ETV Bharat / sitara

'টেকো' আর 'বালা', কে কার দ্বারা অনুপ্রাণিত? তুমুল দ্বন্দ্ব

author img

By

Published : Oct 19, 2019, 9:51 PM IST

একই বিষয় নিয়ে বলিউডে তৈরি হচ্ছে আয়ুষ্মান খুরানার 'বালা' ও টলিউডে তৈরি হচ্ছে 'টেকো'। কোন ছবি কোন ছবি দ্বারা অনুপ্রাণিত? চলছে তুমুল দ্বন্দ্ব।

Directors on Bala and Teko

কলকাতা : সিনেমার হিরো মানেই এখন মাথা ভরতি চুল, পেটানো শরীর, সব কাজে পারদর্শী কোনও সুপারম্যান নয়। বরং এখন বাস্তব জীবনের সমস্যায় জর্জরিত মানুষগুলোই পরদার হিরো। সেরকমই দুই মানুষের জীবন নিয়ে দুই ভাষায় তৈরি হচ্ছে ছবি। হিন্দিতে তৈরি হচ্ছে আয়ুষ্মান খুরানার 'বালা' ও বাংলা তৈরি হচ্ছে ঋত্বিক চক্রবর্তীর 'টেকো'। 'বালা' ছবির গল্প আবার এক বাঙালি পরিচালকের, তিনি পাভেল। অন্যদিকে 'টেকো'-র পরিচালক অভিমন্যু মুখার্জি। তাহলে কোন ছবি কোন ছবি দ্বারা অনুপ্রাণিত? ভিতরে ভিতরে চলছে চাপানউতোর। খোঁজ নিল ETV ভারত সিতারা।

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">

সূত্রের খবর অনুযায়ী, 'টেকো' ছবিটি তৈরি হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু, তবুও ছবির মুক্তি স্থগিত রাখা হয়েছিল সুরিন্দর ফিল্মের পক্ষ থেকে। আর কয়েকদিন আগে খবর আসে মুম্বইয়ের 'ম্যাডক্স' প্রযোজনা সংস্থার 'বালা' ছবিটির গল্পও এক। সেই ছবির গল্প আবার এক বাঙালি পরিচালক পাভেলের। 'বালা' মুক্তি পাচ্ছে 7 নভেম্বর ও 'টেকো'-র মুক্তির তারিখ 22 নভেম্বর। এই প্রসঙ্গে কী বললেন পাভেল? ETV ভারত সিতারাকে তিনি বললেন, "ওদের FWA'এর রেজিস্ট্রেশন দেখাতে বল। 'বালা'-র FWA রেজিস্ট্রেশন, মানে যেটা আমার লেখা, সেটা 2016 সালের এপ্রিল মাসে। ওদের সেটা দেখাতে বল। এছাড়া ওদের যদি কোনও কমপ্লেন থাকে, সেটা যেন ওরা আইনিভাবে করে। আর এত অরিজিনাল অরিজিনাল করার কী আছে? হেয়ার ফল একটা ইউনিভার্সাল সাবজেক্ট। সেই নিয়ে যে কেউ ছবি করতে পারে। আমি তো কোনও চিৎকার-চেঁচামেচি করছি না। কারণ তিনটের মধ্যে 'বালা'র ঘোষণা সবচেয়ে আগে হয়েছে। এখানে চিৎকার-চেঁচামেচি করার কিছু নেই। যেই ছবিটা ভালো হবে মানুষ সেটা দেখবে। সবার উত্তেজনা হচ্ছে অন্য কারণে। 'বালা'তে আয়ুষ্মান খুরানা আছে। আমাদের প্রডিউসারের নাম ম্যাডক্স ফিল্মস। আমাদের রিলিজ় সবার আগে। 'টেকো' এক বছর আগেই শুটিং করে রেখে দেওয়া হয়েছে কেন? আর কেউ তো কোর্টে আমাদের নামে কেসও করেছিল। আমরা ওখানে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে দিয়েছিলাম 2016 সালের এপ্রিল মাসে। সেটা দেখে আর কিছুই ভ্যালিড হয়নি। আমি তো চাই টাক নিয়ে আরও দশটা ছবি হোক। তারপর যেটা সেরা, সেটাই লোকে মনে রাখবে। আর আমি আমার ছবি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।"

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">

অন্যদিকে 'টেকো'র পরিচালক অভিমুন্য মুখার্জির অভিনেত্রী বান্ধবী মানালি দে নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, "অন্য কোনও ভাষার ছবি থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে কোনও ছবি বাংলায় বানানো হলে, সেটা নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু বাংলায় যদি কোনও কনসেপ্ট বলিউডের আগে ভাবা হয়, তাহলে সেটার সমাধান হয় না। এটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কর্মী হিসেবে ভাবতে খারাপ লাগছে... Believe it or not TEKO, A film by Abhimanyu Mukherjee was conceptualized and completed almost 2 years back, but due to unavoidable reasons couldn't see the light of the day but finally it's coming to theatres on 22nd November... The teaser poster is here... pls support original content and above all Bengali cinema... This time we really need your support."

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">

কলকাতা : সিনেমার হিরো মানেই এখন মাথা ভরতি চুল, পেটানো শরীর, সব কাজে পারদর্শী কোনও সুপারম্যান নয়। বরং এখন বাস্তব জীবনের সমস্যায় জর্জরিত মানুষগুলোই পরদার হিরো। সেরকমই দুই মানুষের জীবন নিয়ে দুই ভাষায় তৈরি হচ্ছে ছবি। হিন্দিতে তৈরি হচ্ছে আয়ুষ্মান খুরানার 'বালা' ও বাংলা তৈরি হচ্ছে ঋত্বিক চক্রবর্তীর 'টেকো'। 'বালা' ছবির গল্প আবার এক বাঙালি পরিচালকের, তিনি পাভেল। অন্যদিকে 'টেকো'-র পরিচালক অভিমন্যু মুখার্জি। তাহলে কোন ছবি কোন ছবি দ্বারা অনুপ্রাণিত? ভিতরে ভিতরে চলছে চাপানউতোর। খোঁজ নিল ETV ভারত সিতারা।

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">

সূত্রের খবর অনুযায়ী, 'টেকো' ছবিটি তৈরি হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু, তবুও ছবির মুক্তি স্থগিত রাখা হয়েছিল সুরিন্দর ফিল্মের পক্ষ থেকে। আর কয়েকদিন আগে খবর আসে মুম্বইয়ের 'ম্যাডক্স' প্রযোজনা সংস্থার 'বালা' ছবিটির গল্পও এক। সেই ছবির গল্প আবার এক বাঙালি পরিচালক পাভেলের। 'বালা' মুক্তি পাচ্ছে 7 নভেম্বর ও 'টেকো'-র মুক্তির তারিখ 22 নভেম্বর। এই প্রসঙ্গে কী বললেন পাভেল? ETV ভারত সিতারাকে তিনি বললেন, "ওদের FWA'এর রেজিস্ট্রেশন দেখাতে বল। 'বালা'-র FWA রেজিস্ট্রেশন, মানে যেটা আমার লেখা, সেটা 2016 সালের এপ্রিল মাসে। ওদের সেটা দেখাতে বল। এছাড়া ওদের যদি কোনও কমপ্লেন থাকে, সেটা যেন ওরা আইনিভাবে করে। আর এত অরিজিনাল অরিজিনাল করার কী আছে? হেয়ার ফল একটা ইউনিভার্সাল সাবজেক্ট। সেই নিয়ে যে কেউ ছবি করতে পারে। আমি তো কোনও চিৎকার-চেঁচামেচি করছি না। কারণ তিনটের মধ্যে 'বালা'র ঘোষণা সবচেয়ে আগে হয়েছে। এখানে চিৎকার-চেঁচামেচি করার কিছু নেই। যেই ছবিটা ভালো হবে মানুষ সেটা দেখবে। সবার উত্তেজনা হচ্ছে অন্য কারণে। 'বালা'তে আয়ুষ্মান খুরানা আছে। আমাদের প্রডিউসারের নাম ম্যাডক্স ফিল্মস। আমাদের রিলিজ় সবার আগে। 'টেকো' এক বছর আগেই শুটিং করে রেখে দেওয়া হয়েছে কেন? আর কেউ তো কোর্টে আমাদের নামে কেসও করেছিল। আমরা ওখানে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে দিয়েছিলাম 2016 সালের এপ্রিল মাসে। সেটা দেখে আর কিছুই ভ্যালিড হয়নি। আমি তো চাই টাক নিয়ে আরও দশটা ছবি হোক। তারপর যেটা সেরা, সেটাই লোকে মনে রাখবে। আর আমি আমার ছবি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।"

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">

অন্যদিকে 'টেকো'র পরিচালক অভিমুন্য মুখার্জির অভিনেত্রী বান্ধবী মানালি দে নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, "অন্য কোনও ভাষার ছবি থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে কোনও ছবি বাংলায় বানানো হলে, সেটা নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু বাংলায় যদি কোনও কনসেপ্ট বলিউডের আগে ভাবা হয়, তাহলে সেটার সমাধান হয় না। এটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কর্মী হিসেবে ভাবতে খারাপ লাগছে... Believe it or not TEKO, A film by Abhimanyu Mukherjee was conceptualized and completed almost 2 years back, but due to unavoidable reasons couldn't see the light of the day but finally it's coming to theatres on 22nd November... The teaser poster is here... pls support original content and above all Bengali cinema... This time we really need your support."

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
Intro:মাথার চুল পড়া, মাথায় বড় টাক পড়া নিয়ে গল্প। একটি ছবি তৈরি হয়েছে বাংলা ভাষায়। কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছবির পরিচালক অভিমুন্য মুখার্জি এবং প্রযোজনা করেছে সুরিন্দর ফিল্মস। ছবিটির নাম 'টেকো'। অন্য ছবিটি তৈরি হয়েছে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে, হিন্দি ভাষায়। ছবির গল্প বাঙালি পরিচালক পাভেলের। ছবিটির মধ্যমণি অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। ছবির নাম 'বালা'।এই মাসেই মুক্তি পাচ্ছে দুটো ছবি। কিন্তু ভেতরে ভেতরে চলছে চাপানউতোর। খোঁজ নিল ETV ভারত সিতারা।


Body:সূত্রের খবর অনুযায়ী, 'টেকো' ছবিটি তৈরি হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু তবুও ছবির মুক্তি স্থগিত রাখা হয়েছিল সুরিন্দর ফিল্মসের পক্ষ থেকে। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। এবং তাঁর বিপরীতে রয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এটা শ্রাবন্তী এবং ঋত্বিকের প্রথম একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার। বিজ্ঞাপন দেখে চুলের তেল ব্যবহার করে ধীরে ধীরে চুল পড়তে শুরু করে অলোকেশের (ঋত্বিক)। তাকে ছেড়ে চলে যায় বাগদত্তা মীনা (শ্রাবন্তী)। তারপর কোন দিকে মোড় নেয় গল্প, সেটাই বলবে টেকো? এই ছবিটি তৈরি হওয়ার পর অনেকগুলি ছবি মুক্তি পেয়েছে সুরিন্দরের। কিন্তু টেকো মুক্তি পায়নি। কয়েকদিন আগে খবর আসে, মুম্বইয়ের ম্যাডক্স প্রযোজনা সংস্থার 'বালা' ছবিটির গল্পও সেই একই পুরুষদের মাথায় টাক পড়া নিয়ে। সেখানে আবার মধ্যমনী আয়ুষ্মান খুরানা। রয়েছেন ভূমি পেদনেকার, ইয়ামি গৌতমের মতো অভিনেত্রীরা। পরিচালনা করেছেন অমর কৌশিক। আরও বড় চমক, এই ছবির গল্প বাঙালি পরিচালক পাভেলের, যিনি এমুহূর্তে অসুর ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত।

দুটো ছবিই টাক পড়া নিয়ে, বালা মুক্তি পাচ্ছে ৭ নভেম্বর। 'টেকো'র মুক্তির তারিখ ২২ নভেম্বর। একই বিষয়ে গল্প হওয়ার কারণে, দর্শকদের মনে জিজ্ঞাসা তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন হয়তো এই দুটি ছবির মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ETV ভারত সিতারার যোগাযোগ করে পাভেলের সঙ্গে। শুটিংয়ের ব্যস্ততার ফাঁকেও ফোন তুলে পাভেল বলেন, "ওদের FWA'এর রেজিস্ট্রেশন দেখাতে বলো। 'বালা'র FWA রেজিস্ট্রেশন, মানে যেটা আমার লেখা, সেটা ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে। ওদের সেটা দেখাতে বলো। এছাড়া ওদের যদি কোনওরকম কমপ্লেন মনে হয়, সেটা যেন আইনিভাবে করে। আর এত অরিজিনাল অরিজিনাল করার কী আছে? হেয়ার ফল একটা ইউনিভার্সেল সাবজেক্ট। সেই নিয়ে যে কেউ ছবি করতে পারে। আমি তো কোই কোনও চিৎকার-চেঁচামেচি করছি না। কারণ তিনটের মধ্যে 'বালা'র ঘোষণা সবচেয়ে আগে হয়েছে। এখানে চিৎকার-চেঁচামেচি করার কিছু নেই। যেই ছবিটা ভালো হবে মানুষ সেটা দেখবে। সবার উত্তেজনা হচ্ছে অন্য কারণে। 'বালা'তে আয়ুষ্মান খুরানা আছে। আমাদের প্রডিউসারের নাম ম্যাডক্স ফিল্মস। আমাদের রিলিজের সবার আগে। টেকো এক বছর আগেই শুটিং করে রেখে দেওয়া হয়েছে কেন? ২০১৬ সালে আমাদের গল্পটা রেজিস্টার করা হয়েছে। ওদেরটা দেখাতে বলুন। একজন তো কোর্টে আমাদের নামে কেসও করেছিল। আমরা ওখানে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে দিয়েছিলাম ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে। সেটা দেখে আর কিছুই ভ্যালিড হয়নি। আমি তো চাই টাক নিয়ে আরও দশটা ছবি হোক। তারপর যেটা সেরা, সেটাই লোকে মনে রাখবে। আর আমি আমার ছবি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।"

অন্যদিকে 'টেকো'র পরিচালক অভিমুন্য মুখার্জির অভিনেত্রী বান্ধবী মানালি দে নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, "অন্য কোনও ভাষার ছবি থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে কোনও ছবি বাংলায় বানানো হলে, সেটা নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু বাংলায় যদি কোনও কনসেপ্ট বলিউডের আগেও ভাবা হয়, সেটার সমাধান হয় না। এটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কর্মী হিসেবে ভাবতে খারাপ লাগছে... Believe it or not TEKO, A film by Abhimanyu Mukherjee was conceptualized and completed almost 2 years back, but due to unavoidable reasons couldn't see the light of the day but finally it's coming to theatres on 22nd November... The teaser poster is here... pls support original content and above all Bengali cinema... This time we really need your support."




Conclusion:বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলতে চেয়েছিলাম 'টেকো' ছবির পরিচালক অভিমুন্য মুখার্জির সঙ্গে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.