ETV Bharat / sitara

'মহীনের ঘোড়াগুলি'-র রঞ্জন ঘোষালের বিরুদ্ধে মি টু অভিযোগ যুবতির - Ranjon Ghoshal MeToo allegation

অভিযোগ, ওই যুবতিকে একাধিক অশ্লীল মেসেজ করতেন রঞ্জন ঘোষাল । সোশাল মিডিয়ায় তার প্রমাণও তুলে ধরেছেন তিনি ।

ছবি
author img

By

Published : Oct 22, 2019, 12:58 PM IST

কলকাতা, 22 অক্টোবর : 'মহীনের ঘোড়াগুলি'-র অন্যতম সদস্য রঞ্জন ঘোষালের বিরুদ্ধে মি টু অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়ায় সরব এক যুবতি । অভিযোগ, স্কুলে পড়ার সময় তাঁকে অশ্লীল মেসেজ করতেন রঞ্জন । সোশাল মিডিয়ায় তার প্রমাণও তুলে ধরেছেন তিনি । এই ঘটনায় রঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি ।

সাতের দশকের মাঝামাঝি সময় । গান গেয়ে যথেষ্ট খ্যাতি কুড়িয়েছিল বাংলা ব্যান্ড 'মহীনের ঘোড়াগুলি'। গৌতম চট্টোপাধ্যায় ছিলেন যার অন্যতম শ্রষ্ঠা । ব্যান্ডের সদস্যরা নিজেদের ঘোড়া বলেই পরিচয় দিতেন । এই ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য রঞ্জন ঘোষাল । আর এবার 'মি টু'র সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তাঁর নাম । তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী । সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "রঞ্জন ঘোষাল একজন মলেস্টার । যাঁরা ওঁনার বিরুদ্ধে লিখেছেন তাঁরা বহুদিন আগের কথা লিখেছেন । ভেবেছেন হয়ত উনি বদলে গেছেন । কিন্তু, উনি বদলাননি । উনি এখনও অমানুষ রয়ে গেছেন । রঞ্জন ঘোষাল হইতে সাবধান । উনি প্রতিভাবান হতেই পারেন । কিন্তু, নিঃসন্দেহে একজন খারাপ মানুষ ।"

ঘটনা বছর তিনেক আগের । ওই ছাত্রীর বয়স তখন 16 । স্কুলে পড়তেন । তিনি লিখেছেন, “বড় বড় মানুষের সান্নিধ্য পেলে ভাবতাম বর্তে গেলাম । সেরকমই এক সময় তাঁর (রঞ্জন ঘোষাল) সঙ্গে আমার আলাপ । আমি যাকে বলে গদগদ, আহ্লাদিত, গর্বিত প্রাণ । তিনি আমার প্রশংসা করলেন । নিজে থেকে ফোন করেই দরাজ গলায় গান ধরলেন । আমায় ভালোবেসে নাম দিলেন বাবুই । তাঁর নাম হল মশাই । দিনে রাতে ফোন করতেন । আমার তখন মাটিতে পা না পড়ার মতো অবস্থা । তিনি আমার ছবি চাইছেন বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে । ভালোবাসার কী উন্মাদনা ।"

16 বছর বয়সেই যদি এই অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে থাকেন তাহলে এতদিন পর কেন বিষয়টিকে সামনে আনছেন ? এ প্রসঙ্গে ওই ছাত্রী বলেন, "ভুলেই গেছিলাম । বিষয়টা নতুন করে মনে করিয়ে দিল কয়েকজন বন্ধু । যাদের সবটা বলেছিলাম । তারা বলল আমার সবাইকে বিষয়টা জানানো উচিত । বাকিরা যা লিখেছে তার কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখাতে পারেননি । ফলে যাঁরা বিশ্বাস করেননি তাঁদের বলছি, আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে। দেখে নিন ।" সোশাল মিডিয়ায় রঞ্জন ঘোষালের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের একাধিক স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন ওই যুবতি । যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি ETV ভারত ।

এদিকে 15 বছর আগে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে রঞ্জন ঘোযালের বিরুদ্ধে । সেই ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন রঞ্জন । সোশাল মিডিয়ায় তিনি পোস্ট করে লিখেছিলেন, "আমি অনুতপ্ত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী । 15 বছর আগে এক যুবতি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল । পরে অবশ্য তা প্রত্যাহার করে নেয় ।" যদিও পরে এই পোস্ট সরিয়ে দেন রঞ্জন ঘোষাল ।

কলকাতা, 22 অক্টোবর : 'মহীনের ঘোড়াগুলি'-র অন্যতম সদস্য রঞ্জন ঘোষালের বিরুদ্ধে মি টু অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়ায় সরব এক যুবতি । অভিযোগ, স্কুলে পড়ার সময় তাঁকে অশ্লীল মেসেজ করতেন রঞ্জন । সোশাল মিডিয়ায় তার প্রমাণও তুলে ধরেছেন তিনি । এই ঘটনায় রঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি ।

সাতের দশকের মাঝামাঝি সময় । গান গেয়ে যথেষ্ট খ্যাতি কুড়িয়েছিল বাংলা ব্যান্ড 'মহীনের ঘোড়াগুলি'। গৌতম চট্টোপাধ্যায় ছিলেন যার অন্যতম শ্রষ্ঠা । ব্যান্ডের সদস্যরা নিজেদের ঘোড়া বলেই পরিচয় দিতেন । এই ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য রঞ্জন ঘোষাল । আর এবার 'মি টু'র সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তাঁর নাম । তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী । সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "রঞ্জন ঘোষাল একজন মলেস্টার । যাঁরা ওঁনার বিরুদ্ধে লিখেছেন তাঁরা বহুদিন আগের কথা লিখেছেন । ভেবেছেন হয়ত উনি বদলে গেছেন । কিন্তু, উনি বদলাননি । উনি এখনও অমানুষ রয়ে গেছেন । রঞ্জন ঘোষাল হইতে সাবধান । উনি প্রতিভাবান হতেই পারেন । কিন্তু, নিঃসন্দেহে একজন খারাপ মানুষ ।"

ঘটনা বছর তিনেক আগের । ওই ছাত্রীর বয়স তখন 16 । স্কুলে পড়তেন । তিনি লিখেছেন, “বড় বড় মানুষের সান্নিধ্য পেলে ভাবতাম বর্তে গেলাম । সেরকমই এক সময় তাঁর (রঞ্জন ঘোষাল) সঙ্গে আমার আলাপ । আমি যাকে বলে গদগদ, আহ্লাদিত, গর্বিত প্রাণ । তিনি আমার প্রশংসা করলেন । নিজে থেকে ফোন করেই দরাজ গলায় গান ধরলেন । আমায় ভালোবেসে নাম দিলেন বাবুই । তাঁর নাম হল মশাই । দিনে রাতে ফোন করতেন । আমার তখন মাটিতে পা না পড়ার মতো অবস্থা । তিনি আমার ছবি চাইছেন বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে । ভালোবাসার কী উন্মাদনা ।"

16 বছর বয়সেই যদি এই অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে থাকেন তাহলে এতদিন পর কেন বিষয়টিকে সামনে আনছেন ? এ প্রসঙ্গে ওই ছাত্রী বলেন, "ভুলেই গেছিলাম । বিষয়টা নতুন করে মনে করিয়ে দিল কয়েকজন বন্ধু । যাদের সবটা বলেছিলাম । তারা বলল আমার সবাইকে বিষয়টা জানানো উচিত । বাকিরা যা লিখেছে তার কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখাতে পারেননি । ফলে যাঁরা বিশ্বাস করেননি তাঁদের বলছি, আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে। দেখে নিন ।" সোশাল মিডিয়ায় রঞ্জন ঘোষালের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের একাধিক স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন ওই যুবতি । যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি ETV ভারত ।

এদিকে 15 বছর আগে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে রঞ্জন ঘোযালের বিরুদ্ধে । সেই ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন রঞ্জন । সোশাল মিডিয়ায় তিনি পোস্ট করে লিখেছিলেন, "আমি অনুতপ্ত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী । 15 বছর আগে এক যুবতি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল । পরে অবশ্য তা প্রত্যাহার করে নেয় ।" যদিও পরে এই পোস্ট সরিয়ে দেন রঞ্জন ঘোষাল ।

Intro:কলকাতা, 22 অক্টোবর: শ্লীলতাহানীর অভিযোগ নিয়ে আবারও সোচ্চার হচ্ছে ফেসবুকের ওয়াল। কিছুটা বিবিএ পড়ার পর আবার যেন সামনে আসছে #metoo। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের এক ছাত্রী অভিযোগ “মহীনের ঘোড়াগুলি"র অন্যতম ঘোড়া রঞ্জন ঘোষালের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীর অভিযোগ স্কুলে পড়ার সময় তাঁর ছিল কাহানি করেছেন রঞ্জন। এমনকি তার প্রমাণও তুলে ধরেছেন তিনি। ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন রঞ্জন।
Body:সেটা সাতের দশকের মাঝামাঝি সময়। বাংলা গানে ঝড় তুলে দিয়েছিল বাংলা ব্যান্ড “মহীনের ঘোড়াগুলি।" গৌতম চট্টোপাধ্যায় ছিলেন যার অন্যতম শ্রষ্ঠা। ব্যান্ডের সদস্যরা নিজেদেরকে ঘোড়া বলেই পরিচয় দিতেন। মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম সদস্য এই রঞ্জন ঘোষাল। এই প্রজন্মের শিল্পীদের গান বারবার গেয়ে মঞ্চ মাতায়। এহেন রঞ্জনের জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ ওঠায় রীতিমত তোলপাড় ফেসবুক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী লিখেছেন, “রঞ্জন ঘোষাল, মহিনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা একজন মলেস্টার। যারা ওর বিরুদ্ধে লিখেছেন তারা বহুদিন আগের কথা লিখেছেন। ভেবেছেন হয়তো উনি বদলে গেছেন। কিন্তু না , উনি বদলাননি। উনি এখনো একটা অমানুষ রয়ে গেছেন। সাথে পিডোফিলও। রঞ্জন ঘোষাল হইতে সাবধান। উনি প্রতিভাবান হতেই পারেন কিন্তু উনি নিঃসন্দেহে একটি খারাপ মানুষ। আর ওর মুখোশ এবার খুলে দেওয়া উচিত নয়তো এ সময় আর আসবে না।"

ঘটনা বছর তিনেক আগের। ওই ছাত্রী তখন ষোলো বছরের। পড়তেন স্কুলে। তিনি লিখছেন, “বড় বড় মানুষদের সান্নিধ্যে পেলে ভাবতাম বর্তে গেলাম বুঝি! সেরকমই এক সময় তাঁর সাথে আলাপ। আমি যাকে বলে গদগদ, আহ্লাদিত, গর্বিত প্রাণ। তিনি আমার প্রশংসা করলেন। নিজে থেকে ফোন করেই দরাজ গলায় গান ধরলেন। আমায় ভালোবেসে নাম দিলেন বাবুই। তাঁর নাম হল মশাই। সে এক অন্য ব্যাপার। বোঝাতে পারব না। এদিকে তাঁর ফোন দিনেরাতে পেয়ে পেয়ে আমার যাকে বলে মাটিতে পা পড়ছে না। তিনি আমার ছবি চাইছেন বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে, নাভি বের করা শাড়ি পরা ছবি, বাথরুমের ভেতর থেকে ছবি, শর্টস পরা ফুল লেংথ ছবি। কী ভালবাসার উন্মাদনা বলুন!"

কিন্তু এতদিন পরে অভিযোগ কেন? #metoo আন্দোলন যখন মধ্য গগনে তখন কেন সামনে আনলেন না সেসব?

আসলে দিন কয়েক আগে একমাত্র পরিচালকদের বিরুদ্ধে তারই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। ঘটনায় ওই নাট্য পরিচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয় ফেসবুক। যাদবপুরের ছাত্রী লিখছেন, “ ভুলেই গেছিলাম। আজ নতুন করে মনে করালো কয়েক বন্ধু যাদের বলেছিলাম সবটা। যারা জানত। যারা বলল আমার সবাইকে জানানো উচিত। বাকিরা যা লিখেছে তার কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ফলে যারা বিশ্বাস করেননি তাদের বলছি, আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে। দেখে নিন।"
Conclusion:ওই ছাত্রী শেয়ার করেছেন বেশ কিছু স্ক্রিনশট। যেখানে দেখা যাচ্ছে নানা শর্টস পরে বাথরুম থেকে ছবি দেওয়ার অনুরোধ করেছে। শাড়ি পড়ে নাভির ছবি দেওয়ারও। যদিও ওই স্ক্রীনশর্টের সত্যতা ইটিভি ভারত যাচাই করেনি। এদিকে ঘটনার জেরে একটি পোস্ট করেন রঞ্জন ঘোষাল। সেখানে তিনি লেখেন “আমি অনুতপ্ত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী। ১৫ বছর আগে এক তরুণী আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। পরে তা প্রত্যাহার করে নেন।" পরে অবশ্য সেই পোস্ট সরিয়ে নেন রঞ্জনবাবু।


ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.