ETV Bharat / sports

শাস্তির মুখে পড়ে দুঃখ প্রকাশ শাকিবের - ক্রিকেট

আমি দুঃখিত । যে খেলাটি আমি অসম্ভব ভালোবাসি সেই খেলা থেকে নিষিদ্ধ হয়ে অসম্ভব কষ্ট পাচ্ছি । আমার কাছে অনৈতিক প্রস্তাব আসার পরে তা জানাইনি । ফলে আমি শাস্তি মেনে নিচ্ছি : শাকিব

shakib
author img

By

Published : Oct 29, 2019, 9:45 PM IST

Updated : Oct 30, 2019, 1:40 PM IST

কলকাতা, 29 অক্টোবর : আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার । ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শাকিব । কিন্তু তা জাননানি ICC-র দুর্নীতি দমন শাখায় । ICC-র নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলে তা জানাতে হয় দুর্নীতি দমন শাখায় । তা না জানালে নির্বাসনের শাস্তির বিধান রয়েছে । তাই ভারত সফরের আগে নির্বাসনের মুখে পড়লেন তিনি ।

ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়ে মর্মাহত শাকিব । আইসিসিকে তিনি বলেন , "আমি দুঃখিত । যে খেলাটি আমি অসম্ভব ভালোবাসি সেই খেলা থেকে নিষিদ্ধ হয়ে অসম্ভব কষ্ট পাচ্ছি । আমার কাছে অনৈতিক প্রস্তাব আসার পরে তা জানাইনি । ফলে আমি শাস্তি মেনে নিচ্ছি । আইসিসির দুর্নীতি বিষয়ক কমিটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ক্রিকেটারদের উপর নির্ভর করে । আমি আমার দায়িত্ব পালন করিনি । বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটার ও সমর্থকদের মত আমিও দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট বিশ্ব চাই । আমি ICC-র দুর্নীতি বিষয়ক কমিটিকে সবরকম সহায়তা করব । ওদের সঙ্গে কাজ করতে চাই । আশা করি আমার থেকে আগামী প্রজন্ম শিক্ষা নেবে । "

বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-20 ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান । বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার নিয়মিত IPL এ খেলেন । ক্রিকেট জুয়াড়িদের কাছ থেকে বারবার প্রস্তাব পেয়ে কেন তিনি আইসিসি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানাননি সেটাই বিস্ময়ের । সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শাকিব নির্বাসিত । বাইশ গজে ফেরার একটা সুযোগ রয়েছে 29 অক্টোবর 2020 সালে । ICC-র এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকরা অবশ্য চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন ।

শাকিবের এই ভুল ক্রিকেট দুনিয়ায় নতুন নয় । এর আগে একই কারণে শাস্তির কবলে পড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সূর্য । অবসর নেওয়ার পরে এই ধরনের প্রস্তাবের কথা স্বীকার করেছিলেন । কিন্তু ICC দুর্নীতি দমন শাখাকে সাহায্য করেননি । ফলে দুই বছরের নির্বাসনের মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন লঙ্কার ওপেনার । এ দিকে শ্রীলঙ্কার কুশল লোকুরাচ্চি BPL এ খেলার সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে চেপে যান । শাস্তি স্বরূপ আঠারো মাস নির্বাসিত হন তিনি । এ দিকে ভারতের সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী 2013 সালে IPL-এ জুয়াড়িদের প্রস্তাব পেয়ে ICC-র দুর্নীতি দমন শাখায় না জানানোয় এক বছরের জন্য নির্বাসিত হন । এ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জিন সাইমস ও থামি সোলেকেলি একই কারণে নির্বাসনের মুখে পড়েন ।

কলকাতা, 29 অক্টোবর : আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার । ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শাকিব । কিন্তু তা জাননানি ICC-র দুর্নীতি দমন শাখায় । ICC-র নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলে তা জানাতে হয় দুর্নীতি দমন শাখায় । তা না জানালে নির্বাসনের শাস্তির বিধান রয়েছে । তাই ভারত সফরের আগে নির্বাসনের মুখে পড়লেন তিনি ।

ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়ে মর্মাহত শাকিব । আইসিসিকে তিনি বলেন , "আমি দুঃখিত । যে খেলাটি আমি অসম্ভব ভালোবাসি সেই খেলা থেকে নিষিদ্ধ হয়ে অসম্ভব কষ্ট পাচ্ছি । আমার কাছে অনৈতিক প্রস্তাব আসার পরে তা জানাইনি । ফলে আমি শাস্তি মেনে নিচ্ছি । আইসিসির দুর্নীতি বিষয়ক কমিটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ক্রিকেটারদের উপর নির্ভর করে । আমি আমার দায়িত্ব পালন করিনি । বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটার ও সমর্থকদের মত আমিও দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট বিশ্ব চাই । আমি ICC-র দুর্নীতি বিষয়ক কমিটিকে সবরকম সহায়তা করব । ওদের সঙ্গে কাজ করতে চাই । আশা করি আমার থেকে আগামী প্রজন্ম শিক্ষা নেবে । "

বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-20 ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান । বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার নিয়মিত IPL এ খেলেন । ক্রিকেট জুয়াড়িদের কাছ থেকে বারবার প্রস্তাব পেয়ে কেন তিনি আইসিসি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানাননি সেটাই বিস্ময়ের । সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শাকিব নির্বাসিত । বাইশ গজে ফেরার একটা সুযোগ রয়েছে 29 অক্টোবর 2020 সালে । ICC-র এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকরা অবশ্য চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন ।

শাকিবের এই ভুল ক্রিকেট দুনিয়ায় নতুন নয় । এর আগে একই কারণে শাস্তির কবলে পড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সূর্য । অবসর নেওয়ার পরে এই ধরনের প্রস্তাবের কথা স্বীকার করেছিলেন । কিন্তু ICC দুর্নীতি দমন শাখাকে সাহায্য করেননি । ফলে দুই বছরের নির্বাসনের মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন লঙ্কার ওপেনার । এ দিকে শ্রীলঙ্কার কুশল লোকুরাচ্চি BPL এ খেলার সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে চেপে যান । শাস্তি স্বরূপ আঠারো মাস নির্বাসিত হন তিনি । এ দিকে ভারতের সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী 2013 সালে IPL-এ জুয়াড়িদের প্রস্তাব পেয়ে ICC-র দুর্নীতি দমন শাখায় না জানানোয় এক বছরের জন্য নির্বাসিত হন । এ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জিন সাইমস ও থামি সোলেকেলি একই কারণে নির্বাসনের মুখে পড়েন ।

Intro:আমি দুঃখিতঃ সাকিব

নিজস্ব প্রতিবেদন,২৯অক্টোবরঃ ”আমি দুঃখিত। যে খেলাটি আমি অসম্ভব ভালোবাসি সেই খেলা থেকে নিষিদ্ধ হয়ে আমি অসম্ভব কষ্ট পাচ্ছি। আমার কাছে অনৈতিক প্রস্তাভ আসার পরে তা জানাইনি। ফলে আমি শাস্তি মেনে নিচ্ছি। আইসিসির দূর্নীতি বিষয়ক কমিটি দূর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ক্রিকেটারদের ওপর নির্ভর করে। এই ঘটনায় আমি আমার দায়িত্ব পালন করিনি। বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটার ও সমর্থকদের মত আমিও দূর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট বিশ্ব চাই। আইসিসির দূর্নীতি বিষয়ক কমিটিকে সবরকম সহায়তা করব আমি। ওদের সঙ্গে কাজ করতে চাই আমি। আমার থেকে নতুনরা শিক্ষা নেবে আশা করব।” এভাবেই নিজের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানালেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের টেষ্ট ও টি টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাঁহাতি অলরাউন্ডার। নিয়মিত আইপিএলে খেলেন। এবং তার ক্রিকেট দক্ষতা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সকলেই একমত। তা সত্ত্বেও ক্রিকেট জুয়াড়িদের কাছ থেকে বারবার প্রস্তাব পেয়ে কেন তিনি আইসিসি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানাননি সেটাই বিস্ময়ের। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিব নির্বাসিত। আইসিসির এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকরা চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন।
সাকিবের এই ভুল ক্রিকেট দুনিয়ায় নতুন নয়। এর আগে একই কারনে শাস্তির কবলে পড়ে ছিলেন শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সূর্য। অবসর নেওয়ার পরে এই ধরনের প্রস্তাবের কথা স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু আইসিসির দূর্নীতি দমন শাখাকে সাহায্য করেননি। ফলে দুই বছরের নির্বাসন।
শ্রীলঙ্কার কুশল লোকুরাচ্চি বিপিএল এ খেলার সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে চুপ করেছিলেন। ফলে আঠারো মাস নির্সিত হন।
ভারতের সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী ২০১৩ সালে আইপিএল এ জুয়াড়িদের প্রস্তাব পেয়ে চুপ থাকার জন্যে এক বছরের জন্য নির্বাসিত হন।
দক্ষিন আফ্রিকার জিন সাইমস ও থামি সোলেকেলি একই কারণে নির্বাসনের সাজা পান।Body:ShakibConclusion:
Last Updated : Oct 30, 2019, 1:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.