির সমালোচনার মুখে পড়েছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়, নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা থেকে শুরু করে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও । প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন ‘পাপালি’ ৷ যা নিয়ে স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চার দেওয়ালের মধ্যে হওয়া খবর বাইরে বের না করাই উচিত (Snehasish Ganguly spoke about Wriddhiman Saha) ।’’ অন্যদিকে নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা বলেছেন, ‘‘বঙ্গ উইকেটরক্ষকের প্রত্যাবর্তনের সুযোগ রয়েছে । কিন্তু সুযোগ পেতে হলে রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে হবে, ভাল পারফরম্যান্স করতে হবে ।’’ সিএবির যুগ্ম-সচিব বলেছেন, ‘‘চল্লিশটা টেস্ট ম্যাচ খেলা ঋদ্ধিমানের জন্য দরজা সবসময় খোলা ।’’
যদিও ব্যক্তিগত সমস্যায় রঞ্জি খেলছেন না ঋদ্ধি ৷ তাঁর অনুপস্থিতিতেও রবিবার রঞ্জিতে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলা । কটকে বরোদার বিরুদ্ধে সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলার ব্যাটাররা । যুগ্ম সচিব স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলের প্রতিটি সদস্যের অনবদ্য অবদানে এই জয় সম্ভব হয়েছে ।’’ কিন্তু ঋদ্ধি দলে ফিরতে চাইলে বরোদার বিরুদ্ধে অসাধারণ ব্যাট করা অভিষেক পোড়েলকে কি দল থেকে বাদ পড়তে হবে ? স্নেহাশীষ বলেন, ‘‘অভিষেক বাংলার ভবিষ্যৎ ।’’ প্রায় একই সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘ঋদ্ধি দলে ঢুকলে অভিষেক ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারে ।’’ যদিও নির্বাচকরা বলছেন, 37 বছরের ক্রিকেটারকে দলে নেওয়া মানে পিছনের দিকে তাকানো । সিএবির যুগ্ম-সচিব যদিও মনে করেন, একজন ক্রিকেটারের কাছে ফিটনেসই শেষ কথা । যার উদাহরণ গ্রাহাম গুচ, অ্যালেস্টার কুকরা । সিএবি কি তাহলে বোর্ডকে বিষয়টা ভেবে দেখতে বলবে ? স্নেহাশীষ বলছেন, ‘‘এইভাবে বোর্ডকে বলার কোনও এক্তিয়ার আমাদের নেই ।’’
আরও পড়ুন : ঋদ্ধির প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েও পন্থকেই একনম্বর উইকেটকিপার বলছেন দ্রাবিড়
ঘনিষ্ঠমহলে ঋদ্ধিমান জানিয়েছেন, বাংলা নক-আউট পর্বে উঠলে তিনি খেলতে পারেন । রঞ্জিতে না খেলার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল । যদিও যুগ্ম-সচিব দাবি করেছেন, ঋদ্ধিমানকে না পাওয়ার বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছিলেন নির্বাচনী সভায় । তাহলে কি সিএবি প্রেসিডেন্ট এবং যুগ্ম-সচিবের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে ? সবমিলিয়ে ঋদ্ধি ইস্যুতে সিএবি-র অন্দরে ধোঁয়াশা ক্রমশ বাড়ছে ।