কলকাতা, 29 অক্টোবর : আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার । ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শাকিব । কিন্তু তা জাননানি ICC-র দুর্নীতি দমন শাখায় । ICC-র নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলে তা জানাতে হয় দুর্নীতি দমন শাখায় । তা না জানালে নির্বাসনের শাস্তির বিধান রয়েছে । তাই ভারত সফরের আগে নির্বাসনের মুখে পড়লেন তিনি ।
ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়ে মর্মাহত শাকিব । আইসিসিকে তিনি বলেন , "আমি দুঃখিত । যে খেলাটি আমি অসম্ভব ভালোবাসি সেই খেলা থেকে নিষিদ্ধ হয়ে অসম্ভব কষ্ট পাচ্ছি । আমার কাছে অনৈতিক প্রস্তাব আসার পরে তা জানাইনি । ফলে আমি শাস্তি মেনে নিচ্ছি । আইসিসির দুর্নীতি বিষয়ক কমিটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ক্রিকেটারদের উপর নির্ভর করে । আমি আমার দায়িত্ব পালন করিনি । বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটার ও সমর্থকদের মত আমিও দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট বিশ্ব চাই । আমি ICC-র দুর্নীতি বিষয়ক কমিটিকে সবরকম সহায়তা করব । ওদের সঙ্গে কাজ করতে চাই । আশা করি আমার থেকে আগামী প্রজন্ম শিক্ষা নেবে । "
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-20 ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান । বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার নিয়মিত IPL এ খেলেন । ক্রিকেট জুয়াড়িদের কাছ থেকে বারবার প্রস্তাব পেয়ে কেন তিনি আইসিসি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানাননি সেটাই বিস্ময়ের । সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শাকিব নির্বাসিত । বাইশ গজে ফেরার একটা সুযোগ রয়েছে 29 অক্টোবর 2020 সালে । ICC-র এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকরা অবশ্য চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন ।
শাকিবের এই ভুল ক্রিকেট দুনিয়ায় নতুন নয় । এর আগে একই কারণে শাস্তির কবলে পড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সূর্য । অবসর নেওয়ার পরে এই ধরনের প্রস্তাবের কথা স্বীকার করেছিলেন । কিন্তু ICC দুর্নীতি দমন শাখাকে সাহায্য করেননি । ফলে দুই বছরের নির্বাসনের মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন লঙ্কার ওপেনার । এ দিকে শ্রীলঙ্কার কুশল লোকুরাচ্চি BPL এ খেলার সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে চেপে যান । শাস্তি স্বরূপ আঠারো মাস নির্বাসিত হন তিনি । এ দিকে ভারতের সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী 2013 সালে IPL-এ জুয়াড়িদের প্রস্তাব পেয়ে ICC-র দুর্নীতি দমন শাখায় না জানানোয় এক বছরের জন্য নির্বাসিত হন । এ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জিন সাইমস ও থামি সোলেকেলি একই কারণে নির্বাসনের মুখে পড়েন ।