কলকাতা, 10 জুলাই : বিধানসভা ভোটের আগে তখন তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক ৷ ছোট, বড়, মেজ সবধরনের তৃণমূল নেতারা একের পর এক জোড়াফুল শিবির ছেড়ে গেরুয়া দলের ঠাঁই নিচ্ছেন ৷ তেমনই একটা টালমাটাল সময়ে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা ৷ মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন ৷ তৃণমূলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বলেছিলেন ফের ক্রিকেটের আঙিনায় ফিরতে চান ৷ ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতে চান ৷ নিন্দুকরা মুখ বেঁকিয়ে বলেছিল, ওসব বাহানা ৷ লক্ষ্মীরও গন্তব্য হবে গেরুয়া শিবির ৷ কিন্তু সেদিকে পাও মাড়াননি জাতীয় ও বাংলা দলের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার ৷ কথা রাখলেন লক্ষ্মী ৷ ক্রিকেটে ফিরলেন ৷ তাও আবার বাংলা দলের কোচ হয়ে ৷
বাংলার অনূর্ধ্ব 23 ক্রিকেট দলের কোচ হয়ে ক্রিকেটের আঙিনায় প্রত্যাবর্তন হচ্ছে লক্ষ্মীরতন শুক্লার ৷ বড় মঞ্চের জন্য বাংলার তরুণ ক্রিকেটারদের তৈরির করার কাজ এখন তাঁর কাঁধে ৷ শুক্রবার সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছে । সেখানে অরুণলালকে মেন্টর রেখে সহকারী কোচ হিসেবে সৌরাশিস লাহিড়ীকে জুড়ে দেওয়া হল । এতদিন অনূর্ধ্ব 23 দলের কোচ ছিলেন বাংলার প্রাক্তন অফস্পিনার সৌরাশিস । তাঁকে সিনিয়র দলে অরুণলালের ডেপুটি করে সেই জায়গায় লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।
ফের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি লক্ষ্মীরতন শুক্লা । বললেন, "যখন মন্ত্রী ছিলাম তখনও নিজের অ্যাকাডেমিতে ছোটদের নিয়ে কাজ করতাম । এখন বাংলা দলকে নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে ভাল লাগছে । নিজের রাজ্য দলের জন্য যেকোনও বিভাগে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা আনন্দের । আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি । এই অবস্থায় বাংলা দলের জন্য সাপ্লাই লাইন তৈরি করার কাজ আমার উপরে দেওয়া হয়েছে । প্যাটসি (সৌরাশিস লাহিড়ী) এই কাজটা দারুণ সামলেছে । আমার কাজ হবে সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ৷"
আরও পড়ুন : এক বনাম এগারো, বলছে ব্রাজিল সমর্থকরা ; ভাঙা পায়ে খেলা হবে, হুঙ্কার মেসি ভক্তদের
অন্যদিকে রণদেব বসুর পরিবর্তে বোলিং কোচের জায়গা পেলেন শিবশঙ্কর পাল । তিনি বাংলার মহিলা দলের মুখ্য কোচ ছিলেন । তাঁর ছেড়ে যাওয়া জায়গায় মহিলা দলের প্রধান কোচ হলেন ঋতুপর্ণা রায় । চরণজিৎ সিংকেও রাখা হয়েছে বাংলার মহিলা দলের কোচ হিসেবে । বাংলার ব্যাটিং পরামর্শ দাতা ভিভিএস লক্ষ্মণের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করা হলেও তাঁকে আগামী বছর মার্চ মাস পর্যন্ত দায়িত্বে রাখা হয়েছে ।