ETV Bharat / sports

বিশ্বকাপে রাসেল, গেইলের ঝড়ের অপেক্ষায় উইন্ডিজ়

দলে একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের উপস্থিতি উইন্ডিজ় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে । একই সঙ্গে দলের অলরাউন্ডারদের ফর্ম এবারের বিশ্বকাপে দলের অন্যতম শক্তি ।

রাসেল
author img

By

Published : May 30, 2019, 10:47 PM IST

লন্ডন, 30 মে : ছোটো ছোটো দ্বীপ রাষ্ট্র অন্য খেলায় আলাদা আলাদাভাবে প্রতিনিধিত্ব করলেও ক্রিকেটের মাঠে ওরা সবাই এক । এক কথায় বলা যায় উইন্ডিজ় মানে ডিভাইডেড বাই নেশনস ইউনাইটেড বাই ক্রিকেট । ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট ইতিহাস এতটাই সমৃদ্ধ যে চোখ কপালে ওঠার পক্ষে যথেষ্ট । 1975, 1979 সালে দাপটের সঙ্গে বিশ্বকাপ জিতলেও 1983 সালে অপ্রত্যাশিত পতন । কপিলদেবের ভারতের কাছে হারের লজ্জা এতটাই যে তারপর থেকে দিন যত এগিয়েছে ততই পিছিয়েছে ক্রিকেট মানচিত্রে পিছিয়ে পড়ছিল ক্যারিবিয়ানরা ।

ক্রিস গেইল
ক্রিস গেইল

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে উইন্ডিজ় এখন আর সুপার পাওয়ার নয় । রঙিন পোশাকের ক্রিকেটেও উইন্ডিজ় যে খেতাবের হট ফেভারিট তা কেউ দাবি করে না । কিন্তু তাদের ক্ষমতাকে অস্বীকার করার উপায়ও নেই । বিশেষ করে চলতি বিশ্বকাপে তো বটেই । কারণ মাঝের সময় টালমাটাল পরিস্থিতিতেও উইন্ডিজ় 2012 ও 2016 সালে T-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে । সেই অভিজ্ঞতা ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের সাহায্য করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের । দলে একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের উপস্থিতি উইন্ডিজ় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে । একই সঙ্গে দলের অলরাউন্ডারদের ফর্ম এবারের বিশ্বকাপে দলের অন্যতম শক্তি ।

IPL-এ দুরন্ত ফর্মে ব্যাট করেছেন আন্দ্রে রাসেল । নাইটদের জার্সিতে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা যদি রাসেল বিশ্বকাপে বজায় রাখতে পারেন তাহলে জেসন হোল্ডারের চিন্তা কমবে । IPL-এ ক্রিস গেইলও দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন । বিশ্বকাপে ভালো ফল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দু'জনেই । পাশাপাশি হার্ড হিটিং হেটমেয়ারও দারুণ ছন্দে রয়েছেন ।

লন্ডন, 30 মে : ছোটো ছোটো দ্বীপ রাষ্ট্র অন্য খেলায় আলাদা আলাদাভাবে প্রতিনিধিত্ব করলেও ক্রিকেটের মাঠে ওরা সবাই এক । এক কথায় বলা যায় উইন্ডিজ় মানে ডিভাইডেড বাই নেশনস ইউনাইটেড বাই ক্রিকেট । ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট ইতিহাস এতটাই সমৃদ্ধ যে চোখ কপালে ওঠার পক্ষে যথেষ্ট । 1975, 1979 সালে দাপটের সঙ্গে বিশ্বকাপ জিতলেও 1983 সালে অপ্রত্যাশিত পতন । কপিলদেবের ভারতের কাছে হারের লজ্জা এতটাই যে তারপর থেকে দিন যত এগিয়েছে ততই পিছিয়েছে ক্রিকেট মানচিত্রে পিছিয়ে পড়ছিল ক্যারিবিয়ানরা ।

ক্রিস গেইল
ক্রিস গেইল

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে উইন্ডিজ় এখন আর সুপার পাওয়ার নয় । রঙিন পোশাকের ক্রিকেটেও উইন্ডিজ় যে খেতাবের হট ফেভারিট তা কেউ দাবি করে না । কিন্তু তাদের ক্ষমতাকে অস্বীকার করার উপায়ও নেই । বিশেষ করে চলতি বিশ্বকাপে তো বটেই । কারণ মাঝের সময় টালমাটাল পরিস্থিতিতেও উইন্ডিজ় 2012 ও 2016 সালে T-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে । সেই অভিজ্ঞতা ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের সাহায্য করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের । দলে একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের উপস্থিতি উইন্ডিজ় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে । একই সঙ্গে দলের অলরাউন্ডারদের ফর্ম এবারের বিশ্বকাপে দলের অন্যতম শক্তি ।

IPL-এ দুরন্ত ফর্মে ব্যাট করেছেন আন্দ্রে রাসেল । নাইটদের জার্সিতে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা যদি রাসেল বিশ্বকাপে বজায় রাখতে পারেন তাহলে জেসন হোল্ডারের চিন্তা কমবে । IPL-এ ক্রিস গেইলও দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন । বিশ্বকাপে ভালো ফল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দু'জনেই । পাশাপাশি হার্ড হিটিং হেটমেয়ারও দারুণ ছন্দে রয়েছেন ।

Intro:চমক যে দলের সঙ্গী, পাকিস্তান

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল টিন পাকিস্তান। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল। সেটাই এখনও পর্যন্ত তাদের প্রথম ও শেষ বিশ্বকাপ জয়। অথচ ১৯৭৫ সালে শুরু হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরেই দারুন সম্ভাবনার নাম পাকিস্তান। কুড়ি বছর পরে ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ। ১৯৯৯ সালে ওয়াসিম আক্রমের নেতৃত্বাধীন দল বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিল। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও তারা লড়াই করেছিল। তবে মাঝের কুড়ি বছরে পাক ক্রিকেটের গ্রাফ নিম্নমুখী। মাঠের বাইরের বিভিন্ন বিতর্কে মেন ইন গ্রীন কখনই দল হয়ে উঠতে পারছে না। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের কাছে তাই এগারোজন ক্রিকেটারকে এক ছাতার তলায় আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইংল্যান্ডে এবার সেরা চার দলের অন্যতম পাকিস্তান। কথাটা যে শুধুই কতগুলো শব্দ নয় তা প্র্যাকটিস ম্যাচ ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে প্রমাণিত। যেকোনও বড় রান তাড়া করার ক্ষমতা এই দলের রয়েছে। বাবর আজম, ফকর আজম, ইমাম উল হকরা ইংল্যান্ডে নিয়মিত রান পাচ্ছেন। এর পাশাপাশি শোয়েব মালিক ও মহম্মদ হাফিজের অভিজ্ঞতা পাকিস্তানের ভরসাস্থল। তাছাড়া ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তান বরাবরই ভালো খেলে। দুবছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে কাপ জিতেছিলেন সরফরাজ আহমেদ। যা পুরো দলকে বাড়তি উদ্দীপনা যোগাবে। ইংল্যান্ড কন্ডিশনে বল হাতে পাক বোলাররা চিরকালই ভয়ঙ্কর। এবারের বিশ্বকাপে মহম্মদ আমেরের ফর্মে থাকা পাকিস্তানের পক্ষে জরুরি। একই সঙ্গে শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিম প্রতিশ্রুতিমান স্পিনার হিসেবে নজর কাড়তে পারেন।
পাকিস্তান চিরকালই চমক দেখায়। একা ম্যাচ বদলে দেওয়ার ক্ষমতাবান ক্রিকেটার বর্তমান পাকিস্তান দলে নেই। কিন্তু কে কখন ব্যাট বা বল হাতে সংহার মূর্তি ধারন করবে তা কেউ বলতে পারে না।
সাম্প্রতিক বড় সাফল্য না থাকায় পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস তলানিতে। জুনেইদ খান ,হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিমের মত বোলাররা ইংল্যান্ড সিরিজে নজর কাড়তে ব্যর্থ। তার ওপর অধিনায়ক সরফরাজের দল পরিচালনায় চমক কম। ফলে পাকিস্তানের সাফল্য ব্যক্তি নির্ভর।
কোচ মিকি আর্থার বলেছেন তারা যেকোন চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। ছেলেরা বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের নতুনভাবে মেলে ধরতে মুখিয়ে রয়েছেন। আর এব্যাপারে পাকিস্তান তাকিয়ে বাবর আজমের দিকে। বছর চব্বিশের ক্রিকেটারটি তিন নম্বরে নেমে ধারাবাহিক ভাবে ভালো রান করে চলেছেন। ন্যাটিংহামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপে ভালো খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন। টি টোয়েন্টি ম্যাচেও সেঞ্চুরি রয়েছে বাবরের। একইভাবে ওপেনার ইমাম উল হক পাক ব্যাটিং লাইন আপকে নির্ভরতা দিতে পারেন। কিন্তু তার ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। একই সঙ্গে চোটপ্রবন। তাই বিশ্বকাপে আশা নিরাশায় ভর দিয়ে সরফরাজ আহমেদ ও তার মেন ইন গ্রিন।Body:PakistanConclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.