দুবাই, 10 জানুয়ারি : ভারতের দুই পেসার জসপ্রিত বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজের সঙ্গে বর্ণবৈষম্য মূলক আচরণের তীব্র নিন্দা করল আইসিসি। একই সঙ্গে আয়োজক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে নির্দেশ দেওয়া হল, এই ঘটনা তারা কী পদক্ষেপ করছে তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আইসিসির কাছে পাঠাতে। প্রয়োজনে আইসিসি দোষীদের খুঁজে বের করতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে সাহায্য করবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিডনিতে চলা তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে জসপ্রিত বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করা হয় দর্শকদের মধ্যে একাংশের তরফে। গতকালের খেলা শেষ হতে সেই খবর প্রকাশ্যে আসে। যারপরেই শোরগোল পড়ে যায় ক্রিকেট জগতে। তা সত্ত্বেও আজ চতুর্থ দিনের খেলা চলাকালীন আবারও, সিরাজকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবৈষম্য মূলক মন্তব্য ভেসে আসে গ্যালারি থেকে। এরপরেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা খেলা থামিয়ে দিয়ে আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ জানায়। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে।
আর এর জেরেই আসরে নামল ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। আইসিসির অ্যাপেক্স বডির তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই ধরণের কুরুচিপূর্ণ ঘটনা কখনওই বরদাস্ত করা হবে না।
ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ। তিনি টুইটে লেখেন, “ তোমরা করো তো হাস্যরস, আর অন্য কেউ করলে বর্ণবৈষম্য। সিডনিতে কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান দর্শকের আচরণ খুবই হতাশাজনক। একটা ভালো টেস্ট সিরিজের পরিবেশকেই নষ্ট করে দিল।”
শুধুই সেওয়াগ নন, নিজের পুরনো অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এর সমালোচনা করেন হরভজন সিং। তিনি টুইটে লেখেন, “অস্ট্রেলিয়ায় খেলার সময় আমি নিজে অনেক কথা শুনেছি। সে আমার রঙ হোক, আমার ধর্ম হোক বা আরও অনেক কিছু… অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকরা এটা প্রথমবার করছে না। কীভাবে আপনি এদের থামাবেন?” হতাশা হরভজনের গলায়।
তবে, লাগাতার এই ঘটনা ঘটায় বেজায় চটেছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দলের সঙ্গে না থাকলেও, পরপর দু'দিন এক ঘটনা ঘটনায় সরব হয়েছেন তিনি। বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করার আর্জি জানিয়েছেন কোহলি। তিনি টুইট করে লেখেন, “বর্ণবৈষম্যমূলক ব্যবহার কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। বাউন্ডারি লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে এমন অনেক মন্তব্য শুনেছি। এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়াটা খুবই কষ্টের। এটা অসভ্যতার চরম পর্যায়ে চলে গিয়েছে।”
এখানেই থামেননি বিরাট কোহলি। আরও একটি টুইট করে তিনি লেখেন, “এই ঘটনাটিকে জরুরি এবং গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। অপরাধীদের বিরুদ্ধে এমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে একবারে সব ঠিক করে দেওয়া যায়।”