মীরপুর, 24 ডিসেম্বর: তৃতীয় দিনের শেষ 1 ঘণ্টায় 145 রান তাড়া করতে নেমে বিপাকে ভারতীয় দল ৷ ঢাকায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট এমনই পরিস্থিতিতে ৷ যেখানে 145 রান তাড়া করতে নেমে 4 উইকেট হারিয়েছে ভারত ৷ স্কোর বোর্ডে ভারতের রান 45 (India in Trouble After Losing 4 Wickets for 45 Runs)৷ চতুর্থদিনে ভারতকে আরও 100 রান করতে হবে, হাতে রয়েছে 6 উইকেট ৷ তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশ ওপেনাররা 80 রানে পিছিয়ে থেকে খেলা শুরু করেন ৷ কিন্তু, ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে 231 রানে শেষ হয়ে যায় বাংলা টাইগারদের ইনিংস ৷
এদিন বাংলাদেশের হয়ে ওপেনার জাকির হাসান 51 এবং লোয়ার মিডল অর্ডারে লিটন দাস 73 রান করেন ৷ সঙ্গে 31 রানের ইনিংস খেলেন দুই নুরুল হাসান এবং তাসকিন আহমেদ ৷ এই 4 জনের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ 231 রানে পোঁছয় ৷ এদিন দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের প্রথম উইকেটটি নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৷ তিনি 2 উইকেট নিয়েছেন ৷ অক্ষর প্যাটেল 3 উইকেট পেয়েছেন ৷ মহম্মদ সিরাজ 2টি এবং উমেশ যাদব ও জয়দেব উনাদকট 1টি করে উইকেট পেয়েছেন ৷
তৃতীয় দিনের শেষ 1 ঘণ্টা ভারতকে ব্যাট করতে হত ৷ কিন্তু, শের-ই-বাংলার ঘূর্ণির জালে ভারতীয় টপ অর্ডারকে ফাঁসান অধিনায়ক শাকিব আল হাসান এবং মেহিদি হাসান মিরাজ ৷ শাকিব কেএল রাহুলকে (2) আউট করেন ৷ বাকি শুভমান গিল (7), চেতেশ্বর পূজারা (6) এবং বিরাট কোহলি (1)-র উইকেট নেন মেহিদি হাসান মিরাজ ৷ এই মুহূর্তে ভারতের হয়ে ক্রিজে রয়েছেন 2 নাইট ওয়াচম্যান অক্ষর প্যাটেল এবং জয়দেব উনাদকট ৷
এদিন অক্ষর লো বাউন্সের স্লথ গতির পিচে প্রতি আক্রমণে যান ৷ আর তাতেই সফল হয়েছেন তিনি ৷ 54 বল খেলে 26 রানে অপরাজিত রয়েছেন ৷ এই দু’জনের পর ভারতের ব্যাটিংয়ে ভরসা আর 3 জন ৷ শ্রেয়স আইয়ার, যিনি প্রথম টেস্টের পর এই ম্যাচেও প্রথম ইনিংসে 87 রান করেছেন ৷ আর প্রথম ইনিংসে 93 রান করা ঋষভ ৷ সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৷ বর্তমানে এই ক’জনের উপরেই ভারতের ঢাকা টেস্ট জয় নির্ভর করছে ৷ ভারত চতুর্থ ইনিংসে 145 রান তাড়া করে জিতলে তা হবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৷ এর আগে মীরপুর স্টেডিয়ামে 209, 205 ও 103 রান সফলভাবে তাড়া করে জেতা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: নিলামে আইপিএল’র রেকর্ড দাম পেলেন স্যাম কারেন, 18.5 কোটিতে কিনল পঞ্জাব
অন্যদিকে, দিনের খেলার অতিরিক্ত 30 মিনিটে আলো কমে যাওয়ায় আম্পায়ারদের কাছে বারবার খেলা বন্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানাতে থাকেন বিরাট (Virat Kohli) এবং অক্ষর ৷ কিন্তু, মাঠের 2 আম্পায়ার তাতে কর্ণপাত করেননি ৷ আর এ নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিরাট ৷ আউট হয়ে ফেরার সময় এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের তরফে বিরাটকে কিছু বলাও হয় ৷ যার জেরে মাথা গরম করে ফেলেন কোহলি ৷ পরবর্তী সময়ে আম্পায়ারকে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয় ৷ আর ম্যাচ যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, তাতে চতুর্থদিনে এই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় আরও বাড়বে বই কমবে না ৷