হায়দরাবাদ, 4 মার্চ : বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী প্রথম ভারতীয় ৷ ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে অলিম্পিকে রুপোজয়ী প্রথম ভারতীয় ৷ দেশের প্রথম শাটলার হিসেবে জিতেছেন ওয়ার্ল্ড টুর ফাইনাল ৷ নামের পিছনে এমন অনেক প্রথম হওয়ার শিরোপা রয়েছে পুসারেলা ভেঙ্কট সিন্ধুর ৷ 24 বছর বয়সি পিভি সিন্ধু দেশকে গর্বিত করার এমন অনেক কারণ দিয়েছেন ৷
1995 সালের 5 জুলাই তেলাঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে পুসারেলা ভেঙ্কট সিন্ধুর জন্ম । বাবা পিভি রমন এবং মা পি বিজয়া দুজনেই ছিলেন আন্তর্জাতিক স্তরের ভলিবল খেলোয়াড় । পিভি রমন ভলিবলে তাঁর অবদানের জন্য অর্জুন পুরস্কারও পেয়েছিলেন । কিন্তু তাঁদের মেয়ে 8 বছর বয়সে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিল র্যাকেটকে । পিভি-র অনুপ্রেরণা ছিলেন কিংবদন্তি পুল্লেলা গোপীচাঁদ । যদিও মেহবুল আলি তাঁর প্রথম কোচ ছিলেন ৷ পরে তিনি গুরু হিসেবে বেছে নেন গোপীচাঁদকে ।
রিও অলিম্পিকে রুপো জয়
2016 সালে রিও অলিম্পিকে রুপো জেতার পর সিন্ধুর আইসক্রিম খাওয়ার ছবিটা দেশ মনে রেখেছে । আসলে, ওই ছবিটা ছিল তাঁর কোচের কঠোর নিয়মানুবর্তিতা আর নিজের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রতীক । রিও অলিম্পিক্সের জন্য তৈরি হওয়ার সময় কোচ গোপীচাঁদ তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়েছিলেন ৷ চকোলেট খেতে নিষেধও করেছিলেন । অলিম্পিকে পদক জেতার পর আইসক্রিম খাওয়ার অধিকারও জিতে নিয়েছিলেন সিন্ধু ।
9 বছর বয়স থেকে রোজ রাত তিনটেয় ঘুম থেকে উঠে 56 কিলোমিটার দূরে অ্যাকাডেমিতে যেতেন সিন্ধু । ট্রেনিং শুরু হতো ভোর সাড়ে ৪টেয় । তারপর স্কুল ৷ স্কুল থেকে ফিরে ফের অ্যাকাডেমিতে চলত ব্যাডমিন্টন অনুশীলন ৷ বহু বছর ধরে চলা এই অটুট শৃঙ্খলা আর দায়বদ্ধতাই তাঁকে অলিম্পিক আর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য এনে দিয়েছে ৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে তেরঙা ওড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন ৷
পিভি সিন্ধুর মধ্যে দেশ পেয়েছে একটুকরো হিরে ৷ যাঁর মধ্যে রয়েছে ব্যাডমিন্টনের প্রতি অদম্য দায়বদ্ধতা, অক্লান্ত কঠিন পরিশ্রম এবং নিয়মানুবর্তিতা । আমাদের আশা, দেশের এই সোনার মেয়ের হাত ধরে তেরঙা উড়তে থাকবে ।