লন্ডন, 30 মে : ছোটো ছোটো দ্বীপ রাষ্ট্র অন্য খেলায় আলাদা আলাদাভাবে প্রতিনিধিত্ব করলেও ক্রিকেটের মাঠে ওরা সবাই এক । এক কথায় বলা যায় উইন্ডিজ় মানে ডিভাইডেড বাই নেশনস ইউনাইটেড বাই ক্রিকেট । ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট ইতিহাস এতটাই সমৃদ্ধ যে চোখ কপালে ওঠার পক্ষে যথেষ্ট । 1975, 1979 সালে দাপটের সঙ্গে বিশ্বকাপ জিতলেও 1983 সালে অপ্রত্যাশিত পতন । কপিলদেবের ভারতের কাছে হারের লজ্জা এতটাই যে তারপর থেকে দিন যত এগিয়েছে ততই পিছিয়েছে ক্রিকেট মানচিত্রে পিছিয়ে পড়ছিল ক্যারিবিয়ানরা ।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে উইন্ডিজ় এখন আর সুপার পাওয়ার নয় । রঙিন পোশাকের ক্রিকেটেও উইন্ডিজ় যে খেতাবের হট ফেভারিট তা কেউ দাবি করে না । কিন্তু তাদের ক্ষমতাকে অস্বীকার করার উপায়ও নেই । বিশেষ করে চলতি বিশ্বকাপে তো বটেই । কারণ মাঝের সময় টালমাটাল পরিস্থিতিতেও উইন্ডিজ় 2012 ও 2016 সালে T-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে । সেই অভিজ্ঞতা ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের সাহায্য করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের । দলে একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের উপস্থিতি উইন্ডিজ় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে । একই সঙ্গে দলের অলরাউন্ডারদের ফর্ম এবারের বিশ্বকাপে দলের অন্যতম শক্তি ।
IPL-এ দুরন্ত ফর্মে ব্যাট করেছেন আন্দ্রে রাসেল । নাইটদের জার্সিতে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা যদি রাসেল বিশ্বকাপে বজায় রাখতে পারেন তাহলে জেসন হোল্ডারের চিন্তা কমবে । IPL-এ ক্রিস গেইলও দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন । বিশ্বকাপে ভালো ফল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দু'জনেই । পাশাপাশি হার্ড হিটিং হেটমেয়ারও দারুণ ছন্দে রয়েছেন ।