কলকাতা : আজ 15 অগাস্ট । 1947 সালে আজকের দিনেই ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছিল আমাদের দেশ । স্বাধীনতা সংগ্রামে বিপ্লবীদের অবদানের কথা কে না জানে ! বিনয়-বাদল-দীনেশ, মাস্টারদা সূর্য সেন, বাঘাযতীন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো বিপ্লবীদের ঋণ কোনওদিন শোধ করতে পারবে না স্বাধীন ভারতবাসীরা । সেই বীরত্বকে, সেই বলিদানকে বারবার মনে করে একাধিক সিনেমা, সিরিয়াল তৈরি হয়েছে । কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে বাংলা ধারাবাহিক 'নেতাজি' । ধারাবাহিকের নেতাজি, অর্থাৎ অভিনেতা অভিষেক বোস আজকের দিনে ETV ভারত সিতারার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন কিছু কথা ।
প্রত্যেক বছর স্বাধীনতা দিবস অভিষেকের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন হয়ে এসেছে । বাবা-মায়ের দৌলতে ছোটো থেকেই বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বীরত্বের কাহিনী শুনেছেন অভিষেক । অভিনেতা বললেন, "আমার মা প্রচুর গল্পের বই এবং জীবনী পড়েছেন । বিনয়-বাদল-দীনেশ, ভগৎ সিং মাতঙ্গিনী হাজরা, এঁদের কথা ছোটো থেকেই জানি ।"
তাই ছোটো থেকেই দেশাত্মবোধক চিন্তাভাবনা তৈরি হয়েছে অভিষেকের । যে কোনও ধরনের দেশাত্মবোধক ছবি দেখতেও তিনি পছন্দ করেন । এতবার দেখেছেন, যে মুখস্ত করে ফেলেছেন । এমনকি কেঁদেও ফেলেছেন । শুধু চিন্তা করেছেন, কীভাবে মানুষগুলো দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন । পরবর্তীকালে 'নেতাজি' ধারাবাহিকে কাজ করতে গিয়ে, সেই পড়া জিনিসগুলো যখন আবার নতুন করে পড়লেন, আরও নতুনভাবে বিষয়ভুলো বুঝলেন । অভিষেক বলেন, "তখন উপলব্ধি করেছি, কতটা কঠিন একটা বিষয় । এখন যত আস্তে আস্তে ব্যাপারটা জানছি, বয়স বাড়ার সঙ্গে আরও যত বুঝছি, নির্বিকার হয়ে যাচ্ছি । মনে হয়, এই মানুষগুলো দেশের জন্য যা যা করে গেছেন, আমরা তার সিকি ভাগও করতে পারি না । সাংবিধানিকভাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে আমাদের দেশ যদি পুরোপুরি পেত, সবটা অন্যরকম হতে পারত।"
আমাদের অনেকের মতোই 'কদম কদম বাড়ায় যা', 'হাম দিল্লিবিল্লি যায়েঙ্গে' - এই গানগুলো শুনলে খুব অন্যরকম অনুভূতি হয় অভিষেকের । ভীষণভাবে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি । সেই কারণে এই বছরের স্বাধীনতা দিবস আরও বেশি স্পেশাল অভিষেকের কাছে । বললেন, "কয়েকদিন আগে পর্যন্ত দেশের এত কথা জানতে পেরেছি । এত দৃশ্য করেছি। সেগুলো করার সময় ওইরকম একটা অনুভূতিই হত । তাই এই স্বাধীনতা দিবসে খুব ইমোশনাল হয়ে পড়ছি । সেই সঙ্গে এটাও মনে হচ্ছে, স্বাধীনতা দিবস চলাকালীন শুটিং হলে আরও ভালো হত ।"