কলকাতা, 12 নভেম্বর: দীপাবলীর সন্ধেয় কলকাতা ছাড়ল পাকিস্তান দল। রবিবারই তারা ভারত ছেড়ে লাহোরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। পাঁচ নম্বরে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শেষ করা নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা চলছে। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটাররা দলকে ঘুরে দাঁড় করাতে গোড়া থেকে নাড়া দেওয়ার কথা বলছেন। তাঁদের মতে, ফিটনেস সমস্যা চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাবর আজমদের। ফলে ফিল্ডিংয়ের মান যেমন ছিল তলানিতে তেমনই ব্যাটিংয়ে তার প্রভাব পড়েছে।
প্রাক্তনদের মতে, নতুন প্রতিভার অন্বেষণ হচ্ছে না। কারণ পাকিস্তানে প্রতিভার অভাব নেই। অধিনায়ক বাবর আজম বলেছেন, দেশে ফিরে তিনি নেতৃত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে নেতৃত্বের ভার তাঁর ব্যাটিংকে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি বলে মনে করেন। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বলছেন কোচিং ব্রিগেডে বদল জরুরি। কারণ দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে মিকি আর্থারদের নতুন কিছু দেওয়ার আর কিছু নেই। পরিকল্পনার দৈন্যতা পুরো দলের উপর পড়ছে। কাউন্টি ক্রিকেট দল পরিচালনা এবং কোনও জাতীয় দল পরিচালনা এক নয় বলে প্রাক্তনরা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে পাকিস্তান কোচ আর্থারেরও মনে হয় না তাঁরা সেরা ক্রিকেট খেলেছেন। বিশ্বকাপের সেরা চার দলই সেমিফাইনাল খেলছে। সাফল্যের জন্য আরও ভালো ক্রিকেট যে খেলা প্রয়োজন সেটাও যদিও স্বীকার করেছেন মিকি আর্থার। কোচ বলছেন, "তারা ইতিমধ্যেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কী করতে হবে, সেটাও পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার বাস্তবায়নের চেষ্টাও শুরু হয়েছে।" পাকিস্তান দলকে ধারাবাহিক হতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
একইভাবে দলে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের অভাব নেই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট। যাদের সামনে উজ্জ্বল ক্রিকেট ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন। এখন এই নতুন প্রতিভাবান ক্রিকেটার নিয়মিত উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। একইভাবে ক্রিকেটার নির্বাচনে ধারাবাহিক হওয়ার কথা বলছেন মিকি আর্থার। ক্রিকেটের অনুকূল পরিবেশের কথা বলছেন তিনি যাতে সকলেই মেলে ধরতে পারে। বলা হচ্ছে, পাকিস্তান সাজঘর ঐক্যবদ্ধ নয়। অধিনায়ক বাবর আজমের বিরুদ্ধ লবি সক্রিয়। মিকি আর্থার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন দল ঐক্যবদ্ধ। অধিনায়ক বাবরের পিছনে পুরো দল রয়েছে।
আরও পড়ুন: