ETV Bharat / sports

তাঁবুতে দিনযাপন থেকে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি, যশস্বীর সংগ্রাম - Cricket

শর্ত ছিল, ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে পারলে আজাদ ময়দানের তাঁবুতে থাকতে দেওয়া হবে তাঁকে ৷ বিনা আলো, বিনা টয়লেটে দিনের পর দিন সেখানেই থেকেছেন যশস্বী জয়সওয়াল ৷

yashasvi-jaiswals-struggle
যশস্বীর সংগ্রাম কাহিনি
author img

By

Published : Feb 6, 2020, 6:57 PM IST

মুম্বই, 6 ফেব্রুয়ারি : ক্রিকেট পাগল দেশ ৷ কমবেশি প্রতিটি শিশুই হাতে ব্যাট নিয়ে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখে ৷ অনেকের স্বপ্ন মাঝপথে থমকে যায় ৷ আবার কেউ কেউ জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন মনের মধ্যে লালন করতে থাকে ৷ তাতে চলার পথে যতই বাধা আসুক ৷ যশস্বী জয়সওয়ালও তাঁদের মধ্যে একজন ৷ মুম্বইয়ের রাস্তায় পানিপুরি বিক্রেতা যশস্বী বিশ্বকাপের মঞ্চে চোখ ধাঁধানো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ৷ বিশ্বকাপে এই বিস্ময় কিশোরের কীর্তি পথে ঘাটে মানুষের মুখে মুখে ফিরছে ৷ সচিন তেন্ডুলকরকে আদর্শ মেনে বড় হওয়া বছর আঠারোর যশস্বী এখন খোদ লাখো ভারতীয়র অনুপ্রেরণা ৷

অনূর্ধ্ব -19 বিশ্বকাপে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকবে ক্রিকেট ভক্তরা ৷ ভালোমতোই জানতেন যশস্বী ৷ টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে আসছিলেন ৷ তিনটে অর্ধশতরান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল তাঁর নাম ৷ কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে কাঙ্ক্ষিত শতরান কিছুতেই আসছিল না ৷ সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূরণ হল সেই স্বপ্ন ৷ একে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, তাতে বিপক্ষ আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ৷ সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তান সংহার করে ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রে ফের যশস্বী ৷

জয়সওয়াল প্রথমবার প্রচারের আলোয় এসেছিলেন 2015 সালে ৷ গিলস শিল্ড ম্যাচে অপরাজিত 319 রান এবং 13টি উইকেট নিয়ে লিমকা বুক অব রেকর্ডসে নাম তোলেন ৷ যার জেরে ডাক পান মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব-16 টিমে ৷ এরপর থেকে লাগাতার সাফল্যই ধরা দিয়েছে যশস্বীর কাছে ৷ 2018 ACC অনূর্ধ্ব-19 এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টেও উজ্জ্বল ছিলেন যশস্বী ৷ সর্বোচ্চ 318 রান তুলে টুর্নামেন্টের সেরা হন ৷ কিশোর যশস্বীর বড় ইচ্ছে পূর্ণ হয় সেবছরই ৷ শুধুমাত্র মুম্বইয়ের হয়ে খেলবেন বলে 10 বছর বয়সে উত্তরপ্রদেশ থেকে বাণিজ্য নগরীতে পাড়ি দিয়েছিলেন ৷ মাস্টার ব্লাস্টারকে আদর্শ মেনে চলা যশস্বীর 2018-19 মরশুমে মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় ৷ ততদিনে শিরোনামে আসাটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন ৷ বিজয় হাজারে ট্রফিতে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে 154 বলে 203 রানের ইনিংস খেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ইতিহাস গড়েন ৷ লিস্ট এ ক্রিকেটে সবচেয়ে কমবয়সি ডাবল সেঞ্চুরিয়ন হন যশস্বী ৷

চোখে মুখে বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ৷ অথচ ছেলের স্বপ্ন পূরণের জন্য আর্থিক সঙ্গতি ছিল না উত্তরপ্রদেশের বদোহির জয়সওয়াল পরিবারের ৷ 10 বছর বয়সে বাবার সঙ্গে মুম্বইয়ে আসার পর প্রায়ই আজাদ ময়দানে যেতেন যশস্বী ৷ সেখানেই ক্রিকেট খেলতেন ৷ পরে বাবার আদেশেও বাড়ি ফিরে যাননি ৷ মাথায় ছাদ ছিল না ৷ তাই বাক্স প্যাঁটরা বেঁধে নিয়ে সোজা আজাদ ময়দানে চলে এসেছিলেন ৷ তাঁকে বলা হয়েছিল ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে পারলে মাঠের তাঁবুতে থাকতে দেওয়া হবে ৷ তাঁবুতে থাকার অনুমতি পেলেও ছিল না শৌচাগার, ছিল না আলো ৷ যশস্বী পরে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, "সকালে খেলতাম আর বিকেলে ফুচকা বিক্রি করতাম ৷ মাঝে মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে খুব খারাপ লাগত ৷ ওদের চোখে নিজেকে ছোটো মনে হত ৷ তবে আমার ফোকাস সবসময়ই ক্রিকেট ছিল ৷ তাই অন্য কিছু মাথায় রাখতাম না ৷"

বাড়ি ছেড়ে ভিন রাজ্যে আসা, মাঠের তাঁবুতে দিনযাপন, ফুচকা বিক্রি করে উপার্জন ৷ সবটাই ক্রিকেটের জন্য ৷ কঠিন পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন যশস্বী ৷ IPL-এ রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে কিনে নিয়েছে 2 কোটি 40 লাখ টাকায় ৷ IPL-এর মঞ্চ মাতাতে এখনও দেরি ৷ আপাতত ফোকাসে বিশ্বকাপ ফাইনাল ৷ আগামী 9 ফেব্রুয়ারি দৃঢ়চেতা যশস্বীর দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ ৷

মুম্বই, 6 ফেব্রুয়ারি : ক্রিকেট পাগল দেশ ৷ কমবেশি প্রতিটি শিশুই হাতে ব্যাট নিয়ে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখে ৷ অনেকের স্বপ্ন মাঝপথে থমকে যায় ৷ আবার কেউ কেউ জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন মনের মধ্যে লালন করতে থাকে ৷ তাতে চলার পথে যতই বাধা আসুক ৷ যশস্বী জয়সওয়ালও তাঁদের মধ্যে একজন ৷ মুম্বইয়ের রাস্তায় পানিপুরি বিক্রেতা যশস্বী বিশ্বকাপের মঞ্চে চোখ ধাঁধানো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ৷ বিশ্বকাপে এই বিস্ময় কিশোরের কীর্তি পথে ঘাটে মানুষের মুখে মুখে ফিরছে ৷ সচিন তেন্ডুলকরকে আদর্শ মেনে বড় হওয়া বছর আঠারোর যশস্বী এখন খোদ লাখো ভারতীয়র অনুপ্রেরণা ৷

অনূর্ধ্ব -19 বিশ্বকাপে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকবে ক্রিকেট ভক্তরা ৷ ভালোমতোই জানতেন যশস্বী ৷ টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে আসছিলেন ৷ তিনটে অর্ধশতরান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল তাঁর নাম ৷ কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে কাঙ্ক্ষিত শতরান কিছুতেই আসছিল না ৷ সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূরণ হল সেই স্বপ্ন ৷ একে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, তাতে বিপক্ষ আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ৷ সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তান সংহার করে ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রে ফের যশস্বী ৷

জয়সওয়াল প্রথমবার প্রচারের আলোয় এসেছিলেন 2015 সালে ৷ গিলস শিল্ড ম্যাচে অপরাজিত 319 রান এবং 13টি উইকেট নিয়ে লিমকা বুক অব রেকর্ডসে নাম তোলেন ৷ যার জেরে ডাক পান মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব-16 টিমে ৷ এরপর থেকে লাগাতার সাফল্যই ধরা দিয়েছে যশস্বীর কাছে ৷ 2018 ACC অনূর্ধ্ব-19 এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টেও উজ্জ্বল ছিলেন যশস্বী ৷ সর্বোচ্চ 318 রান তুলে টুর্নামেন্টের সেরা হন ৷ কিশোর যশস্বীর বড় ইচ্ছে পূর্ণ হয় সেবছরই ৷ শুধুমাত্র মুম্বইয়ের হয়ে খেলবেন বলে 10 বছর বয়সে উত্তরপ্রদেশ থেকে বাণিজ্য নগরীতে পাড়ি দিয়েছিলেন ৷ মাস্টার ব্লাস্টারকে আদর্শ মেনে চলা যশস্বীর 2018-19 মরশুমে মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় ৷ ততদিনে শিরোনামে আসাটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন ৷ বিজয় হাজারে ট্রফিতে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে 154 বলে 203 রানের ইনিংস খেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ইতিহাস গড়েন ৷ লিস্ট এ ক্রিকেটে সবচেয়ে কমবয়সি ডাবল সেঞ্চুরিয়ন হন যশস্বী ৷

চোখে মুখে বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ৷ অথচ ছেলের স্বপ্ন পূরণের জন্য আর্থিক সঙ্গতি ছিল না উত্তরপ্রদেশের বদোহির জয়সওয়াল পরিবারের ৷ 10 বছর বয়সে বাবার সঙ্গে মুম্বইয়ে আসার পর প্রায়ই আজাদ ময়দানে যেতেন যশস্বী ৷ সেখানেই ক্রিকেট খেলতেন ৷ পরে বাবার আদেশেও বাড়ি ফিরে যাননি ৷ মাথায় ছাদ ছিল না ৷ তাই বাক্স প্যাঁটরা বেঁধে নিয়ে সোজা আজাদ ময়দানে চলে এসেছিলেন ৷ তাঁকে বলা হয়েছিল ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে পারলে মাঠের তাঁবুতে থাকতে দেওয়া হবে ৷ তাঁবুতে থাকার অনুমতি পেলেও ছিল না শৌচাগার, ছিল না আলো ৷ যশস্বী পরে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, "সকালে খেলতাম আর বিকেলে ফুচকা বিক্রি করতাম ৷ মাঝে মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে খুব খারাপ লাগত ৷ ওদের চোখে নিজেকে ছোটো মনে হত ৷ তবে আমার ফোকাস সবসময়ই ক্রিকেট ছিল ৷ তাই অন্য কিছু মাথায় রাখতাম না ৷"

বাড়ি ছেড়ে ভিন রাজ্যে আসা, মাঠের তাঁবুতে দিনযাপন, ফুচকা বিক্রি করে উপার্জন ৷ সবটাই ক্রিকেটের জন্য ৷ কঠিন পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন যশস্বী ৷ IPL-এ রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে কিনে নিয়েছে 2 কোটি 40 লাখ টাকায় ৷ IPL-এর মঞ্চ মাতাতে এখনও দেরি ৷ আপাতত ফোকাসে বিশ্বকাপ ফাইনাল ৷ আগামী 9 ফেব্রুয়ারি দৃঢ়চেতা যশস্বীর দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ ৷


New Delhi, Feb 06 (ANI): Union Parliamentary Affairs Minister Pralhad Joshi hit out at Congress leader Rahul Gandhi over latter's 'danda' remark for Prime Minister Narendra Modi. "The one who has become a junior partner in many states, who has experienced 'danda' himself is saying this against the popular leader, who was re-elected. People have already used their 'danda' and Rahul Gandhi has experienced it.On February 05, during his campaign rally for the Delhi Assembly election Rahul Gandhi claimed that Prime Minister Narendra Modi would not be able to step out of his house after some months as the young people of the country were extremely angry with him.

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.