ETV Bharat / sports

কোলাঘাট থেকে কলকাতা হয়ে ক্যানবেরা, ক্রিকেট মাঠে স্বপ্নের উড়ান দয়ানন্দের

ভারত, এমন একটি দেশ, যেখানে প্রতিটি শিশু বড় হয়ে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখে ৷ গরানিও এমনই ভেবেছিলেন ৷ তবে অনেকের মতোই তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার স্বপ্নের উড়ান নেয়নি ৷ তবে নিজের স্বপ্নের পূরণের আশা ছাড়েননি গরানি ৷ ক্রিকেটার হিসেবে না হোক, সাপোর্ট স্টাফ হিসেবেও ভারতের জাতীয় দলে থাকতে চেয়েছিলেন গরানি ৷

author img

By

Published : Nov 12, 2020, 11:07 PM IST

দয়ানন্দ গরানী
দয়ানন্দ গরানী

দিল্লি, 12 নভেম্বর : বাংলায় একটি প্রবাদ আছে ‘‘ ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় ’’৷ কোলাঘাটের দয়ানন্দ গরানি সেই প্রবাদ বাক্যকেই সত্যি করে দেখালেন ৷ বেশি দিনের কথা নয়, কলকাতার ব্যস্ততম রাস্তায় গ্রিন পুলিশ হিসেবে ট্র্যাফিক সামলাতেন ৷ সেই গরানি বর্তমানে আগামী অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের থ্রোডাউন এক্সপার্ট ৷

ভারত, এমন একটি দেশ, যেখানে প্রতিটি শিশু বড় হয়ে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখে ৷ গরানিও এমনই ভেবেছিলেন ৷ তবে অনেকের মতোই তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার স্বপ্নের উড়ান নেয়নি ৷ তবে নিজের স্বপ্নের পূরণের আশা ছাড়েননি ৷ ক্রিকেটার হিসেবে না হোক, সাপোর্ট স্টাফ হিসেবেও ভারতের জাতীয় দলে থাকতে চেয়েছিলেন গরানি ৷ বর্তমানে তিনি বিরাট কোহলি, আজিঙ্কা রাহানে, চেতেশ্বর পূজারার মতো ক্রিকেটারদের অজ়ি সফরে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবেন ৷

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট এলাকার জামাটিয়া গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান দয়ানন্দ গরানি ৷ ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা শোনার পর উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন তিনি ৷

থ্রোডাউন এক্সপার্ট হিসেবে ভারতীয় দলে তাঁর নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন ৷ তবে তিনি থ্রোডাউন তাঁর কাছে কোনও নতুন বিষয় নয় ৷ জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের সঙ্গে কাজ করেছেন ৷ IPL থেকে KXIP ছিটকে যাওয়ার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন দয়ানন্দ গরানি ৷ কিন্তু তখনই জাতীয় দলে যাওয়ার জন্য BCCI -র থেকে ডাক পান তিনি ৷ তবে রেগুলার থ্রোডাউন এক্সপার্ট রাঘবেন্দ্র কোরোনা আক্রান্ত হওয়ায় গরানির কাছে সুযোগ চলে আসে ৷

একটি সংবাদ সংস্থায় গরানি বলেন, ‘‘ আমার জীবন জুড়ে, আমি দেশের সেবা করতে চেয়েছি ৷ এবং এখন আমি সুযোগ পেয়েছি ৷ আমি কখনও ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি এই সুযোগ পাব ৷ IPL -র সময় অবশ্যই তাঁরা আমার মধ্যে কিছু দেখেছেন ৷ এটা আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ৷ ’’

তিন ঘণ্টা ধরে ক্রমাগত 140-র বেশি স্পিডে বোলিং করা সহজ কাজ নয় ৷ তবে গরানি সেই চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি ৷ 28 বছরের দয়ানন্দ বলছেন, ছোটোবেলায় তিনি জিমন্যাস্ট করতেন ৷ এবং নেটে ক্রিকেটারদের দাবি অনুযায়ী বোলিং করার জন্য তিনি তৈরি ৷

মিডিয়াম পেসার গরানি অতীতে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন ৷ ক্লাব ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর কেরিয়াচর শুরু করেছিলেন ৷ তবে একসময় তাঁর কাছে কোলাঘাট থেকে কলকাতা আসার বাস টিকিট কেনার পয়সাও ছিল না ৷ তারপর তিনি প্রথম ডিভিশনের ম্যাচে কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিত্ব করেন ৷ সেখান থেকেই গ্রিন পুলিশের কাজ পান দয়ানন্দ ৷

তবে ক্রিকেটে বড় কিছু করতে না পেরে তাঁর রাস্তা পরিবর্তন করেন গরানি ৷ কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর কথায় তিনি ফিটনেস ট্রেনিং কোর্স করেন ৷ সেখানে বাংলা দলের ট্রেনার সঞ্জীব দাসের সংস্পর্শে আসেন ৷ এবং পরে 2016 সালে অন্ধ্র রণজি দলে থ্রোডাউন এক্সপার্ট হিসেবে যোগ দেন ৷

দিল্লি, 12 নভেম্বর : বাংলায় একটি প্রবাদ আছে ‘‘ ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় ’’৷ কোলাঘাটের দয়ানন্দ গরানি সেই প্রবাদ বাক্যকেই সত্যি করে দেখালেন ৷ বেশি দিনের কথা নয়, কলকাতার ব্যস্ততম রাস্তায় গ্রিন পুলিশ হিসেবে ট্র্যাফিক সামলাতেন ৷ সেই গরানি বর্তমানে আগামী অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের থ্রোডাউন এক্সপার্ট ৷

ভারত, এমন একটি দেশ, যেখানে প্রতিটি শিশু বড় হয়ে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখে ৷ গরানিও এমনই ভেবেছিলেন ৷ তবে অনেকের মতোই তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার স্বপ্নের উড়ান নেয়নি ৷ তবে নিজের স্বপ্নের পূরণের আশা ছাড়েননি ৷ ক্রিকেটার হিসেবে না হোক, সাপোর্ট স্টাফ হিসেবেও ভারতের জাতীয় দলে থাকতে চেয়েছিলেন গরানি ৷ বর্তমানে তিনি বিরাট কোহলি, আজিঙ্কা রাহানে, চেতেশ্বর পূজারার মতো ক্রিকেটারদের অজ়ি সফরে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবেন ৷

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট এলাকার জামাটিয়া গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান দয়ানন্দ গরানি ৷ ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা শোনার পর উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন তিনি ৷

থ্রোডাউন এক্সপার্ট হিসেবে ভারতীয় দলে তাঁর নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন ৷ তবে তিনি থ্রোডাউন তাঁর কাছে কোনও নতুন বিষয় নয় ৷ জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের সঙ্গে কাজ করেছেন ৷ IPL থেকে KXIP ছিটকে যাওয়ার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন দয়ানন্দ গরানি ৷ কিন্তু তখনই জাতীয় দলে যাওয়ার জন্য BCCI -র থেকে ডাক পান তিনি ৷ তবে রেগুলার থ্রোডাউন এক্সপার্ট রাঘবেন্দ্র কোরোনা আক্রান্ত হওয়ায় গরানির কাছে সুযোগ চলে আসে ৷

একটি সংবাদ সংস্থায় গরানি বলেন, ‘‘ আমার জীবন জুড়ে, আমি দেশের সেবা করতে চেয়েছি ৷ এবং এখন আমি সুযোগ পেয়েছি ৷ আমি কখনও ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি এই সুযোগ পাব ৷ IPL -র সময় অবশ্যই তাঁরা আমার মধ্যে কিছু দেখেছেন ৷ এটা আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ৷ ’’

তিন ঘণ্টা ধরে ক্রমাগত 140-র বেশি স্পিডে বোলিং করা সহজ কাজ নয় ৷ তবে গরানি সেই চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি ৷ 28 বছরের দয়ানন্দ বলছেন, ছোটোবেলায় তিনি জিমন্যাস্ট করতেন ৷ এবং নেটে ক্রিকেটারদের দাবি অনুযায়ী বোলিং করার জন্য তিনি তৈরি ৷

মিডিয়াম পেসার গরানি অতীতে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন ৷ ক্লাব ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর কেরিয়াচর শুরু করেছিলেন ৷ তবে একসময় তাঁর কাছে কোলাঘাট থেকে কলকাতা আসার বাস টিকিট কেনার পয়সাও ছিল না ৷ তারপর তিনি প্রথম ডিভিশনের ম্যাচে কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিত্ব করেন ৷ সেখান থেকেই গ্রিন পুলিশের কাজ পান দয়ানন্দ ৷

তবে ক্রিকেটে বড় কিছু করতে না পেরে তাঁর রাস্তা পরিবর্তন করেন গরানি ৷ কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর কথায় তিনি ফিটনেস ট্রেনিং কোর্স করেন ৷ সেখানে বাংলা দলের ট্রেনার সঞ্জীব দাসের সংস্পর্শে আসেন ৷ এবং পরে 2016 সালে অন্ধ্র রণজি দলে থ্রোডাউন এক্সপার্ট হিসেবে যোগ দেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.