ওয়াংখেড়ে, 2 নভেম্বর: এক যুগ আগে এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি ৷ ফাইনাল ম্যাচে সেসময় বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং সচিন তেন্ডুলকরকে হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল ৷ 35 রান করে দলের হাল ধরেছিলেন রানমেশিন ৷ তারপর গৌতম গম্ভীর-মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ট্রফি জেতে ভারতীয় দল ৷ আর বিরাটের কাঁধে চেপে তারপর মাঠে চক্কর দিয়েছিলেন সচিন ৷ এক যুগ পর সেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই লিটল মাস্টারের রেকর্ড ছোঁয়ার অমোঘ সুযোগ ছিল কোহলির সামনে ৷
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
তাও আবার সচিন যখন উপস্থিত ওয়াংখেড়ের গ্যালারিতে ৷ এমন স্বপ্নের চিত্রনাট্য দেখে হয়তো মনে হয়েছিল রাজকুমার হিরানি কিংবা আশুতোষ গোয়াড়েকরের ছবির কথা ৷ কিন্তু রিল লাইফের চেয়েও কখনও কখনও কঠিন হয়ে ওঠে বাস্তবটা ৷ ক্রিকেটের দেবতাও এদিন বেশ সদয় হন বিরাটের উপর ৷ দু'বার ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান কোহলি ৷ কিন্তু তারপরেও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লিটল মাস্টারের সর্বাধিক 49টি শতরানের রেকর্ড স্পর্শ করা হল না রান মেশিনের ৷
দু'বার জীবনদান পাওয়ার পরও 88 রানেই তিনি ফেরেন সাজঘরে ৷ দিলশান মধুশঙ্কার স্লোয়ার বল বুঝতে না পেরে ব্যাটের ওপরের দিকে লাগান বিরাট ৷ এই সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে কোনও ভুল করেননি পাথুম নিশাঙ্কা ৷ ফলে 94 বলে গড়া 88 রানের ধৈর্যশীল ইনিংস শেষ হয়ে যায় অচিরেই ৷ এর আগেও চলতি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড ছোঁয়ার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু সেবারও 95 রানেই ফিরতে হয় তাঁকে ৷
আরও পড়ুন: 'বিরাট' কাঁধে ভিকট্রি ল্যাপ, একযুগ পর কোহলির জন্য ওয়াংখেড়েতে গলা ফাটাচ্ছেন সচিন
বৃহস্পতিবার বিরাটের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেন শুভমান গিলও ৷ শুভমন একটি ক্যাচ দিয়েছিলেন বটে তবে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সেই বলও তালুবন্দি করতে পারেননি লঙ্কান ফিল্ডার ৷ তবে শেষমেষ শতক পাননি তিনিও ৷ 92 বলে 11টি চার ও 2টি ছক্কার সাহায্যে 92 রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি ৷