কলকাতা, 1 ডিসেম্বর : মানালি (Manali Dey in Dhulokona), শ্বেতা (Shweta Mishra) আর ইন্দ্রাশিসের ত্রিকোণ প্রেমে জমজমাট বাংলা টেলিভিশন । লালন, ফুলঝুরি, শ্বেতার কেমেস্ট্রিতে মজেছে টেলিপ্রেমীদের মন । কার সঙ্গে ঘর বাঁধবে লালন ? চিন্তায় রাতের ঘুম ওড়ার জোগাড় মেগা পিপাসুদের । এর মাঝেই হাজির এক ফুল দো মালির চমকপ্রদ ছবি ।
বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় জমে উঠেছে ধারাবাহিক 'ধুলোকণা' (Bengali serial Dhulokona)। এক ফুল দো মালি কনসেপ্ট এখানে খেল দেখাচ্ছে । গল্পের নায়ক লালন র্যাপ গায় । সে উচ্চ মধ্যবিত্ত বাড়ির গাড়িও চালায় ৷ সেই বাড়িরই কাজের মেয়ে ফুলঝুরিকে ভালবাসে সে । ওদিকে ওই বাড়িরই ছোট মেয়ে চড়ুই তাকে ভালবাসে । লালনের র্যাপ কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যেতে সে উঠে পড়ে লাগে । লালন প্রত্যাখ্যান করলে চড়ুই আত্মহত্যার চেষ্টা করে ৷ আদুরে মেয়ের জীবন বাঁচাতে লালনের সঙ্গেই মেয়েকে বিয়ে দিতে চায় মা । লালন গরিব । তাকে টাকার বিনিময়ে হাতের পুতুল করতে চায় চড়ুইয়ের মা । জামাইকে ঘর জামাই করার প্ল্যান করে সে । চড়ুইয়ের বাবা-সহ বাড়ির কেউ তার এই পরিকল্পনায় সায় দেয় না । কিন্তু পিসিমা সাপোর্ট করে চড়ুইয়ের মাকে । এই সব নিয়ে তালগোল পেকেছে চড়ুইদের বাড়িতে ।
ওদিকে বাড়ির এই প্রজন্মের বড় ছেলে তানের বিয়ে সম্পন্ন । তানের চরিত্রে মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় । আর তার বউ হয়ে এলেন ইপ্সিতা মুখোপাধ্যায় । 'আলো ছায়া' ধারাবাহিকের পর এই ধারাবাহিকে এলেন ইপ্সিতা । এর আগে একগুচ্ছ ধারাবাহিকে লিড রোলে অভিনয় করেছেন তিনি । এ বার এই গল্পে তাঁর চরিত্রটি কেমন, তা জানতে হলে দেখতে হবে এই ধারাবাহিক ।
আরও পড়ুন: Khorkuto shooting at Kalimpong: পাহাড়ে সৌগুন, কালিম্পংয়ে শুটিং চলছে খড়কুটোর
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, লালনের সঙ্গে তাহলে কার বিয়ে হতে চলেছে ? প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে বধূবেশে বিয়ের আসরে ফুলঝুরি এবং চড়ুই দুজনেই উপস্থিত । কাকে বিয়ে করবে লালন ? কে হবে তার জীবনসঙ্গিনী ? এই নিয়ে বেশ চিন্তায় নেট পাড়া । এরই মাঝে লালন অর্থাৎ ইন্দ্রাশিসের দুদিকে দুই ভাবী বউ নিয়ে তোলা ছবি দেখে সাড়া পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । প্রশ্ন উঠছে "লালন তুমি কার ?"
দিনকয়েক আগে মেক আপ রুমে বসে টিম 'ধুলোকণা'কে লুডো খেলতে দেখা যায় । জানতে চাওয়া হয় তাঁরা সেটে এসে কী করেন ? মানালির উত্তর, " লালন লালন করি ।"
চড়ুই অর্থাৎ শ্বেতা মিশ্র এ দিন ইটিভি ভারতকে জানান, "আমার এবং মানালিদি দুজনেরই প্রশ্ন, লালন তুমি কার ? সকাল বেলা ছবিটা দেখেই চমকে গিয়েছি । হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছি । সকালেই ফোন করলাম মানালিদিকে । লালনের জন্য অপশন কিন্তু রেডি ৷ দুজনই হাজির বধূবেশে । পছন্দ করে এক জনের গলায় মালাটা পরিয়ে দিলেই কেল্লাফতে । কী ক্রেজ বলো তো লালনের ? দুজন তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে । একজন আবার বাড়ির আদুরে মেয়ে । কিন্তু শেষ অবধি কী হবে তা তো বলব না । দেখতে হবে তো । ত্রিকোণ প্রেম বরাবরই মানুষের মনে আগ্রহের উদ্রেক ঘটায় বেশি । এ ক্ষেত্রেও তেমনই হচ্ছে । আমরাও এক্সাইটেড যে দর্শক আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এতটা চিন্তিত দেখে ।"