হায়দরাবাদ, 30 সেপ্টেম্বর: একেই বোধহয় বলে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! একসময় দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ ৷ তাঁকেই কি না বিশ্বকাপের খেলা দেখার জন্য় নিতে হবে অনুমতি! তাও মাঠে নয়, টেলিভিশনে খেলা দেখার জন্য়ই হয়তো অনুমতি নিতে হবে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ৷ তোষাখানা দুর্নীতি-সহ একাধিক মামলার আপাতত তাঁর দিন কাটছে কারাগারে ৷
অক্টোবরের ক্রিকেট মহাযজ্ঞের জন্য এখন তৈরি বিশ্ব ৷ 6 অক্টোবর প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে পাকিস্তান এবং নেদারল্যান্ডস ৷ অন্যসময় হলে হয়তো এই দিনে কোনও টেলিভিশন চ্যানেলের স্টুডিয়োতে বসে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতেন ইমরান ৷ আর পর্দার সামনে বসে তাঁর সেই বক্তব্য় শুনতেন অসংখ্য অনুরাগী ৷ কিন্তু আপাতত তিনি বন্দি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ৷
বিশ্বকাপ শুরুর দিন অর্থাৎ, 5 অক্টোবর আবার ইমরানের জন্মদিনও বটে ৷ এবার একাত্তরে পা দেবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনিই একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক যাঁকে জন্মদিনের সকালে ম্য়াচ দেখার জন্য হয়তো অনুমতি চাইতে হবে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে ৷ 'তোষাখানা মামলা' অর্থাৎ রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তানের পাওয়া উপহার বিক্রি করে দেওয়া থেকে 'তথ্য ফাঁস' ইমরানের নামে রয়েছে একাধিক অভিযোগ ৷ গত 5 অগস্ট তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ আপাতত তিনি রয়েছেন আদিয়ালা জেলে ৷
1971 সালে ইংল্যান্ডে বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে অভিষেক করেছিলেন এই পাক অলরাউন্ডার ৷ তার ঠিক তিন বছর পর একদিনের ক্রিকেট দলেও জায়গা করে নেন তিনি ৷ ব্যাট হাতে তো বটেই, বল হাতেও ইমরান ছিলেন দুর্ধর্ষ ৷ টেস্ট এবং একদিনের ম্যাচ মিলিয়ে 500-এর বেশি উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি ৷ আর রান সংগ্রহ করেছিলেন 8 হাজারেরও বেশি ৷ তবে তাঁর সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল একজন অধিনায়াক হিসাবে ৷
আরও পড়ুন: বিতর্ক দূরে সরিয়ে দারণ ছন্দে বাংলাদেশ, প্রস্তুতি ম্যাচে টাইর্গাসদের 'লঙ্কা জয়'
1987 সালে সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের পর তো খেলা ছেড়ে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইমরান ৷ কিন্তু তৎকালীন মিলিটারি জেনারেল জিয়া-উল-হকের কথায় তিনি সিদ্ধান্ত বদলান ৷ 1992 সালে বিশ্বকাপ ট্রফি ওঠে তাঁর হাতে ৷ ফাইনাল ম্যাচেও ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে 72 রানের ইনিংস খেলেন তিনি ৷ অন্যদিকে বল হাতেও একটি উইকেট তুলে নেন ৷ তাঁর হাত ধরেই ফাইনালে ব্রিটিশ বধ করার সাহস দেখিয়েছিল পাকিস্তান ৷