আমেদাবাদ, 19 নভেম্বর: ইনি রবীন্দ্র জাদেজা ? যিনি কোঁকড়ানো চুলে মাথায় কালো ব্যান্ড বেঁধে বাঁ-হাতি স্পিনে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে দেন ৷ যাঁকে ক্রিকেটবিশ্ব চেনে 'স্যর জাদেজা' নামে ৷ ভারতীয় ওয়ান-ডে দলের একনম্বর স্পিনার সেই মহেন্দ্র সিং ধোনির সময় থেকে বিশ্বক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ৷ জাড্ডুর স্পিন বোলিংয়ের থেকেও বেশি ভয়ংকর তাঁর স্ট্রেটার ৷ যার ফাঁদে পড়েছেন বিশ্বের তাবড় ব্যাটাররা ৷
রবীন্দ্র জাদেজা, ভারতীয় ক্রিকেটে এমন একটা নাম, যাঁর কথা খুব একটা আলোচনায় আসে না ৷ কিন্তু, দলের প্রয়োজনে বা কঠিন সময়ে সর্বদা তিনি প্রস্তুত থাকেন নিজের সেরাটা উজার করে দেওয়া জন্য ৷ 'স্যর জাদেজা', এক আইপিএলে তাঁকে এই নামটি দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ৷ নিজের খেয়ালে থাকা জাদেজাকে নিয়ে মজা করেই এই নামটি রেখেছিলেন ধোনি ৷ কিন্তু, সেটাই আজ তাঁর পরিচয় ৷ গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে যিনি রকস্টার ৷ 'ফ্লাই জাঠ' বলেও ডাকা হয় তাঁকে ৷ অন্যান্য ফিল্ডারদের কাছে যে ক্যাচ অসাধ্য, তা জাদেজার কাছে জলভাত ৷ বল তাঁর থেকে যতদূরেই থাক না কেন, স্যর জাদেজা খুব সহজে তার নিচে পৌঁছে যাবেন ও ক্যাচ ধরেও নেবেন ৷
শুধু ক্যাচ নয়, গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে রান বাঁচানো হোক বা রান-আউট, জাদেজার সামনে খুব একটা ঝুঁকি নেন না ব্যাটারা ৷ কারণ, জাদেজার হাত থেকে বেরনো থ্রো, রকেটের থেকেও দ্রুত এবং সঠিক নিশানায় উইকেটে এসে আছড়ে পড়ে ৷ ফলে যখনই ব্যাটার বলের উপর জাদেজাকে আসতে দেখে, তখন ঘুরে দ্বিতীয় রান নেওয়ার আগে ভাবতে বাধ্য হয় ৷ চলতি বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন জাদেজা ৷ এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত 16 উইকেট নিয়েছেন 11 ম্যাচে ৷ আজকের ফাইনালে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনে ৷
কিন্তু, তা সত্ত্বেও প্রচারের আলোয় কোনও দিনই খুব একটা আসেন না ৷ শুধু বল হাতে নয়, ব্যাটিংয়েও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভারতীয় দলের ত্রাতা হয়ে উঠেছেন তিনি ৷ তাঁর চওড়া ব্যাটে জয় পেয়েছে ভারত ৷ আর তার প্রমাণ এই বিশ্বকাপেই রয়েছে ৷ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিগের ম্যাচে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরেছিলেন তিনি ৷ বিরাট কোহলির সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েছিলেন ৷ এমনকি কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও বিরাটের সঙ্গে পার্টনাশিপ করেন জাদেজা ৷ সেখানে 29 রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন ৷ যে ম্যাচে বিশ্বকাপে প্রথম 5 উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা ৷ কিন্তু, বিরাট কোহলির 101 অপরাজিত ইনিংসের আগে, সেই 5 উইকেট এবং অপরাজিত 29 রান ঢাকা পড়ে যায় ৷
আরও পড়ুন: