ইন্দোর, 1 মার্চ: প্রথম ইনিংসে মাত্র 33 ওভার ব্যাটিং করেছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা ৷ ব্যক্তিগত 25 রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি কোনও ভারতীয় ব্যাটার । সর্বোচ্চ স্কোর বিরাট কোহলির 22 । মাত্র 109 রানে অল-আউট রোহিত অ্যান্ড কোং ৷ ইন্দোরের ঘূর্ণি পিচে অজি স্পিনারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ভারত ৷ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের স্বস্তির জায়গাই ব্যুমেরাং হওয়ায় চাপে রাখবে ভারতকে ।
মাত্র 16 রান খরচ করে 5 উইকেট নিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার ম্যাথিউ কুহনেমন ৷ 3 উইকেট নিয়েছেন নাথন লায়ন ৷ টড মর্ফির ঝুলিতে এসেছে 1টি উইকেট ৷ যে স্পিন ভারতীয় ব্যাটারদের সবচেয়ে স্বস্তির জায়গা, সেখানই ডাহা ফেল করেছেন রোহিত, কোহলিরা । নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে ব্যাটিং লাইন-আপকে । কিন্তু হঠাৎ এই ব্যাটিং ধসের কারণ কী ? সাংবাদিক সম্মেলনে এসে দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর (Batting coach Vikram Rathour) জানিয়ে দিলেন, পিচের চরিত্রই বুঝতে পারেনি ব্যাটাররা । পিচে বল অত্যধিক ঘুরেছে ।
রাঠোর বলেন, "ঘরের মাঠে স্পিনিং ট্র্যাকই বরবার ভারতের শক্তির জায়গা । হোলকার স্টেডিয়ামও চ্যালেঞ্জিং উইকেট । তবে আমরা যা আশা করেছিলাম, তার চেয়ে বেশি টার্ন হয়েছে । সকালে আর্দ্রতার কারণে বল খুব দ্রুত ঘুরেছে । আমরা আরও বেশি রান করতে পারতাম । তবে আমার মনে হয় না কেউ খারাপ খেলেছে । আমরা ঠিক করেছিলাম, ভালো বল ধরে খেলব । খারাপ বল পেলেই রান করব । সেই সিদ্ধান্ত খাটেনি । ব্যাটারদের আজকে ছুটির দিন ছিল । এটা এক-আধদিন হতেই পারে ।"
একদিনের বিপর্যয়ে দলের মানসিকতা বদলে যাবে না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন ব্যাটিং কোচ । একই সঙ্গে পিচ কিউরেটরদেরও পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি । রাঠোর বলেন, "কিউরেটরদের দোষ দেওয়ার কোনও কারণ নেই । ওরা উইকেট প্রস্তুত করার জন্য খুব কম সময় পেয়েছে । রঞ্জি চলছিল । ধর্মশালা থেকে ম্যাচ সরানোর সিদ্ধান্ত অনেক দেরিতে নেওয়া হয়েছে । ফলে কিউরেটররা পর্যাপ্ত সময় পায়নি ।"
আরও পড়ুন: ভারতের ব্যর্থতাতেও উজ্জ্বল জাদেজা, নয়া রেকর্ডে কপিলদেবের সঙ্গে একাসনে জাড্ডু
অন্যদিকে ঘূর্ণি পিচ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন । ইন্দোরে একা কুম্ভ রবীন্দ্র জাদেজা । তারকা স্পিনারের দাপটেই ম্যাচে রইল ভারত । প্রথম দিনের শেষে তাঁর নামের পাশে 4টি উইকেট । টানা তৃতীয় ম্যাচে এক ইনিংসে 5 উইকেট নেওয়ার পথে জাদেজা । দিনের শেষে অজিরা 47 রানে এগিয়ে । হাতে 6 উইকেট নিয়ে কাল নামবেন হ্যান্ডসকম্বরা ।