ETV Bharat / sitara

ফিল্ম রিভিউ : প্রয়াস ভালো, কিন্তু নতুনত্বের অভাব 'বর্ণপরিচয়'-এ - Abir chatterjee

বর্ণপরিচয়
author img

By

Published : Jul 26, 2019, 7:56 PM IST

জিশু, আবির এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার অভিনীত, মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত 'বর্ণপরিচয়'কে মাঝারিমাপের থ্রিলার ছবি বলা যেতে পারে। যদিও প্রথম থ্রিলার পরিচালক হিসেবে প্রয়াস ভালোই ছিল মৈনাকের। একটানা সম্পর্ক ও পারিবারভিত্তিক ছবি করার পর মৈনাক থ্রিলার তৈরি করলেন এই প্রথম। চেষ্টাটা ভালোই ছিল। কিন্তু থ্রিলারধর্মী ছবির ক্ষেত্রে দর্শকমনে বাহবা পেতে এখনও খানিকটা বাকি। ধীরে ধীরে হাত পাকাবেন হয়তো। যে কারণে, ছবিতে পঞ্চভূত থাকলেও, এক্স বা ষষ্ঠ বিষয় নেই। যদিও পরিচালনা ভালো, তবে অতিরিক্ত নাটুকে করে ফেলা হয়েছে।



আবির ও জিশুর চরিত্র এখানে পুরোপুরি শারীরিকভাবে সুস্থ নয়। কেবলমাত্র মস্তিষ্কের জোরে বাজিমাত করতে চায় খুনি ও পুলিশ। মারণরোগ এবং হৃদযন্ত্রে দুর্বলতা নিয়েও, মারপিট করছেন একে অন্যের সঙ্গে। এই বিষয়টি একটু অবাস্তব মনে হয়েছে। তারপর আসছেন প্রিয়াঙ্কা, অর্থাৎ মালিনী। ধনঞ্জয়ের (জিশু)স্ত্রী। স্বামী কর্মব্যস্ত বলে তাকে দূরে সরিয়ে রাখেন সর্বক্ষণ। যদিও ধনঞ্জয় তার একমাত্র পুত্র গোগোলের কাছে সুপারম্যান।

খুনি, অর্থাৎ অর্ক (আবির) সিরিয়াল কিলার। এই ছক থেকে বাংলার পরিচালকরা কিছুতেই বেরোতে পারছেন না। ক্রাইম থ্রিলার মানেই ধরে নিয়েছেন সেটিকে সিরিয়াল কিলার চেজিংই হতে হবে। যাইহোক, এহেন অর্ক নিজেই বেছে নেন কাকে দিয়ে তিনি তদন্ত করাবেন, অর্থাৎ পুলিশ অফিসার ধনঞ্জয়কে। কিন্তু কেন তাঁকে বেছে নেওয়া হল, এই বিষয়টা পরিষ্কার হল না। কোনও যোগসূত্র নেই এই বাছাইয়ের।

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
ছবির নাম কেন বর্ণপরিচয়, সেটা পরিষ্কার হয়নি। তার থেকে বরং পঞ্চভূত কিংবা তার কোনও সমার্থক শব্দ হলে উপযুক্ত হত। নতুনত্বের অভাব মনে হয়েছে। একজন সিরিয়াল কিলার পাঁচভাবে, পাঁচজনকে খুন করছে। তারপর সেই খুনি মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আবার একইভাবে খুন করছে। সত্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে খুনি। অপরাধীকে শাস্তি দিতে চাইছে নিজের মতো করে। ধর্মকে প্রতিস্থাপন করতে চাইছে। তাই আইন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সে। অন্যায়ের প্রতিবাদে মানুষ নিজেই কখন অপরাধী হয়ে উঠছে, এই বিষয় আমরা দেখে নিয়েছি অন্য ছবিতেও। তার উপর অতিরিক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর।

আরও ভালো হতে পারত ছবিটা। যদিও জিশু ও আবিরের উপস্থিতি ভোলার নয়। দারুণ হ্যান্ডসাম লেগেছে দুজনকে। আর প্রিয়াংকার পরিসর খুবই সীমিত ছিল।

জিশু, আবির এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার অভিনীত, মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত 'বর্ণপরিচয়'কে মাঝারিমাপের থ্রিলার ছবি বলা যেতে পারে। যদিও প্রথম থ্রিলার পরিচালক হিসেবে প্রয়াস ভালোই ছিল মৈনাকের। একটানা সম্পর্ক ও পারিবারভিত্তিক ছবি করার পর মৈনাক থ্রিলার তৈরি করলেন এই প্রথম। চেষ্টাটা ভালোই ছিল। কিন্তু থ্রিলারধর্মী ছবির ক্ষেত্রে দর্শকমনে বাহবা পেতে এখনও খানিকটা বাকি। ধীরে ধীরে হাত পাকাবেন হয়তো। যে কারণে, ছবিতে পঞ্চভূত থাকলেও, এক্স বা ষষ্ঠ বিষয় নেই। যদিও পরিচালনা ভালো, তবে অতিরিক্ত নাটুকে করে ফেলা হয়েছে।



আবির ও জিশুর চরিত্র এখানে পুরোপুরি শারীরিকভাবে সুস্থ নয়। কেবলমাত্র মস্তিষ্কের জোরে বাজিমাত করতে চায় খুনি ও পুলিশ। মারণরোগ এবং হৃদযন্ত্রে দুর্বলতা নিয়েও, মারপিট করছেন একে অন্যের সঙ্গে। এই বিষয়টি একটু অবাস্তব মনে হয়েছে। তারপর আসছেন প্রিয়াঙ্কা, অর্থাৎ মালিনী। ধনঞ্জয়ের (জিশু)স্ত্রী। স্বামী কর্মব্যস্ত বলে তাকে দূরে সরিয়ে রাখেন সর্বক্ষণ। যদিও ধনঞ্জয় তার একমাত্র পুত্র গোগোলের কাছে সুপারম্যান।

খুনি, অর্থাৎ অর্ক (আবির) সিরিয়াল কিলার। এই ছক থেকে বাংলার পরিচালকরা কিছুতেই বেরোতে পারছেন না। ক্রাইম থ্রিলার মানেই ধরে নিয়েছেন সেটিকে সিরিয়াল কিলার চেজিংই হতে হবে। যাইহোক, এহেন অর্ক নিজেই বেছে নেন কাকে দিয়ে তিনি তদন্ত করাবেন, অর্থাৎ পুলিশ অফিসার ধনঞ্জয়কে। কিন্তু কেন তাঁকে বেছে নেওয়া হল, এই বিষয়টা পরিষ্কার হল না। কোনও যোগসূত্র নেই এই বাছাইয়ের।

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
ছবির নাম কেন বর্ণপরিচয়, সেটা পরিষ্কার হয়নি। তার থেকে বরং পঞ্চভূত কিংবা তার কোনও সমার্থক শব্দ হলে উপযুক্ত হত। নতুনত্বের অভাব মনে হয়েছে। একজন সিরিয়াল কিলার পাঁচভাবে, পাঁচজনকে খুন করছে। তারপর সেই খুনি মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আবার একইভাবে খুন করছে। সত্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে খুনি। অপরাধীকে শাস্তি দিতে চাইছে নিজের মতো করে। ধর্মকে প্রতিস্থাপন করতে চাইছে। তাই আইন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সে। অন্যায়ের প্রতিবাদে মানুষ নিজেই কখন অপরাধী হয়ে উঠছে, এই বিষয় আমরা দেখে নিয়েছি অন্য ছবিতেও। তার উপর অতিরিক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর।

আরও ভালো হতে পারত ছবিটা। যদিও জিশু ও আবিরের উপস্থিতি ভোলার নয়। দারুণ হ্যান্ডসাম লেগেছে দুজনকে। আর প্রিয়াংকার পরিসর খুবই সীমিত ছিল।

Intro:জিশু, আবির এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার অভিনীত, মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত 'বর্ণপরিচয়'কে মাঝারিমাপের থ্রিলার ছবি বলা যেতে পারে। যদিও প্রথম ফ্রিলার পরিচালনার হিসেবে প্রয়াস ভালোই ছিল মৈনাকের। একনাগাড়ে সম্পর্ক ও পারিবারভিত্তিক ছবি করার পর মৈনাক থ্রিলার তৈরি করলেন এই প্রথম। চেষ্টাটা ভালোই ছিল। কিন্তু থ্রিলারধর্মী ছবির ক্ষেত্রে দর্শকমনে বাহবা পেতে এখনও খানিকটা বাকি। ধীরে ধীরে হাত পাকাবেন হয়তো। যে কারণে, ছবিতে পঞ্চভূত থাকলেও, এক্স বা ষষ্ঠ বিষয় নেই। যদিও পরিচালনায় বেশ ভালো। অতিরিক্ত নাটুকে করে ফেলা হয়েছে।




Body:আবির ও জিশুর চরিত্র এখানে পুরোপুরি শারীরিকভাবে সুস্থ নয়। কেবলমাত্র মস্তিষ্কের জোরে বাজিমাত করতে চাওয়া খুনি ও পুলিশ। মারণরোগী এবং হৃদযন্ত্রে দুর্বলতা নিয়েও, মারপিট করছেন একে অন্যের সঙ্গে। এই বিষয়টি একটু অবাস্তব মনে হয়েছে। তারপর আসছেন প্রিয়াংকা, অর্থাৎ মালিনী। ধনঞ্জয়ের (জিশু)স্ত্রী। স্বামী কর্মব্যস্ত বলে তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখেন সর্বক্ষণ। যদিও ধনঞ্জয় তার একমাত্র পুত্র গোগোলের কাছে সুপারম্যান।

খুনি, অর্থাৎ অর্ক (আবীর) সিরিয়াল কিলার। এই ছক থেকে বাংলার পরিচালকরা কিছুতেই বেরোতে পারছেন না। ক্রাইম থ্রিলার মানেই ধরে নিয়েছেন সেটিকে সিরিয়াল কিলার চেজিংই হতে হবে। যাইহোক, এহেন অর্ক নিজেই বেছে নেন কাকে দিয়ে তিনি তদন্ত করাবেন, অর্থাৎ পুলিশ অফিসার ধনঞ্জয়। কিন্তু কেন তাঁকে বেছে নেওয়া হল, এই বিষয়টা পরিষ্কার হল না। কোনও যোগসূত্র নেই এই বাছাইয়ের।




Conclusion:ছবির নাম কেন বর্ণপরিচয়, সেটা পরিষ্কার হয়নি। তার থেকে বরং পঞ্চভূত কিংবা তার কোনও সমার্থক শব্দ হলে উপযুক্ত হত। নতুনত্বের অভাব মনে হয়েছে। একজন সিরিয়াল কিলার পাঁচভাবে, পাঁচজনকে খুন করছে। তারপর সেই খুনি মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আবার একইভাবে খুন করছে। সত্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে খুনি। অপরাধীকে শাস্তি দিতে চাইছে নিজের মতো করে। ধর্মকে প্রতিস্থাপন করতে চাইছে। তাই আইন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সে। অন্যায়ের প্রতিবাদে মানুষ নিজেই কখন অপরাধী হয়ে উঠছে, এই বিষয়ে আমরা দেখে নিয়েছি অন্য ছবিতেও। তার উপর অতিরিক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর। আরও ভালো হতে পারত ছবিটা। যদিও জিশু ও আবিরের উপস্থিতি ভোলার নয়। দারুণ হ্যান্ডসাম লেগেছে দুজনকে। আর প্রিয়াংকার পরিসর খুবই সীমিত।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.