কলকাতা, 24 মার্চ: লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Leena remembers Abhishek) একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay remembers Abhishek Chatterjee)। গল্পে কখনওই মারা যেতে চাইতেন না অভিনেতা, জানালেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের 'ফাগুন বউ', 'কুসুম দোলা', 'মোহর', 'খড়কুটো', 'অন্দরমহল' ধারাবাহিকে কাজ করেছেন অভিনেতা । কথা ছিল লেখিকার আগামী গল্পেও কাজ করবেন তিনি । অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের (Abhishek Chatterjee passes away) প্রয়াণে তাঁকে ঘিরে স্মৃতির তরণীতে ভাসলেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ।
ইটিভি ভারতের তরফে লেখিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "সকাল থেকে অনেকগুলো ফোন পেয়েই বুঝেছিলাম দেয়ার ইজ সামথিং রং। আর ঠিক তাই হল ৷ এখনও নিজেকে বুঝিয়ে উঠতে পারিনি । ফোনে পেয়েছি খবরটা । পরশুও তিনি কাজ করেছেন আমাদের সঙ্গে । আজও কাজ করার কথা ছিল । এমন অতর্কিত ঘটনা মেনে নেওয়া বড় কঠিন । বহু কাজ করেছি ওঁর সঙ্গে । রোজ দেখা হত না ৷ মাঝে মাঝে আসতেন অফিসে । অনেক গল্প করতেন ৷ অনেক অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেন । খুব প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন । মজা করতেন । বারবারই বলতেন, আমি কিন্তু আপনার হাউজ ছেড়ে নড়ছি না । আপনার লেখায়, আপনার হাউজে অনেক কাজ করতে চাই ।"
আরও পড়ুন: Abhishek Chatterjee Passes Away : মাত্র 57-তেই চিরঘুমে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, "অনেক রকমের চরিত্রে কাজ করেছেন । কমেডিটাও ভাল করেন । কেন যে ও দিকে নিজেকে মেলে ধরেননি আমি জানি না । তবে, আমাদের গল্পে ওঁকে কমেডি করতে দেখেছেন দর্শক । নতুন ভাবে ওঁকে আবিষ্কার করতে পেরেছি আমরা । এখন তো অভিনেতার বড় অভাব । তার উপরে ভাল অভিনেতার আরও অভাব । এমন একজন সুঅভিনেতাকে এত তাড়াতাড়ি বিদায় জানানো আমাদের পক্ষে যে কতটা কষ্টের তা বলার না । বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল আমার সঙ্গে । অনেক কাজে ব্যস্ত ছিলেন । তাই প্রায়ই ছুটি নিতেন । ছুটি নিয়ে মতানৈক্য হলেও বলতেন, আমি কিন্তু আপনার সঙ্গে কাজ করবই । আমার হাতটা ছেড়ে দেবেন না । আর আজ নিজেই হাত ছেড়ে চলে গেলেন ।"
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথাতেই জানা যায়, পায়ের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা (Abhishek Chatterjee latest news)। বেড রেস্ট লিখে দিয়েছিলেন ডাক্তার । কিন্তু তিনি ছুটি নিতে চাননি । তাই টুক টুক করে এসে নিজের সিনটুকু করে চলে যেতেন ।
অভিনেতাকে ঘিরে স্মৃতিচারণায় লেখিকা আরও বলেন, "ফাগুন বউ ধারাবাহিকে তাঁর মৃত্যু দেখাতে হয়েছিল । এরপর আমাকে বলেছিলেন লীনাদি, আমাকে কিন্তু আর কোনও গল্পে মেরে ফেলবেন না প্লিজ । আমি বাঁচতে চাই গল্পে ।"
পায়ের চোট নাকি অন্য কোনও অসুস্থতায় তাঁর শরীরে ভাঙন ধরেছিল তা জানা হল না বলে আক্ষেপের সুর শোনা গেল লেখিকার কণ্ঠে । টলিউড আজ হারাল আরও এক সম্পদকে । বড় পর্দা এবং ছোট পর্দায় তাঁর অপরিসীম অবদান চিরকাল মনে রাখবে দর্শক ।