কলকাতা : চারু মজুমদারের রাজনৈতিক জীবন এই নাটকের মূল বিষয় নয় । এই নাটকে স্ত্রী লীলা সেনগুপ্তর সঙ্গে তাঁর প্রণয়কেই মুখ্য করে তুলেছেন নাট্যকার চন্দন সেন । নাম দিয়েছেন 'চারু লীলা দ্রোহকাল'।
চারু মজুমদার মনে করতেন, গরীব কৃষকদের জন্য লড়াই করার জন্য কৃষক পরিবারের একজন হওয়া বাঞ্ছনীয় । আমাদের দেশে এমন কোনও নেতা উঠে আসেননি, যিনি কৃষক পরিবারে জন্মেছেন । লেলিন, স্টালিন কিংবা মাও, এঁরা প্রত্যেকেই কৃষক পরিবারের । চারু মজুমদার নিজেই জমিদার পরিবারের সন্তান । তাঁর জীবনে বৈভবের অভাব ছিল না কোনওদিন ।
চারুর বাবা গান্ধিবাদী হলেও, তাঁর সঙ্গে মধুর সম্পর্ক ছিল পুত্রের । এই বিষয়টি যেমন নাটকে উঠে আসবে । তেমনই উঠে আসবে চারু মজুমদারের রাজনৈতিক লড়াইয়ের বিভিন্ন দিক, উঠে আসবে তাঁর সাংসারিক জীবন ও প্রেম । স্ত্রী লীলা সেনগুপ্তর সঙ্গে তাঁর ভালোবাসা, বিয়ে, পরবর্তীকালে সংসার ধর্মপালনে কীভাবে স্ত্রী তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, এটাই নাটকের মুখ্য বিষয়বস্তু ।
চারু মজুমদার মনে করতেন, প্রেম ছাড়া বিপ্লব হয় না । আর এই বিষয়টিকে নিজের নাটকের মধ্যে তুলে ধরতে চেয়েছেন চন্দন সেন । নাটকটি লেখা তিনি প্রায় শেষ করে ফেলেছেন । এ প্রসঙ্গে ETV ভারতকে বলেন, "এটা শেষ হতে আর মাত্র সাত দিন বাকি রয়েছে । শেষের দিকে রয়েছে লেখাটা ।"