কলকাতা : বাংলা ছবি বা টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় বিবাহিত জুটি অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার ও অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তী। ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বজনবিদিত ছিল তাঁদের কেমিস্ট্রি।। কিন্তু এই দম্পত্য হয়তো আর টিকবে না সৌরভ-মধুমিতার। তাঁদের বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে বলে খবর। এবং ঘটনাটি যে সত্যিই, তা ETV ভারত সিতারাকে জানালেন সৌরভ নিজেই।
'সবিনয়-নিবেদন' ধারাবাহিকের সেটে প্রথম আলাপ হয় অভিনেত্রী মধুমিতা-সৌরভের। সেখান থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। চার বছর প্রেম পর্ব। তারপর চার বছর দাম্পত্যজীবন। মোট 8 বছরের সম্পর্ক ভেঙে যেতে চলেছে সৌরভ-মধুমিতার। সৌরভ বললেন, "এখন অতীত টেনে লাভ নেই। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে তিক্ততার কিছু কথা বেছে নিয়ে আমি সেটাকে কলুষিত করতে চাই না। আমার বিশ্বাস এটা মধুমিতাও চায় না। যখন প্রেম করতাম, যেই স্ট্রাগল পিরিয়েডটায় ওঁর সঙ্গে আমার আলাপ, তখন আমরা দুজনেই একে-অপরের ভরসা ছিলাম, একসঙ্গে স্ট্রাগল করেছি। মধুমিতা আমাকে তখন খুব সাপোর্ট করেছিল। প্রেম যখন করেছিলাম তখনও কাউকে কোনও কারণ বলিনি, অনেক পরে জানতে পেরেছে সবাই। ডিভোর্সের ক্ষেত্রেও সেটার খুঁটিনাটি জানাতে চাই না। আমি এখনও মানুষের উপর বিশ্বাস রাখতে চাই। আমি বিশ্বাস রাখতে চাই ইনস্টিটিউশনের উপর।"
চার বছরের প্রেম ও চার বছরের দাম্পত্য ভাঙার মুখে সৌরভ আরও বলেন, "আমরা মিউচুয়ালি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দুজনের কারোরই কোর্টে গিয়ে ফাইট করতে ভালো লাগে না। প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল আমরা আলাদা রয়েছি। এখনও কোর্টে কাগজপত্র জমা পড়েনি। তবে খুব শিগগিরই জমা পড়বে। কিন্তু কেন আলাদা হলাম, সে কারণগুলো আর তুলতে চাই না। আসলে আমার কিছু বলার নেই। আলাদা হয়ে যাচ্ছি বলে মধুমিতাকে নিয়ে চারটে খারাপ কথা বলব, সেরকমটা আমি কখনওই করব না। আমি যাঁদেরকে ভালোবেসেছি, তাঁদেরকে নিয়ে আমি খারাপ কথা বলতে পারি না।"
সৌরভ আরও বললেন, "আমি মনে করি, যে একটা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুই ম্যাটার করে না। তেমনই ডিভোর্স ও ব্রেকআপের ক্ষেত্রেও ম্যাটার করে না। মানুষের অস্তিত্বটা খুব বড় ব্যাপার। আমার বাবাকে হারিয়েছি ৬ মাস আগে। মানুষটা তো পৃথিবীতে নেই। আমার মা তো তাঁকে চিরতরে হারিয়েছে। মধুমিতা তো আছে। আমি চাই ও সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করুক। যেভাবে জীবন বাঁচতে চাইছে বাঁচুক। এই বাঁচাটাই অনেক বড় বিষয়।"