কলকাতা : জীবনের শুরুতেই প্রখ্যাত ও প্রয়াত মাইম আর্টিস্ট শংকর দত্তগুপ্তর কাছে বুঝেছিলেন স্টেজ কাকে বলে। শিখেছিলেন নির্বাক অভিনয়। তারপর কলকাতায় এসে, সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব প্রবীর গুহর দলে যোগ দেন। তাঁর দল অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটার-এ নেপথ্য সংগীত নির্মাতা ও অভিনেতা হিসেবে দেশ-বিদেশ ঘুরেছেন প্রশান্ত এস ধর। নাটকের পোকা মাথায় চেপে বসলেও লেখাপড়ার সঙ্গে কোনওরকম আপোশ করেননি। প্যাশনকে ফলো করে সেটিতেই গ্রহণ করেছেন প্রথাগত শিক্ষা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে স্নাতক প্রশান্ত। তারপর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রামা স্টাডিজ়ে স্নাতকোত্তর। তবে চিরকালই চেয়েছিলেন দেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাট্য অ্যাকাডেমি দিল্লি স্কুল অফ ড্রামা (NSD) থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন। করলেনও তাই।
দিল্লি স্কুল অফ ড্রামাতে থেকে থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টসে ডিপ্লোমা করলেন প্রশান্ত। এই ইনস্টিটিউটটা তাঁর জীবনটাই পালটে দিল। সেখানে প্রতিভাবান নাট্য নির্দেশকদের সঙ্গে একাধিক নাটকে কাজ করেছেন। যেমন - ত্রিপুরী শর্মা, মনীষ মিত্র, রঘুবীর যাদব, চন্দন সেন, যশপাল শর্মা, শুভদীপ গুহ, অবন্তি চক্রবর্তী, আফসার হুসেন, কৌস্তব দত্তগুপ্ত এবং সনমিত্রা ভৌমিক।
এখন প্রশান্ত নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ করেন এবং বহু নাট্যদলকে প্রশিক্ষণ দেন। বহু কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাঁর কাছে নাটক শিখতে আসে। 'দা সংস্কৃত কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি' ওয়ার্কশপ নামে একটি ওয়ার্কশপ চালান প্রশান্ত। ২০১৬ সালে কোচবিহারে ফিরে গিয়ে একটি থিয়েটার ল্যাব তৈরি করেছেন প্রশান্ত।
এখানেই কিন্তু শেষ নয়। প্রশান্ত সারা ভারতবর্ষে বিখ্যাত তাঁর একটি একক নাটকের জন্য। সেই নাটকটির নাম 'XYZ'। এছাড়াও 'গম্ভীর পালা', 'সাফ সাফাই গানওয়ালা', ছোটদের নাটক 'দা স্ট্যাচু' নামের নাটকগুলিও তাঁরই। কোচবিহার এবং কলকাতায় প্রশান্ত ব্যস্ত এখন থিয়েটারের কাজে। ব্যান্ডেলে গিয়ে কিছু ছোটো বাচ্চাদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করার প্ল্যান রয়েছে প্রশান্তর। পরবর্তী প্রজন্মকে নাটক সম্বন্ধে সচেতন করাই উদ্দেশ্য এই নাটকপাগল ছেলেটির
ETV Bharat সিতারার সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রশান্ত তুলে ধরলেন সাম্প্রতিক থিয়েটারের হালহকিকত ও ব্যক্ত করলেন তাঁর ধত্রিগ্রামের থিয়েটারের কথাও। দেখুন ভিডিয়ো :
Exclusive : উদীয়মান প্রতিভা প্রশান্তর এক অন্য নাট্যচর্চা - Theatre in Kolkata
বাড়ি কোচবিহারে। বয়স মাত্র ২৫। চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ২০১৩ সালে কোচবিহার থেকে কলকাতা চলে এসেছিলেন প্রশান্ত এস ধর। কারণ তিনি নাটকের জন্য নিবেদিত প্রাণ। এমন এক যুবক, যাঁর দু'চোখে তারার মতো জ্বলজ্বল করে শুধুই নাটক। প্রশান্তর মুখোমুখি হল ETV Bharat সিতারা।
কলকাতা : জীবনের শুরুতেই প্রখ্যাত ও প্রয়াত মাইম আর্টিস্ট শংকর দত্তগুপ্তর কাছে বুঝেছিলেন স্টেজ কাকে বলে। শিখেছিলেন নির্বাক অভিনয়। তারপর কলকাতায় এসে, সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব প্রবীর গুহর দলে যোগ দেন। তাঁর দল অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটার-এ নেপথ্য সংগীত নির্মাতা ও অভিনেতা হিসেবে দেশ-বিদেশ ঘুরেছেন প্রশান্ত এস ধর। নাটকের পোকা মাথায় চেপে বসলেও লেখাপড়ার সঙ্গে কোনওরকম আপোশ করেননি। প্যাশনকে ফলো করে সেটিতেই গ্রহণ করেছেন প্রথাগত শিক্ষা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে স্নাতক প্রশান্ত। তারপর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রামা স্টাডিজ়ে স্নাতকোত্তর। তবে চিরকালই চেয়েছিলেন দেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাট্য অ্যাকাডেমি দিল্লি স্কুল অফ ড্রামা (NSD) থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন। করলেনও তাই।
দিল্লি স্কুল অফ ড্রামাতে থেকে থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টসে ডিপ্লোমা করলেন প্রশান্ত। এই ইনস্টিটিউটটা তাঁর জীবনটাই পালটে দিল। সেখানে প্রতিভাবান নাট্য নির্দেশকদের সঙ্গে একাধিক নাটকে কাজ করেছেন। যেমন - ত্রিপুরী শর্মা, মনীষ মিত্র, রঘুবীর যাদব, চন্দন সেন, যশপাল শর্মা, শুভদীপ গুহ, অবন্তি চক্রবর্তী, আফসার হুসেন, কৌস্তব দত্তগুপ্ত এবং সনমিত্রা ভৌমিক।
এখন প্রশান্ত নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ করেন এবং বহু নাট্যদলকে প্রশিক্ষণ দেন। বহু কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাঁর কাছে নাটক শিখতে আসে। 'দা সংস্কৃত কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি' ওয়ার্কশপ নামে একটি ওয়ার্কশপ চালান প্রশান্ত। ২০১৬ সালে কোচবিহারে ফিরে গিয়ে একটি থিয়েটার ল্যাব তৈরি করেছেন প্রশান্ত।
এখানেই কিন্তু শেষ নয়। প্রশান্ত সারা ভারতবর্ষে বিখ্যাত তাঁর একটি একক নাটকের জন্য। সেই নাটকটির নাম 'XYZ'। এছাড়াও 'গম্ভীর পালা', 'সাফ সাফাই গানওয়ালা', ছোটদের নাটক 'দা স্ট্যাচু' নামের নাটকগুলিও তাঁরই। কোচবিহার এবং কলকাতায় প্রশান্ত ব্যস্ত এখন থিয়েটারের কাজে। ব্যান্ডেলে গিয়ে কিছু ছোটো বাচ্চাদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করার প্ল্যান রয়েছে প্রশান্তর। পরবর্তী প্রজন্মকে নাটক সম্বন্ধে সচেতন করাই উদ্দেশ্য এই নাটকপাগল ছেলেটির
ETV Bharat সিতারার সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রশান্ত তুলে ধরলেন সাম্প্রতিক থিয়েটারের হালহকিকত ও ব্যক্ত করলেন তাঁর ধত্রিগ্রামের থিয়েটারের কথাও। দেখুন ভিডিয়ো :
Body:জীবনের শুরুতে প্রখ্যাত প্রয়াত মাইম আর্টিস্ট শংকর দত্তগুপ্তর কাছে বুঝেছিলেন স্টেজ কাকে বলে। শিখেছিলেন নির্বাক অভিনয়। তারপর কলকাতায় আসার পর, সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব প্রবীর গুহর দলে যোগ দেন। তাঁর দল অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটারে নেপথ্য সংগীত নির্মাতা ও অভিনেতা হিসেবে দেশ-বিদেশ ঘুরেছেন প্রশান্ত। নাটকের পোকা মাথায় চেপে বসলেও লেখাপড়ার সঙ্গে কোনওরকম আপোশ করেননি। প্যাশনকে ফলো করে সেটিতেই গ্রহণ করেছেন প্রথাগত শিক্ষা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে স্নাতক প্রশান্ত। তারপর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রামা স্টাডিজে স্নাতকোত্তর। তবে চিরকালই চেয়েছিলেন দেশের অন্যতম নাট্য অ্যাকাডেমি দিল্লি স্কুল অফ ড্রামা (NSD) থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন। করলেও তাই।
দিল্লি স্কুল অফ ড্রামাতে থেকে থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টসে ডিপ্লোমা করলেন প্রশান্ত। দিল্লি স্কুল অফ ড্রামা তাঁর জীবনটাই পাল্টে দিল। সেখানে প্রতিভাবান নাট্য নির্দেশকদের সঙ্গে একাধিক নাটকে কাজ করেছেন। যেমন - ত্রিপুরী শর্মা, মনীষ মিত্র, রঘুবীর যাদব, চন্দন সেন, যশপাল শর্মা, শুভদীপ গুহ, অবন্তি চক্রবর্তী, আফসার হুসেন, কৌস্তব দত্তগুপ্ত এবং সনমিত্রা ভৌমিক।
এখন প্রশান্ত নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ করেন এবং বহু নাট্যদলকে প্রশিক্ষণ দেন। বহু কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাঁর কাছে নাটক শিখতে আসে। 'দা সংস্কৃত কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি' ওয়ার্কশপ নামে। ২০১৬ সালে কোচবিহারে ফিরে গিয়ে একটি থিয়েটার ল্যাব তৈরি করেছেন প্রশান্ত।
এখানেই কিন্তু শেষ নয়। প্রশান্ত সারা ভারতবর্ষে বিখ্যাত তাঁর একটি একক নাটকের মাধ্যমে। সেই নাটকটির নাম 'XYZ'। এছাড়াও 'গম্ভীর পালা', 'সাফ সাফাই গানওয়ালা', ছোটদের নাটক 'দা স্ট্যাচু' নামের নাটক গুলিও তাঁরই। কোচবিহার এবং কলকাতায় প্রশান্ত ব্যস্ত আছেন থিয়েটারের কাজে। এই মুহূর্তে তিনি পাড়ি দিয়েছেন ধত্রিগ্রামে। সেখানে কিছু ছোটো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে শুরু করেছে নাটকের কাজ।
Conclusion:ETV Bharat সিতারার সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রশান্ত তুলে ধরলেন সাম্প্রতিক থিয়েটারের হালহকিকত ও ব্যক্ত করলেন তাঁর ধত্রি গ্রামের থিয়েটারের কথাও। দেখুন ভিডিও :