ETV Bharat / sports

লর্ডসের ব্যালকনিতে বিশ্বকাপ হাতে কপিল, স্বপ্নপূরণের 36 বছর - 2019 world cup

1983 সালের 25 জুন । লর্ডসের ব্যালকনিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ হাতে দাঁড়িয়েছিলেন কোনও ভারত অধিনায়ক । 36 বছর আগের ঘটনা । তারপর 2 এপ্রিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বিশ্বকাপ তুলতে দেখেছে দেশ । কিন্তু প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ ও স্মৃতি সবকিছুর থেকে আলাদা ।

1
author img

By

Published : Jun 25, 2019, 1:12 PM IST

কলকাতা, 25 জুন : একটা স্বপ্নের জন্ম হয়েছিল 1983 সালের 25 জুন । লর্ডসের ব্যালকনিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ হাতে দাঁড়িয়েছিলেন কোনও ভারত অধিনায়ক । 36 বছর আগের ঘটনা । তারপর 2 এপ্রিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বিশ্বকাপ তুলতে দেখেছে দেশ । কিন্তু প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ ও স্মৃতি সবকিছুর থেকে আলাদা । তাই ক্রিকেট বিশ্বকাপের বল গড়ালেই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর চোখে ভাসে কপিল দেবের কাপ হাতে হাসিমুখ ।

লর্ডসের ব্যালকনিতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সগর্ব হাত নাড়ানোর ছবি কখনও পুরোনো হয় না । IPL অধ্যুষিত পৃথিবীতে 183 রানের পুঁজি নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা গল্প বলেই মনে হয় । আজ যা গল্প তা সেদিন ছিল বাস্তব । ফাইনালে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ় । যাদের নামে ক্রিকেট দুনিয়া কাঁপে ।

ব্যাট হাতে গর্ডন গ্রিনিজ, ডেসমন্ড হেনস, ভিভিয়ান রিচার্ডস, ক্লাইভ লয়েডদের ঝলকানিতে 183 রানের গন্ডি পেরনো ছিল সময়ের অপেক্ষা । কারণ, 1975 ও 1979 সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় প্রতিপক্ষকে দুমড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল । 83-তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হ্যাটট্রিকে তাই ভারতীয় দলের সামান্য বাধা ফুঁৎকারে উড়ে যাবে তা সবাই ভেবেছিল । ফেভারিট হিসেবে ধরা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে ।

1
বিশ্বকাপ হাতে কপিল দেব

কিন্তু ভাবনা ও বাস্তবের ফাঁকটা যে বিরাট তা বোধ হয় জানা ছিল না । প্রথমে ব্যাট করতে নেমে 183 রান স্কোরবোর্ডে ওঠার পরে ভারতীয় সাজঘরে সেভাবে উচ্ছ্বাস ছিল না । মাঠে নামার আগে অধিনায়ক কপিল দেব টিম মিটিংয়ে সুনীল গাভাসকারকে বলেছিলেন, "ব্যাটে সেভাবে রান না পেলেও সানি ভেঙে পড়ো না । 183 রান না করলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় কাপ পাবে না । তাই ওদের করতে না দেওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ।"

সেই পেপ টকে এক লহমায় পুরো দলের ছবিটা বদলে গিয়েছিল । চোয়াল শক্ত করে লড়াই ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সবাই । ইংলিশ কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছিলেন মদনলাল । যোগ্য সঙ্গত বলবিন্দর সিং সান্ধুর । তাঁর লেট ইনসুইংয়ে ক্যারিবিয়ান প্রথম উইকেটের পতনের ছবিটা আজও ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সোনার ছবি । মদনলাল, সান্ধুর দুরন্ত পারফরম্যান্সের পাশে কপিল দেবের বিষাক্ত সুইং দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল । মদনলালের বলে ৩৩ রানে ভিভিয়ান রিচার্ডসের আউট করতে কপিল দেবের অবিশ্বাস্য ক্যাচ বা ক্লাইভ লয়েডের পতনে ছিল শৃঙ্গ ছোঁয়ার হাতছানি ।

1
পাশে মহিন্দর অমরনাথ

তারপরেই শুরু ম্যান উইথ গোল্ডেন আর্ম মহিন্দর অমরনাথের বিক্রম । ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পরে বল হাতে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন । তাঁর সুইংয়ের দিশা পাচ্ছিলেন না সেদিন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা । ডট বলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল চাপ ও মুকুট হারানোর শঙ্কা । আর কপিল ডেভিলসরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব । মাঝে শেষ প্রতিরোধ দুঁজো ও ম্যালকম মার্শালের ব্যাটে গড়ে উঠলেও তা অমরনাথের সুইংয়ে শেষ হয়েছিল । অ্যান্ডি রবার্টসকে আউট করে দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক কপিল দেব । হোল্ডিংকে লেগ বিফোর করতেই পিলপিল করে ভারতীয় সমর্থকরা লর্ডস মাঠের দখল নিয়েছিলেন । ব্যাট হাতে 26 করার পরে বল হাতে 12 রানে তিনটে শিকার মহিন্দর অমরনাথকে ম্যাচের সেরার পুরস্কার এনে দিয়েছিল । সেমিফাইনালের পরে ফাইনালেও সেরা মহিন্দর । বিশ্বকাপের সেরার তকমা পেয়েছিলেন তিনি । ফাইনালে মদনলালের তিন উইকেট, সান্ধুর দুই ও কপিলের একটি শিকার আদতে অমরনাথকে যোগ্য সঙ্গত ।

শ্রীকান্তের 38, সন্দীপ পাতিলের 27, কপিলের 15 বা মদনলালের ব্যাট হাতে 17 রানের ইনিংস সংখ্যায় বড় নয় । কিন্তু তাদের সম্মেলিত প্রভাব ছিল বিরাট । 140 রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে থামিয়ে 43 রানে জয় তুলে নিয়েছিল ভারত । বিশ্বসেরার মুকুট উঠেছিল মাথায় । যা ভারতীয় ক্রিকেটের নবজাগরণের সূচনাও বটে ।

'83-র অমর কীর্তির আগে কপিলদেবের ব্যাটে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল । জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে অধিনায়ক কপিলদেবের অপরাজিত 175 রানের ইনিংস ভারতীয় ক্রিকেটের ট্রেজ়ারিতে অন্যতম কোহিনূর । কপিলের ইনিংস, মহিন্দর অমরনাথের ব্যাটে বলে দূর্লঙ্ঘ হয়ে ওঠা, মদনলাল, সন্দীপ পাতিল, শ্রীকান্ত, সান্ধু, সানিদের পারফরম্যান্স যেন বাবুইয়ের কুটির বাধার স্বপ্ন ।

ইংল্যান্ডে ফের বিশ্বকাপ । দাপট দেখাচ্ছে ভারত । তিন নম্বর বিশ্বকাপের আশায় বুক বাঁধছে দেশবাসী । যার স্বপ্নের শুরুটা 36 বছর আগে শুরু হয়েছিল আজকের দিনেই । একটা স্বপ্ন ও পথচলা ।

কলকাতা, 25 জুন : একটা স্বপ্নের জন্ম হয়েছিল 1983 সালের 25 জুন । লর্ডসের ব্যালকনিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ হাতে দাঁড়িয়েছিলেন কোনও ভারত অধিনায়ক । 36 বছর আগের ঘটনা । তারপর 2 এপ্রিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বিশ্বকাপ তুলতে দেখেছে দেশ । কিন্তু প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ ও স্মৃতি সবকিছুর থেকে আলাদা । তাই ক্রিকেট বিশ্বকাপের বল গড়ালেই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর চোখে ভাসে কপিল দেবের কাপ হাতে হাসিমুখ ।

লর্ডসের ব্যালকনিতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সগর্ব হাত নাড়ানোর ছবি কখনও পুরোনো হয় না । IPL অধ্যুষিত পৃথিবীতে 183 রানের পুঁজি নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা গল্প বলেই মনে হয় । আজ যা গল্প তা সেদিন ছিল বাস্তব । ফাইনালে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ় । যাদের নামে ক্রিকেট দুনিয়া কাঁপে ।

ব্যাট হাতে গর্ডন গ্রিনিজ, ডেসমন্ড হেনস, ভিভিয়ান রিচার্ডস, ক্লাইভ লয়েডদের ঝলকানিতে 183 রানের গন্ডি পেরনো ছিল সময়ের অপেক্ষা । কারণ, 1975 ও 1979 সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় প্রতিপক্ষকে দুমড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল । 83-তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হ্যাটট্রিকে তাই ভারতীয় দলের সামান্য বাধা ফুঁৎকারে উড়ে যাবে তা সবাই ভেবেছিল । ফেভারিট হিসেবে ধরা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে ।

1
বিশ্বকাপ হাতে কপিল দেব

কিন্তু ভাবনা ও বাস্তবের ফাঁকটা যে বিরাট তা বোধ হয় জানা ছিল না । প্রথমে ব্যাট করতে নেমে 183 রান স্কোরবোর্ডে ওঠার পরে ভারতীয় সাজঘরে সেভাবে উচ্ছ্বাস ছিল না । মাঠে নামার আগে অধিনায়ক কপিল দেব টিম মিটিংয়ে সুনীল গাভাসকারকে বলেছিলেন, "ব্যাটে সেভাবে রান না পেলেও সানি ভেঙে পড়ো না । 183 রান না করলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় কাপ পাবে না । তাই ওদের করতে না দেওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ।"

সেই পেপ টকে এক লহমায় পুরো দলের ছবিটা বদলে গিয়েছিল । চোয়াল শক্ত করে লড়াই ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সবাই । ইংলিশ কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছিলেন মদনলাল । যোগ্য সঙ্গত বলবিন্দর সিং সান্ধুর । তাঁর লেট ইনসুইংয়ে ক্যারিবিয়ান প্রথম উইকেটের পতনের ছবিটা আজও ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সোনার ছবি । মদনলাল, সান্ধুর দুরন্ত পারফরম্যান্সের পাশে কপিল দেবের বিষাক্ত সুইং দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল । মদনলালের বলে ৩৩ রানে ভিভিয়ান রিচার্ডসের আউট করতে কপিল দেবের অবিশ্বাস্য ক্যাচ বা ক্লাইভ লয়েডের পতনে ছিল শৃঙ্গ ছোঁয়ার হাতছানি ।

1
পাশে মহিন্দর অমরনাথ

তারপরেই শুরু ম্যান উইথ গোল্ডেন আর্ম মহিন্দর অমরনাথের বিক্রম । ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পরে বল হাতে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন । তাঁর সুইংয়ের দিশা পাচ্ছিলেন না সেদিন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা । ডট বলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল চাপ ও মুকুট হারানোর শঙ্কা । আর কপিল ডেভিলসরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব । মাঝে শেষ প্রতিরোধ দুঁজো ও ম্যালকম মার্শালের ব্যাটে গড়ে উঠলেও তা অমরনাথের সুইংয়ে শেষ হয়েছিল । অ্যান্ডি রবার্টসকে আউট করে দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক কপিল দেব । হোল্ডিংকে লেগ বিফোর করতেই পিলপিল করে ভারতীয় সমর্থকরা লর্ডস মাঠের দখল নিয়েছিলেন । ব্যাট হাতে 26 করার পরে বল হাতে 12 রানে তিনটে শিকার মহিন্দর অমরনাথকে ম্যাচের সেরার পুরস্কার এনে দিয়েছিল । সেমিফাইনালের পরে ফাইনালেও সেরা মহিন্দর । বিশ্বকাপের সেরার তকমা পেয়েছিলেন তিনি । ফাইনালে মদনলালের তিন উইকেট, সান্ধুর দুই ও কপিলের একটি শিকার আদতে অমরনাথকে যোগ্য সঙ্গত ।

শ্রীকান্তের 38, সন্দীপ পাতিলের 27, কপিলের 15 বা মদনলালের ব্যাট হাতে 17 রানের ইনিংস সংখ্যায় বড় নয় । কিন্তু তাদের সম্মেলিত প্রভাব ছিল বিরাট । 140 রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে থামিয়ে 43 রানে জয় তুলে নিয়েছিল ভারত । বিশ্বসেরার মুকুট উঠেছিল মাথায় । যা ভারতীয় ক্রিকেটের নবজাগরণের সূচনাও বটে ।

'83-র অমর কীর্তির আগে কপিলদেবের ব্যাটে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল । জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে অধিনায়ক কপিলদেবের অপরাজিত 175 রানের ইনিংস ভারতীয় ক্রিকেটের ট্রেজ়ারিতে অন্যতম কোহিনূর । কপিলের ইনিংস, মহিন্দর অমরনাথের ব্যাটে বলে দূর্লঙ্ঘ হয়ে ওঠা, মদনলাল, সন্দীপ পাতিল, শ্রীকান্ত, সান্ধু, সানিদের পারফরম্যান্স যেন বাবুইয়ের কুটির বাধার স্বপ্ন ।

ইংল্যান্ডে ফের বিশ্বকাপ । দাপট দেখাচ্ছে ভারত । তিন নম্বর বিশ্বকাপের আশায় বুক বাঁধছে দেশবাসী । যার স্বপ্নের শুরুটা 36 বছর আগে শুরু হয়েছিল আজকের দিনেই । একটা স্বপ্ন ও পথচলা ।

Intro:কলকাতায় মেসির বাড়ি

কলকাতা,২৪জুনঃ পেশায় ব্যবসায়ী, নেশায় লিওনেল মেসির অন্ধভক্ত। রাত জেগে বার্সেলোনার খেলা দেখা বা ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির যাদু যে উৎসব সাউ দেখবেন তাতে আর আশ্চর্য কি। সোমবার ছিল মেসির জন্মদিন। তাই সকাল থেকে মেসিকে ঘিরে যাবতীয় পরিকল্পনা রূপায়িত করে বিকেলে জন্মদিনের উৎসব করলেন খিদিরপুরের এই মেসি ভক্ত। সঙ্গী আরও কয়েকজন মেসি সাপোর্টার।
বাঁপায়ের জাদুতে বার্সা তারকাপৃথিবী মাতাচ্ছেন। তাই তার জগৎজোড়া ভক্ত থাকবে তাতে আশ্চর্য কি? কিন্তু উৎসব অন্যদের থেকে আলাদা। মেসিকে নিয়ে তাঁর ভাবনা অন্য খাতে বয়। তাই জন্মদিন পালন অন্যভাবে তিনি করবেন তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাড়ির প্রতিটি কোনায় লিওনেল মেসির অবস্থান। কার্যত ভগবানের আসনে তাঁর অধিষ্ঠান। এখানেই শেষ নয়, মেসিকে ছুঁতে বার্সেলোনা পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে প্রিয় তারকার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি। আক্ষেপটা থাকলেও তা নিয়ে হতাশ হতে নারাজ। বরং মেসি প্রার্থনা বাড়িয়েছেন। আশা শীঘ্রই প্রিয় তারকাকে দেখতে পাবেন। কুয়েত বিশ্বকাপে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তাই মেসিকে ঘিরে কলকাতায় জন্মদিনে অন্যরকমভাবে উৎসব উৎসব সাউয়ের।Body:MessiConclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.