রাজকোট, 10 মার্চ: উদ্দেশ্য ছিল তাড়াতাড়ি পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে সৌরাষ্ট্রকে তিনশোর মধ্যে বেঁধে ফেলা ৷ সেই লক্ষ্যে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলার বোলাররা ৷ প্রথম দুটি সেশনে কোনও উইকেটই তুলতে পারল না বঙ্গ ব্রিগেড ৷ সেই সুযোগে প্রথম ইনিংসে বাংলার উপর জাঁকিয়ে বসল সৌরাষ্ট্র ৷ চেতেশ্বর পূজারা, অর্পিত দেশাইরা দলের স্কোর নিয়ে গেলেন চারশোর কাছাকাছি ৷ দিনের শেষে আট উইকেট হারিয়ে 384 রান তুলেছে জয়দেব উনাদকাটের দল ৷
রাজকোটের পিচকে ইতিমধ্যেই "পুওর" আখ্যা দিয়েছেন কোচ অরুণ লাল ৷ তাও রণজি ফাইনালের প্রথম দিন আকাশদীপ, শাহবাজরা বাংলাকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন ৷ কিন্তু মঙ্গলবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন প্রথম দুই সেশনে সৌরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানদের আউট করার কোনও পথই খুঁজে পেলেন না বাংলার বোলাররা ৷ শাহবাজ আহমেদ, মুকেশ কুমারদের মুখে হাসি ফুটল চা বিরতির পর ৷ ততক্ষণে অবশ্য অর্পিত ভাসাভাদা শতরান করে ফেলেছেন ৷ হাফ সেঞ্চুরি করে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন চেতেশ্বর পূজারা ৷ সৌরাষ্ট্রও স্কোরও তিনশোর উপরে ৷
চা বিরতির পর দিনের প্রথম উইকেট হারায় সৌরাষ্ট্র ৷ অর্পিতকে (106) ফেরান শাহবাজ আহমেদ ৷ দিনের প্রথম উইকেট তুলে নেওয়ার পর পরের দুটি উইকেট পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাকে ৷ মুকেশ কুমারের বলে LBW-র শিকার হয়ে ব্যক্তিগত 66 রানে ফেরেন পূজারা ৷ একই কায়দায় প্রেরক মানকাডকেও আউট করেন মুকেশ ৷ পূজারা-অর্পিত জুটিতে উঠেছে 142 রান ৷ সারাদিনে তিনটি উইকেট পেল বাংলা ৷
দিনের শেষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিলেও বাংলার উপর চেপে বসেছে সৌরাষ্ট্র ৷ পূজারা-অর্পিতদের দাপটে চাপের মুখে অভিমন্যু ঈশ্বরণের দল ৷ 30 বছর পর রণজি জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের ৷