আমেদাবাদ, 5 অক্টোবর: শুরুটা ভালো করেও ক্রিজে টিকতে পারলেন না ইংল্যান্ডের দুই ওপেনারের কেউই ৷ 14 রানে ফিরলেন ডেবিড মালান, 33 রান করে আউট হলেন জনি বেয়ারস্টো ৷ লম্বা হল না হ্যারি ব্রুক এবং মইন আলির ইনিংসও ৷ যথাক্রম 11 এবং 25 রানে ফিরলেন দু'জনে ৷ 118 রানে 4 উইকেট হারানো বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ব্যাটন এখন অধিনায়ক জস বাটলার এবং প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক জো রুটের কাঁধে ৷ 27 ওভারে 4 উইকেট হারিয়ে 150 রান তুলেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ৷
আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে জেতেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথাম ৷ তিনি টসে জিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ এই ম্যাচে দুই দলের দুই নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড) ও কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্য়ান্ড) খেলছেন না ৷
উল্লেখ্য, গতবার ফাইনালে এই দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছিল ৷ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপজয়ী হয়েছিল ইংল্যান্ড ৷ আর রানার্স হয়েছিল নিউজিল্যান্ড ৷ এই মুহূর্তে আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের স্থান পরপর ৷ ইংল্যান্ড এখন পাঁচ নম্বরে রয়েছে ৷ আর নিউজিল্যান্ড রয়েছে ছ‘নম্বরে ৷ বিশ্বকাপে নামার আগে শেষ যে পাঁচটি ম্যাচ ইংল্যান্ড খেলেছে ৷ তার মধ্যে তিনটিতে জিতেছে ৷ বাকি দু’টি ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যায় ৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইংল্যান্ডের জেতা শেষ তিনটে ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে তারা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে ৷ তার মধ্যে একটি ম্যাচ তারা 181 রানে জেতে ৷ আরও একটি ম্যাচ তারা জেতে 100 রানে ৷
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে হেরেছে ৷ দু’টিতে জিতেছে ৷ আর একটি ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যায় ৷ নিউজিল্যান্ডের শেষ দু’টি জয় এসেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৷ স্বাভাবিকভাবেই এ দিনের ম্যাচে ধারেভারে ইংল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ তবে বিশ্বজয়ের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডকেও পিছিয়ে রাখা যাবে না বলেই অনেকের মত ৷
ইংল্যান্ডের দল - জন বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার (অধিনায়ক ও উইকেট কিপার), মঈন আলি, লিয়াম লিভিংস্টোন, ক্রিস ওকস, স্যাম কারান, আদিল রশিদ ও মার্ক উড ৷
নিউজিল্যান্ডের দল - ডেভিড কনওয়ে, উইল ইয়ং, রচিন রবীন্দ্র, ডারেল মিশেল, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক ও উইকেট কিপার), গ্লেন ফিলিপ্স, মার্ক চ্যাপম্যান, জিমি নাসিম, মিচেন স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্ট ৷
আরও পড়ুন: মোতেরা এখন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী এই মাঠ